অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে উপভোগের মন্ত্র দিলেন মাশরাফি...
অনূর্ধ্ব-১৫ দলের মেয়েরা যখন ফুটবলে বাংলাদেশের বিজয় নিশান উড়াচ্ছে, বাংলাদেশের আরেকটি বয়সভিত্তিক দল যাচ্ছে বিশ্বকাপ খেলতে। দলটি অবশ্য ফুটবলের নয়, ক্রিকেটের। ১৩ জানুয়ারি থেকে নিউজিল্যান্ডের শুরু হচ্ছে আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ। বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ওইদিনই, নামিবিয়ার সঙ্গে। সে টুর্নামেন্ট খেলতে আজ রাতেই ঢাকা ছাড়বেন সাইফ হাসানরা।
যাওয়ার আগে মিরপুর শের-ই-বাংলাতে শেষ মুহুর্তের পরামর্শ পেয়েছেন সাইফরা, বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার কাছে। এ বছরই নিউজিল্যান্ডে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলে এসেছে বাংলাদেশ। তবে মাশরাফির কাছে অভিজ্ঞতা আরেকটু বেশি, নিজের প্রথম আন্তর্জাতিক সফরেই নিউজিল্যান্ড গিয়েছিলেন তিনি। তখন তার বয়স ১৮-এর মতো, সাইফদের বয়সেরই প্রায়। যুবাদের উজ্জীবিত করতে মাশরাফির মূলমন্ত্র তাই উপভোগ করা।
‘মাশরাফি ভাই আসলে কোনো চাপ দেন না। আমাদের বলেছেন খেলাটা উপভোগ করতে। পুরো স্বাধীনতা নিয়ে খেলতে। এগুলোই আসলে চাপ কমিয়ে দেয়, তার প্রেরণাও অনেক কাজে দেয়’, বলেছেন সাইফ হাসান।
কন্ডিশনের কথা মনে করিয়ে দেয়ার সঙ্গে মাশরাফি দিয়েছেন তার অনুজদের তার পূর্ণ সমর্থনও। দলের সবাইকেই আলাদা করে দায়িত্ব নিতে বলেছেন, ‘তার কথামতো আমরা সব ক্রিকেটারই অধিনায়ক।’
তবে শুধু মাশরাফির কথা নয়, নিজেদের প্রস্তুতিটাও ভাল বলেই মনে হচ্ছে অধিনায়ক সাইফের, ‘সবমিলিয়ে আমাদের প্রস্তুতিটা খুবই ভালো। শেষ এশিয়া কাপ খেলে এসেছি, সবাই মানসিক দিক দিয়ে উদ্দীপিত। আমরা খুব ভালো ম্যাচ খেলে এসেছি। এখানে এসেও আমরা দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছি এইচপি দলের বিপক্ষে। বিকেএসপিতে খুব ভালো ম্যাচ হয়েছে। সবমিলিয়ে প্রস্তুতি খুবই ভালো। আমাদের একটা সুবিধা আছে, আমরা নিউজিল্যান্ড আগে যাচ্ছি। যতটুকু সম্ভব ওইখান থেকে নেওয়ার চেষ্টা থাকবে আগে গিয়ে।’
এশিয়া কাপে মালয়েশিয়ায় পাকিস্তানের সঙ্গে বৃষ্টিবিঘ্নিত সেমিফাইনালের হেরেছিল বাংলাদেশ। গত যুব বিশ্বকাপেও দেশের মাটিতে এই সেমিফাইনাল পর্যন্তই গিয়েছিল মেহেদি হাসান মিরাজের দল। সেখানে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে। তবে মূলমন্ত্র যখন উপভোগ করা, তখন আসলে স্বপ্নভঙ্গের কিছু নেই।
আর চাইলেই তো তহুরাদের কাছ থেকে একটা প্রেরণা নিয়ে দেশ ছাড়তে পারেন সাইফরা!