• বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা
  • " />

     

    'মুশফিককে ব্যাটিংয়ে মনযোগী করার জন্যই এই সিদ্ধান্ত'

    'মুশফিককে ব্যাটিংয়ে মনযোগী করার জন্যই এই সিদ্ধান্ত'    

    ঝড়ের পূর্বাভাসটা পাওয়া গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া সিরিজের পরেই। মুশফিকুর রহিম বোমা ফাটিয়ে বলেছিলেন, দলে তাঁর ভূমিকাটা নিজের ইচ্ছায় হচ্ছে না। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এর পরেই বলেছিলেন, সমস্যাটা মুশফিকের। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের খারাপ সময় সেই অবিশ্বাসের ফাটল আরও চওড়া করেছে, এর মধ্যে মুশফিক সরাসরি কোচের ওপরেও দোষ চাপিয়েছেন। মুশফিককে অধিনায়কত্ব হারাতে হতে পারে, এর পরেই আভাস দিয়েছিলেন নাজমুল হাসান। শেষ পর্যন্ত সেই ঘোষণাই এসেছে আজ। কারণটা অবশ্য বিসিবি সভাপতি পুরোপুরি ব্যাখ্যা করলেন না। ‘আনুষ্ঠানিক’ কারণ হিসেবে শুধু বললেন, মুশফিককে আরও বেশি ব্যাটিংয়ে মনযোগী করার জন্যই এই সিদ্ধান্ত।

    দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের সময়েই বিসিবি সভাপতি বলেছিলেন, মুশফিকের কথার জন্য দেশের ক্রিকেটের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করছেন, তাও জানিয়েছেন। এর মধ্যে অনেক দিক দিয়েই অনেক জল গড়িয়ে গেছে, হাথুরুসিংহে হুট করেই বাংলাদেশের দায়িত্ব ছেড়ে দায়িত্ব নিয়েছেন শ্রীলঙ্কার। কাল বাংলাদেশে বিদায়ী সাক্ষাৎকারে এসে অবশ্য বিসিবি সভাপতির সঙ্গে দেখা করে গেছেন। তার আগে তিন অধিনায়কের সঙ্গে বসেছিলেন বিসিবি সভাপতিও। হাথুরুও নিজের প্রতিবেদন দিয়ে গেছেন বলেই জানিয়েছলেন নাজমুল হাসান। সবকিছু মিলে শেষ পর্যন্ত মুশফিকের ওপরেই নেমে এসেছে খড়গ।

     

     

    আজ বিসিবি সভাপতি অবশ্য সেই খোলাসা করে সবকিছু বললেন না। শুধু জানালেন, মুশফিকের কাছ থেকে সেরাটা আদায়ের জন্যই এই সিদ্ধান্ত, ‘একেবারে যে স্পেসিফিক ফাউন্ড আছে এটা যে তা না। থাকলেও সব সময় বলা যাবে না। আমাদের মনে হয়েছে এখানে পরিবর্তন হওয়া দরকার। আমাদের কাছে মনে হয়েছে মুশফিকের কাছ থেকে আমরা ব্যাটসম্যান হিসেবে সেরাটা চাই। আমাদের মনে হয়েছে তাতে করে মুশফিক চাপমুক্ত হবে, ব্যাটিংয়ে মনযোগ দেবে। ওভারঅল আমরা আগামী চার পাঁচ বছরে যে পরিকল্পনা করেছি তারই একটা ধাপ।’

    সাকিবের অধিনায়কত্ব ও মাহমুদউল্লাহর সহ অধিনায়কত্ব প্রাপ্তির সঙ্গে সম্পূরকভাবে চলে আসছে আরেকটি প্রসঙ্গও। তামিম ইকবাল তাহলে কেন টেস্টের সহ অধিনায়কত্ব হারালেন? বিসিবি সভাপতি অবশ্য ব্যাপারটা এড়িয়ে গেলেন, ‘তামিম টি-টোয়েন্টিতে আছে, সে এখন টি-টোয়েন্টিতেই থাকবে।’  

    কিন্তু সাকিবকে অধিনায়ক করায় তিন সংস্করণে তিন অধিনায়কের নীতি থেকে কেন সরল বিসিবি? নাজমুল হাসান এবার একটু কূটনৈতিক হলেন, ‘এখানে দু'ধরনের মতবাদ আছে। একটা ছিল তিন ফরম্যাটে তিন অধিনায়ক থাকবে, যেটা আগে ছিল। আবার আরেকটা আছে যে একই অধিনায়ক তিন সংস্করণে থাকবে। তো দুটিরই সুবিধা অসুবিধা আছে, আমরা দুইটি নিয়েই ভাবছি। আপাতত মাশরাফি ওয়ানডে অধিনায়ক, ওখান থেকে তাকে সরানোর প্রশ্নই ওঠে না। তাই আমরা সেটার প্রয়োজনীয়তা দেখছি না। আপাতত দুজন অধিনায়ক থাকবে।’

    নাজমুল হাসান জানিয়েছেন, মুশফিক এই মুহূর্তে থাইল্যান্ডে আছেন। তবে তাঁর সঙ্গে কথা বলেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, জানানো হয়েছে অন্য দুই অধিনায়ককেও।