• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    রোমাঞ্চ যা প্যারিসেই

    রোমাঞ্চ যা প্যারিসেই    

    তুরিনে ম্যাড়মেড়ে ড্রয়ে শেষ হয়েছে বার্সেলোনা জুভেন্টাসের ম্যাচ। দুই দলের কেউই গোলের দেখা পায়নি। তবে ড্র করেও দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত হয়ে গেছে বার্সেলোনার। আর জুভেন্টাসের জন্য সমীকরণটা হয়ে গেছে একটু কঠিনই। শেষ ম্যাচে পর্তুগালে স্পোর্টিং লিসবনের বিপক্ষে হার এড়াতে হবে জুভেন্টাসকে।

    ইতালিতে কোনো গোল না হলেও প্যারিসের চিত্র ছিল পুরো উলটো। সেল্টিককে ৭-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছে প্যারিস সেন্ট জার্মেই। অথচ ম্যাচের প্রথম মিনিটেই পিছিয়ে গিয়েছিল ঘরের দল। এরপর নেইমারের জোড়া গোলে ২২ মিনিটের মাঝেই এগিয়ে যায় পিএসজি। পরে জোড়া গোল করেন এডিনসন কাভানিও। তবে কাভানির প্রথম ও দ্বিতীয় গোলের মাঝে কিলিয়ান এমবাপ্পে ও মার্কো ভেরাত্তি আরও দুই গোল করে ম্যাচটা সেল্টিকের ধরা ছোঁয়ার বাইরে নিয়ে যান তারও আগেই। ৮০ মিনিটে সেল্টিকের জালে ৭ নম্বর গোলটি করেন দানি আলভেজ। আজকের জয়ের পর একটা রেকর্ডও করে ফেলেছে উনাই এমেরির দল। গ্রুপ পর্বে এখন পর্যন্ত ২২ গোল করে নতুন রেকর্ড গড়েছে নেইমার-কাভানির পিএসজি।



    ফ্রান্সে গোলের জোয়ার বইলেও ইতালির ম্যাচটা ছিল ম্যাড়মেড়ে। তবে শুরুটা ছিল চমকপ্রদ! এমন ম্যাচে বার্সেলোনার শুরুর একাদশেই ছিলেন না লিওনেল মেসি! আর্জেন্টাইনকে ছাড়া প্রথমার্ধে তেমন কোনো আক্রমণই সাজাতে পারেনি বার্সা। ২২ মিনিটে রাকিতিচের নেওয়া ফ্রি কিক বারপোস্টে আঘাত পেয় ফিরে আসলে পলিনহোই যা সুযোগ পেয়েছিলেন, কিন্তু কাজে লাগাতে পারেননি। অন্যদিকে জুভেন্টাসও ম্যাচজুড়ে  ছিল খানিকটা নিষ্প্রভই। দিবালা-হিগুয়াইনরাও ম্যাচ জুড়ে তেমন কোনো আক্রমণই সাজাতে পারেননি।  



    ৫৬ মিনিটে মেসি মাঠে নামলেও ব্যবধান গড়ে দিতে পারেননি ম্যাচে। মেসি না পারলেও আরেক আর্জেন্টাইন শেষ দিকে ম্যাচের ভাগ্যটা বদলে দিতে পারতেন। কিন্তু ৯২ মিনিটে পাউলো দিবালা আর গোলের মধ্যে পার্থক্য হয়ে দাঁড়ান মার্ক আন্দ্রে টার স্টেগান। ডিবক্সের বাইরে থেকে দিবালার নেওয়া দারুণ শট ঠেকিয়ে দেন জার্মান গোলরক্ষক। এছাড়া পুরো ম্যাচে বলার মতো তেমন কোন আক্রমণই করতে পারেনি দুই দল। ফলে ম্যাচ শেষ হয় গোলশূন্য ভাবেই।

    রাতের অন্য ম্যাচে ৮৯ মিনিটে গোল হজম করে বাসেলের কাছে ১-০ গোলে হেরে গেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।