• ত্রিদেশীয় সিরিজ
  • " />

     

    'ক্রিকেটার তো যায়নি, শুধু কোচ গেছে'

    'ক্রিকেটার তো যায়নি, শুধু কোচ গেছে'    

    চন্ডিকা হাথুরুসিংহের চলে যাওয়াতে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা নিজেদেরকে নিয়ে আরও  ভাবার সুযোগ পাবেন বলে ধারণা ফিল্ডিং কোচ রিচার্ড হ্যালসল। দলের সঙ্গে অনুশীলনে আজ ছুটি কাটিয়ে যোগ দিয়েছেন এই জিম্বাবুইয়ান।

    ‘আমার মনে হয় চন্ডিকার চলে যাওয়ার প্রধান কারণ, সে এই ক্রিকেটারদের নতুন কিছু দিতে পারবে বলে মনে না করা। এটা এখানকার ক্রিকেটারদের জন্য ভালই। চন্ডিকার চলে যাওয়াটা তাদেরকে চিন্তার নতুন ক্ষেত্র দিবে, তাদেরকে আরও বেশি দায়িত্বশীল করবে। এ মুহুর্তে বাংলাদেশের অবস্থা খুবই ভাল। দারুণ কিছু সিনিয়র ক্রিকেটার আছে, সাকিব-মাশরাফির মতো অধিনায়ক, মুশফিক, তামিম, রিয়াদের মতো ক্রিকেটার আছে। এরা এখন নিজেদের প্রকাশ করতে পারবে, চন্ডিকা তাদের কাছ থেকে যেটা চাইতো, এরা সেভাবেই খেলছে। কিন্তু খেলার সঙ্গে তাদের আরও সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ আছে, আর বয়স বাড়লে আপনি আরও দায়িত্বশীল হবেন। আমার তাই মনে হয়, সিনিয়রদের জন্য এটা রোমাঞ্চকর একটা ধাপ।’ 

     

     

    হাতুরুসিংহের শূন্যতা দলে কোনও প্রভাব ফেলবে না বলেই মনে করছেন তার সাবেক সহকারি, ‘প্রধান কোচের চলে যাওয়াটা একজন বড় ক্রিকেটারের চলে যাওয়ার চেয়ে কম তাৎপর্যপূর্ণ। আমাদের তো কোনো বড় ক্রিকেটার চলে যাচ্ছে না, তরুণ কোনও ক্রিকেটারও চলে যায়নি। শুধু কোচ গেছে। কিন্তু শ্রীলঙ্কার জন্য ব্যাপারটা আলাদা, তাদের কিছু সিনিয়র ক্রিকেটারই চলে গেছে। মালিঙ্গাকে কিছুদিন ধরেই দলে নেওয়া হচ্ছে না, এরকম কিছু সমস্যা আছে তাদের। আমার মনে হয়, আমাদের এমন সমস্যা নেই। আমাদের এই গ্রুপটা স্থায়ী, তারা সামনেই তাকিয়ে আছে এখন।’ 

    হ্যালসল ছাড়াও কোচিং স্টাফে আগে থেকেই আছেন কোর্টনি ওয়ালশ, সুনীল যোশিরা। খালেদ মাহমুদ সুজনের নতুন পদবী ‘টেকনিক্যাল ডিরেক্টর’। তবে পদ বদলালেও, দায়িত্ব সবার আগের মতোই থাকবে বলে মনে করেন হ্যালসন, ‘আমি কোচিং স্টাফের দিকে খেয়াল রাখি, এটা সবসময়ই করি। এটা নতুন কিছু না, সাপোর্ট স্টাফের লক্ষ্যই থাকে যাতে ক্রিকেটাররা বাংলাদেশের জন্য জিততে পারে, সেটার জন্য সম্ভব সবকিছু করা। আমরা সবাই এটাই চাই। আপনার পদবী কী থাকলো, এতে আসলে কোনও পার্থক্য তৈরি হয় না। প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ণ ক্রিকেটই সবাই চায়, আমরাও চাই। তাদেরকে সাহায্য করার জন্য আমার যা করার দরকার, আমি সেটাই করবো। এটাই আমার কাজ।’ 

    দক্ষিণ আফ্রিকার বাজে সফর থেকে ক্রিকেটাররা শিক্ষা নিবেন, এমন আশা তার। বিশ্বাসও হারাচ্ছেন ক্রিকেটারদের ওপর, ‘আমার মনে হয়, এটা ক্রিকেটারদের মনে করিয়ে দিবে, তারা কিসে ভাল। দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড বা অস্ট্রেলিয়াতে খেললে আপনি ঠিক নিজেকে মেলে ধরতে পারবেন না। আপনাকে মনোযোগি হতে হবে, আপনার শক্তিমত্তার জায়গায় ফিরে আসতে হবে। আমাদের অসাধারণ কিছু ক্রিকেটার আছে, তাদেরকে আসলে এসব কন্ডিশন মনে করিয়ে দিয়েছে তারা কিসে ভাল। তাদের সামর্থ্যের প্রতি আমার পূর্ণ বিশ্বাস আছে।’