• ত্রিদেশীয় সিরিজ
  • " />

     

    বেশি সোজা ড্রাইভ ভাল না

    বেশি সোজা ড্রাইভ ভাল না    

    ডিআরএস তুমি কার?

    পাঁচটি রিভিউ হলো এদিন। চারটিতে আম্পায়ার শরাফউদ্দৌলা, একটিতে শামসুদ্দীন। প্রথমে সাকিবের বিপক্ষে রিভিউ নিল জিম্বাবুয়ে, নো বল হওয়াতে প্রথম ধাপেই আটকে গেল তা। মাশরাফিকে আউটসাইড-এজে আউট দিয়েছিলেন শামসুদ্দীন। তিনি নিয়ে বসলেন রিভিউ। পরের ইনিংসের তিনটিতেই আম্পায়ার শরাফউদ্দৌলা। মাসাকাদজার বিপক্ষে বাংলাদেশের এলবিডাব্লিউর রিভিউ ব্যর্থ ইমপ্যাক্ট বাইরে থাকায়। সঙ্গে গেল রিভিউটাও। যেটা ভোগালোও, সানজামুলের বলে এলবিডাব্লিউ হতে পারতেন ক্রেমার, আম্পায়ার শামসুদ্দীন দেননি সেটা। এরপর জিম্বাবুয়ে নিল দুইটা রিভিউ। সাকিবের বলে ইনসাইড-এজে মুরকে এলবিডাব্লিউ দিয়েছিলেন শরাফউদ্দৌলা। এরপর ম্যালকম ওয়ালার নিলেন, তবে এলবিডাব্লিউয়ের সিদ্ধান্তটা থাকল বহালই।


    উইকেটই বা কার!

    উইকেটটা নতুন ব্যাটসম্যানের জন্য কঠিন, সেটা প্রমাণিতই এখন। মুশফিক যেন ৮ বল খেলেই নিজেকে ‘পুরোনো’ বানিয়ে ফেললেন, ওয়ালারকে স্লগ সুইপে মারলেন ছয়। পরের বল গুডলেংথে, ওয়ালারের অফস্পিনই লাফিয়ে উঠলো মুশফিকের কাঁধে। উইকেটের আসল রুপ যেন বুঝে গেলেন মুশফিক। খানিকবাদেই সেটা ভুলে গেলেন হয়তো, ওই সুইপ করতে গিয়েই টপ-এজে হলেন ক্যাচ।


    এলবিডাব্লিউ (বোল্ড) বাংলাদেশ

    সাকিব, রুবেলের একটি করে এলবিডাব্লিউর সঙ্গে সানজামুলের পরপর দুই বলে দুইটি- মোট চারটি উইকেট এলো এলবিডাব্লিউতেই। এ নিয়ে ছয়বার ইনিংসে চারটি করে এলবিডাব্লিউ পেল বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে নিজেদের রেকর্ডটা ৫টি এলবিডাব্লিউর। ২০০৬ সালে নাইরোবিতে কেনিয়ার সঙ্গে, আর ২০১৪ সালে ভারতের সঙ্গে পাঁচটি করে এলবিডাব্লিউ ছিল বোলিং ইনিংসে। তবে দুইবারই প্রথমে বোলিং করেছিল বাংলাদেশ।


    এরভিনের ‘হতে হতে হলো না’ দিন!

    ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন নিরোশান ডিকভেলার ক্যাচ নিতে, বলটা হাত থেকে বেড়িয়েই গেল। পরে মিসফিল্ডে চারও দিলেন। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে দ্বিতীয় ম্যাচে ক্রেইগ এরভিনের দুর্দশার ষোলকলা পূর্ণ হলো ব্যাটিংয়ে ফর্ম খুঁজে না পেয়ে। আজ ফিল্ডিংয়ে ইঙ্গিতটা অন্যরকম দিলেন তিনি। সাব্বিরের শট নির্বাচন থেকে শুরু করে সেটার রুপান্তর- ঠিকঠাক ছিল সবই। এরভিন যেন অতিমানব হয়ে উঠলেন, বাঁদিকে নীচু হয়ে নিলেন দুর্দান্ত ক্যাচ। তবে ব্যাটিংয়ে এরভিনের সেই পুরোনো চিত্রই! মাশরাফির আউটসুইং তাড়া করতে গিয়ে প্রথম স্লিপে ক্যাচ দিলেন সেই সাব্বিরের হাতেই। ২, ০, ২, ২-এর পর আজ ১১- এরভিনের দিনটা ভাল হতে হতেও হলো না ঠিক!


    বেশি সোজা ড্রাইভ ভাল না

    পেরেরার ফুললেংথের বলে মাশরাফির স্ট্রেইট ড্রাইভটা ছিল দারুণ। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে প্রথম ম্যাচে শেষের দিকে নেমে মাশরাফির ক্যামিও যেন আছড়ে পড়লো নন-স্ট্রাইকিং প্রান্তে। বলটা যে ভেঙ্গে দিল সে প্রান্তের স্টাম্প, চারের বদলে মাশরাফির জুটলো একটা ডট। মাশরাফি সেদিন করতে পেরেছিলেন ৬ রান। আজ মাশরাফি আক্ষরিক অর্থেই থাকলেন অন্যপ্রান্তে। এবার তার বলেই মাসাকাদজার শট গিয়ে লাগলো নন-স্ট্রাইক প্রান্তের স্টাম্পে, চারের বদলে মাসাকাদজা পেলেন একটি সিঙ্গেল। এরপর আর এক রানও করা হলো না তার, আউট হলেন ৫ রানে, ওই মাশরাফির বলেই!