• বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা
  • " />

     

    'মুশফিককে অধিনায়ক থেকে বাদ দেওয়া সাহসী সিদ্ধান্ত'

    'মুশফিককে অধিনায়ক থেকে বাদ দেওয়া সাহসী সিদ্ধান্ত'    

    কাগজে কলমে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের সেই দুঃস্মৃতি একপাশে সরিয়ে রাখলে তার আগের তিনটি টেস্ট সিরিজেই বাংলাদেশ ড্র করেছিল তাঁর নেতৃত্বে। ইংল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সেই সুখস্মৃতির পরও সরে যেতে হলো মুশফিকুর রহিমকে। ঢাকা ডায়নামাইটস কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন ব্যাপারটা দেখছেন সাহসী সিদ্ধান্ত হিসেবে। আর সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলছেন, সিদ্ধান্তটা শুধু দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের ওপরে বিবেচনা করা হলে মুশফিকের জন্য তিনি দুঃখিত।

     

     

    মুশফিকের ওপর খড়গ নেমে আসতে পারে, সেই আভাস পাওয়া গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ থেকেই। কাল শুধু ট্রিগার বাটনে চাপ দিয়েছেন নাজমুল হাসান, মুশফিকের কাছ থেকে কেড়ে সেটি সাকিব আল হাসানের কাছে দিয়েছে বিসিবি। বিসিবি পরিচালক ও ঢাকা কোচ খালেদ মাহমুদ এই সিদ্ধান্তটা দেখছেন সাহসী একটা পদক্ষেপ হিসেবে, ‘মুশফিক আমাদের জন্য দারুণ একজন ক্রিকেটার। সে দারুণ খেলোয়াড়। সে আমাদের ব্যাটিং স্তম্ভদের একজন, আমরা সব সময় বলি মুশফিক দুর্দান্ত। এটাতে আমরা দ্বিমত করি না। ক্রিকেটে কথা আছে, অন অ্যাণ্ড অফ দ্য ফিল্ড। আমার মনে হয় বিসিবির এটা মাথায় আছে। এরকম পারফরম্যান্সের একজন অধিনায়ককে বাদ দেওয়া হলো কিনা সেটা নিয়ে তর্ক থাকবেই। তবে আমার মনে হয় কখনো বোল্ড ডিসিশন নিতে হয়, যেটা বাংলাদেশ দলকে সাহায্য করবে। আমরা সব সময় চিন্তা করি বাংলাদেশের ক্রিকেটকে কীভাবে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। সাউথ আফ্রিকার কিছু সিদ্ধান্ত খুবই বিতর্কিত, যেটা আমি মনে করি না বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য খুব ভালো কিছু হয়েছে। যেটাতে অনেকগুলা যদি বা কিন্তু ছিল । কিন্তু বাংলাদেশ কেন টসে জিতে ব্যাটং বা বোলিং করবে, সেটা নিয়ে এরকম দ্বিধা থাকতে পারে না। এটা পরিষ্কার থাকতে হবে। এরকম যখন দোনোমনা, এটা ম্যানেজমেন্টের ডিসিশন না ক্যাপ্টেনের । এটা অখন ক্লিয়ার হতে পারি না তখন এটা বিতর্কিত। আমার মনে হয় আমরা এরকম বিতর্কের মধ্য দিয়ে যেতে চাইনি। আমি সব সময় বলি সব সময় মাঠের পারফরম্যান্স সবকিছু না। অফ দ্য ফিল্ড ক্যাপ্টেন্সি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

    তবে সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল ব্যাপারটা দেখছেন অন্য একটা দৃষ্টিকোণ থেকে। নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘ দক্ষিণ আফ্রিকা সফরই যদি হয় এই পরিবর্তনের কারণ তাহলে আমাকে বলতেই হবে আমাদের আরও অনেক বেশি পরিণত হতে হবে। আমাকে বলতেই হবে আমি আমাদের সবচেয়ে সফল অধিনায়ককে সম্মান দিতে ব্যর্থ হয়েছি। দুঃখিত, মুশফিক আমি সিনিয়র হিসেবে আপনার জন্য কিছু করতে পারিনি। কিন্তু আমি নিশ্চিত, দেশের জন্য যা করেছেন, তাতে আপনি আরও অনেকের সম্মান পেয়েছেন। এবং সেটাই আপনাকে জীবনের পরবর্তী অর্জনের দিকে এগিয়ে নেবে।’