• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    রোমাঞ্চকর ফেরায় লিভারপুলকে আটকে দিল সেভিয়া

    রোমাঞ্চকর ফেরায় লিভারপুলকে আটকে দিল সেভিয়া    

    প্রায় এক যুগের আগের ইস্তাম্বুলের স্মৃতিটাই আবার মনে করিয়ে দিল লিভারপুল। সেবার ছিল ফাইনাল, এবার অবশ্য গ্রুপ পর্ব। কিন্তু জিতলেই নিশ্চিত হয়ে যেত পরের রাউন্ড। প্রথমার্ধে ৩ গোলে এগিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত সেভিয়ার সাথে জিততে পারেনি লিভারপুল। পরের অর্ধে আরও ৩ গোল হজম করে এক পয়েন্ট নিয়ে স্পেন থেকে ফিরেছে ইয়ুর্গেন ক্লপের দল।   

     

     



    প্রতিপক্ষের মাঠে কাজটা কঠিনই হওয়ার কথা ছিল লিভারপুলের। কিন্তু ম্যাচে শুরুর প্রথম আধ ঘন্টাটা তাঁদের গেল স্বপ্নের মতো। আসলে শুরুটাই ছিল দারুণ অল রেডদের। মাত্র ২ মিনিটেই দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন রবার্তো ফিরমিনো। ২২ মিনিটে সেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সাদিও মানে। এর আট মিনিট পরই আবারও গোল, আবার সেই ফিরমিনো! ৩০ মিনিটে খেলার স্কোর ৩-০।

    প্রথমার্ধটা যদি স্বপ্নের মতো হয়, তো পরের অর্ধটা ভুলেই যেতে চাইবে লিভারপুল। ৫১ মিনিটে বেন ইয়াদ্দার যখন সেভিয়ার হয়ে প্রথম গোলটা করলেন তখনও ফিরে আসাটা প্রায় ‘অসম্ভব’ মনে হচ্ছিল সেভিয়ার জন্য । ৬০ মিনিটে ভাগ্যটাও সহায় হল সেভিয়ার, পেনাল্টি থেকে আবারও লিভারপুলের জালে বল জড়ালেন বেন ইয়াদ্দের।



    ম্যাচে ফেরার জন্য তখনও ৩০ মিনিট হাতে ছিল সেভিয়ার। কিন্তু কিছুতেই সেই কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পাচ্ছিল না ঘরের দল। অপেক্ষা করতে হল যোগ করা সময় পর্যন্ত। ৯৩ মিনিটে গুইদো পিজ্জারোর গোলে রোমাঞ্চকর এক ফিরে আসার গল্প লিখে ফেলে সেভিয়া।

     

     


    গ্রুপের প্রথম ম্যাচে স্পার্টাক মস্কো ও মারিবর ড্র করায় ৮ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে আছে সেভিয়া। আর এক পয়েন্ট বেশি নিয়ে শীর্ষে লিভারপুল।

    লিভারপুল না পারলেও ইংল্যান্ডের আরেক দল ম্যানচেস্টার সিটি ঠিকই জয় পেয়েছে নিজেদের ম্যাচে। কিন্তু ঘরের মাঠে ফেইনুর্দের সাথে জয় সহজ ছিল না মোটেই। গোলের জন্য ৮৮ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে সিটিজেনদের। রাহিম স্টার্লিংয়ের গোলে শেষ পর্যন্ত ১-০ ব্যবধানের কষ্টার্জিত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পেপ গার্দিওলার দল। গ্রুপের অন্য ম্যাচে শাখতার দোনেতস্ককে ৩-০ গোলে হারিয়েছে নাপোলি।

    তবে রাতের সবচেয়ে বড় চমকটা দেখিয়েছে লাইপজিগ। মোনাকোকে তাদেরই মাঠে হারিয়ে দিয়েছে ৪-১ গোলে!