• ত্রিদেশীয় সিরিজ
  • " />

     

    পেসারদের পারফরম্যান্স গুরুত্বপূর্ণ মাশরাফির কাছে

    পেসারদের পারফরম্যান্স গুরুত্বপূর্ণ মাশরাফির কাছে    

    নিউজিল্যান্ড সফর দিয়ে শুরু, দক্ষিণ আফ্রিকার বিভীষিকা দিয়ে শেষ। সদ্য বিদায়ী বছরের শুরু ও শেষের দুই সফরেই সব ফরম্যাটে হেরেছিল বাংলাদেশ। তবে খেলার ধরনে বেশি করে যেন সামনে আসে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে পারফরম্যান্সই। নতুন বছরে সে বিভীষিকা ভুলিয়ে দিতে পারে শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের সঙ্গে ত্রিদেশীয় সিরিজের পারফরম্যান্স। ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাও চান তেমনই। 

    ‘ত্রিদেশীয় সিরিজটা গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই জেতার পরিকল্পনা থাকবে। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফেরার পর সবাই হতাশ। আমরা যদি এটা জিততে পারি, তাহলে পরিস্থিতির মোড় ঘুরে যেতে পারে’, মিরপুরে বাংলাদেশের অনুশীলনে মাশরাফি জানিয়েছেন জেতার আশা। 

    তবে দেশে বা বিদেশে, ভাল করতে হলে পেসারদের পারফরম্যান্স গুরুত্বপূর্ণ বলে মত মাশরাফির, ‘গত তিন সাড়ে তিন বছরে যা জিতেছি, জেতা ম্যাচগুলোর দিকে তাকালে দেখবেন যে পেসাররা ভালো করে। আবার হেরে যাওয়া ম্যাচগুলো দেখলে দেখবেন যে, ওইখানেও অতোটাই খারাপ ছিলো। আমাদের ধারাবাহিকতাটা যথাযথভাবে নাই। টানা ৯-১০টা ম্যাচ ভালো করলে, এ রকম ধারাবাহিকতা থাকলে হয়তো আমাদের সুযোগ বেশি থাকবে। যে ম্যাচগুলো জিতেছি, সেখানে কেমন পরিবেশ ছিলো; মাঠে যদি সেটা তৈরি করতে পারি আসলে আমার মনে হয় পেসাররা আবার ভালো করবে।’

    ২০১৪ সালের শুরু থেকে এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেন চারজন পেসার। মাশরাফি ছাড়া রুবেল হোসেন, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান। ২৪টি জেতা ম্যাচে মাশরাফির উইকেট ৩৮টি, গড় ২২.১৫। মুস্তাফিজের ১১ ম্যাচে ৩৩ উইকেট ১২.৯০ গড়ে, তাসকিনের ২১.৫৬ গড়ে ২৩ উইকেট ১৩ ম্যাচে আর রুবেল ১৮টি জেতা ম্যাচে বোলিং করে ২২ উইকেট নিয়েছেন ৩২.৩১ গড়ে। 

     

     

    মাশরাফি বোলিং করেছেন ২৪টি হারা ম্যাচে, সেখানে তাকে ২৭ উইকেটের প্রতিটির পেছনে ব্যয় করতে হয়েছে ৪৪.৭৭ করে রান। রুবেলের ১৭ ম্যাচে ১৯টি উইকেটের গড় ৪৮.৬৮, তাসকিনের ১৬ ম্যাচে ৫২.৬৮ গড়ে আছে ১৬ উইকেট। আর মুস্তাফিজের ৮ ম্যাচে গড় ৩৫.৮০, উইকেট ১০টি। 

    তবে পেসারদের পারফরম্যান্সে সিরিজ জিতলেও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো সফরগুলোর ব্যর্থতা ঢাকবে না, ‘নিউজিল্যান্ডেও তিন-শূন্যতে হেরে এসেছিলাম। কিন্তু এ রকম চাপে পড়িনি। দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রতিটি ফরম্যাটে বাজে খেলেছি। আমাদের এখন কাজ হবে ঠিক কাজটা করা। দেশের মাটির জয় বিদেশে কোনো সহায়তা করবে না। কারণ “হোম-অ্যাওয়ে”র মধ্যে আকাশপাতাল ব্যবধান থাকে। দেশের মাটির সিরিজটা আমরা জিততে চাই। কিন্তু এটাকে বাইরের সফরের সঙ্গে মেলানোর সুযোগ নাই।’

    নাজমুল হাসান পাপন যেমন মাশরাফি-সাকিবকে ‘কোচ’ বলে উল্লেখ করেছেন, সেটাও ঠিক তেমন কিছু নয় বলেই মনে করিয়ে দিলেন তিনি, ‘আমার মনে হয় না, আলাদা কিছু করতে হবে। উনি (বোর্ড প্রেসিডেন্ট) যেটা বুঝিয়েছেন, সেটা হলো সিনিয়র খেলোয়াড়দের দায়িত্বের বিষয়টা। যেটা সব সময়ই থাকে। আলাদা কিছু করতে গেলে আরো সমস্যার উদ্ভব হতে পারে। তো আমার কাছে মনে হয় যেভাবে চলছিল, সেটাই ঠিক আছে। হয়তো দক্ষিণ আফ্রিকা সফর ভালো যায়নি। বাজে সময় থাকতেই পারে। এখন আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সেটা মাথায় না রেখে খেলা। এটাই বেশি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’

    যেমন গুরুত্বপূর্ণ পেস-বিভাগের জ্বলে ওঠাও।