কম টেস্টের আক্ষেপ থাকছে না বাংলাদেশের
আইসিসির চলতি সূচি অনুযায়ী ২০১৯ সাল পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৩৩ টি টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। ২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ঘোষিত নতুন এফটিপি( ফিউচার ট্যুর প্ল্যান) অনুযায়ী বাংলাদেশের টেস্টের সংখ্যাটা বাড়ছে। এই সময়ের মাঝে সব মিলিয়ে ৩৫ টি টেস্ট খেলবে সাকিব-মুশফিকরা, যা কিনা ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের পর সবচেয়ে বেশি।
নতুন এফটিপি অনুযায়ী, ২০১৯ সালের মে থেকে ২০২৩ সালের মে পর্যন্ত মোট ১৭৫টি টেস্ট ম্যাচ খেলা হবে। সবচেয়ে বেশি টেস্ট খেলবে ইংল্যান্ড(৪৬ টি)। এরপর আছে অস্ট্রেলিয়া(৪০টি) ও ভারত (৩৭টি)। ‘তিন মোড়লের’ পর সবচেয়ে বেশি টেস্ট পাচ্ছে বাংলাদেশ।
টেস্ট খেলার দিক দিয়ে বাংলাদেশের পরেই আছে দক্ষিণ আফ্রিকা, তাঁরা খেলবে ৩২ টি টেস্ট। ২৯ টেস্ট খেলবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলংকাও খেলবে সমান সংখ্যক ম্যাচ। পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড খেলবে ২৮টি, জিম্বাবুয়ে খেলবে ১৭ টি টেস্ট। টেস্ট ক্রিকেটের দুই নতুন সদস্য আয়ারল্যান্ড ও আফগানিস্তান খেলবে যথাক্রমে ১৬ ও ১৩ টি টেস্ট।
এবারের সূচিতে ২০১৯-২০ সালে ভারতে টেস্ট ও ওয়ানডের পূর্নাঙ্গ সফরে যাবে বাংলাদেশ। ২০২২-২৩ সালে ফিরতি সফরে বাংলাদেশে আসবে ভারত।
ওয়ানডের দিক দিয়েও কয়েকটি দেশের চেয়ে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। ওই পাঁচ বছরে বাংলাদেশ খেলবে ৪৫টি ওয়ানডে। সবচেয়ে বেশি ওয়ানডে পেয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, তাঁরা খেলবে ৬২ ম্যাচ। এরপর আছে ভারত, তাঁরা খেলবে ৬১টি ওয়ানডে। শ্রীলংকা খেলবে ৪৮ টি, নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা খেলবে ৪৫ টি ওয়ানডে। ইংল্যান্ড খেলবে ৪৩টি, আয়ারল্যান্ড ৪২টি, আফগানিস্তান ৪১টি, জিম্বাবুয়ে ৪০টি ও পাকিস্তান খেলবে ৩৮ ওয়ানডে।
২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে ৪২টি। সবচেয়ে বেশি ৬১ ম্যাচ খেলবে ভারত, ওয়েস্ট ইন্ডিজ খেলবে ৫৬টি টি-টোয়েন্টি । নিউজিল্যান্ড ৪৯টি, আয়ারল্যান্ড ৪৪ টি, দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কা ৪২টি, ইংল্যান্ড ৪১টি, অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তান ৩৮টি, আফগানিস্তান ৩৪ টি ও জিম্বাবুয়ে খেলবে ৩১টি টি-টোয়েন্টি।