• প্রীতি ম্যাচ
  • " />

     

    দুই গোল দেওয়ার পর চার গোল খেল আর্জেন্টিনা

    দুই গোল দেওয়ার পর চার গোল খেল আর্জেন্টিনা    

     

    ৪৩ মিনিট পর্যন্ত ম্যাচের ফল আর্জেন্টিনা ২-০ নাইজেরিইয়া। এতটুকু স্কোর জানার পর ৯০ মিনিট শেষে কেউ ম্যাচের স্কোর দেখলে বিষম খাওয়ার কথা। দুই গোল খাওয়ার পর যে নাইজেরিয়া আর্জেন্টিনার জালে গুনে গুনে চার গোল দিয়েছে। নিজেদের ১১৫ বছরের ফুটবল ইতিহাসে এই প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচে দুই গোলে এগিয়ে থেকেও হারল।

    প্রস্তুতি ম্যাচে জয় পরাজয় এমনিতে এমন কিছু নয়। তার ওপর লিওনেল মেসিও খেলেননি আজ, বেশ কিছু খেলোয়াড়কে পরখ করে দেখিয়েছিলেন কোচ হোর্হে সাম্পাওলি। প্রথম দিকে সবকিছু ঠিকঠাক চলছে বলেই মনে হচ্ছিল। ২৭ মিনিটে এভার বানেগার ফ্রিকিক থেকে করা গোলে প্রথম এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। ৩৬ মিনিটে ক্রিস্টিয়ান পাভনের পাস থেকে টোকা দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন সার্জিও আগুয়েরো।

     

     

    কিন্তু বিরতির ঠিক আগে ম্যাচে ফেরে নাইজেরিয়া। বলা ভালো, অবিশ্বাস্য এক প্রত্যাবর্তনের গল্পটা সামনে থেকে লেখার কাজটা শুরু করেন লেস্টার সিটি স্ট্রাইকার কেলেচি ইহেনাচো। বিরতির ঠিক আগে তাঁর ফ্রিকিক থেকে করা গোলে ব্যবধান কমায় নাইজেরিয়া।

     

     

    কিন্তু সেটা ছিল কেবল ট্রেলার। আসল খেলা শুরু হলো বিরতির পর। ৫২ মিনিটে দারুণ এক আক্রমণ থেকে ইহেনাচোর পাসেই নিজের প্রথম করেন আর্সেনাল উইঙ্গার অ্যালেক্স আইওবি। দুই মিনিট পর রাশিয়ার ক্রাসনোডার স্টেডিয়ামের আর্জেন্টিনা সমর্থকদের হতভম্ব করে এগিয়ে যায় নাইজেরিয়া। এবারও উৎস সেই ইহেনাচো, তাঁর পাস থেকেই গোল করে এগিয়ে দেন ব্রায়ান ইডুয়ো। দিবালা, আগুয়েরো, ডি মারিয়ারা প্রথম একাদশে থাকলেও এর মধ্যে তেমন কিছু করতে পারেননি।

    সেখানেই শেষ নয় নাইজেরিয়ার দাপটের। দারুণ প্রেসিংয়ে আর্জেন্টিনার রক্ষণ তখন কোণঠাসা। ৭৩ মিনিটে আহমেদ মুসার পাস থেকে আইওবি পেয়ে যান নিজের দ্বিতীয় গোল। শেষ পর্যন্ত ৪-২ গোলেই শেষ হয় ম্যাচ।