• লা লিগা
  • " />

     

    বড় জয়ে 'পিএসজি মহড়া' সেরে নিল রিয়াল

    বড় জয়ে 'পিএসজি মহড়া' সেরে নিল রিয়াল    

    রিয়াল সোসিয়াদাদের বিপক্ষে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে খেলা ৮ ম্যাচে গোল করেছেন ১২ গোল, জিতেছেনও প্রতিটিই। আজ সোসিয়াদাদকে পেয়ে আবারও জ্বলে উঠলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। দলের মূল তারকার সাথে স্বরূপে ফিরল রিয়াল মাদ্রিদও। এই মৌসুমে লা লিগায় 'সিআর৭'-এর প্রথম হ্যাটট্রিকের দিনে সোসিয়াদাদকে নিয়ে রীতিমত ছেলেখেলা করল রিয়াল। ৫-২ গোলের জয়ে অন্য দুটি গোল করেছেন লুকাস ভাজকেজ এবং টনি ক্রুস। সেই সাথে পিএসজির বিপক্ষে বুধবার চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচের আগে নিজেদের ভালমতই ঝালিয়ে নিল রিয়াল।

     

    সোসিয়াদাদের জালে রিয়ালের গোলবন্যার সূচনা করেন ভাজকেজ। ম্যাচের মাত্র ৪৯ সেকেন্ডেই রোনালদোর ক্রসে হেড করে দলকে লিড এনে দেন এই স্প্যানিশ উইঙ্গার। ম্যাচের প্রথম মিনিটেই গোল হজম করে দিশেহারা হয়ে পড়ে সোসিয়াদাদ। প্রথমার্ধের বাকিটা সময় রিয়ালের আক্রমণভাগ সামলাতে রীতিমত হিমশিমই খেতে হয়েছে 'বাস্ক' দলটিকে। সোসিয়াদাদের দূর্বল রক্ষণভাগের বিরুদ্ধে মাত্র ৮ মিনিটেই ব্যবধান দ্বিগুণ করতে পারত জিদানের দল। কিন্তু মার্সেলোর পাস থেকে করিম বেনজেমার শট বারে প্রতিহত হলে অন্তত সে যাত্রায় বেঁচে যায় সোসিয়াদাদ। ম্যাচের প্রায় পুরোটা সময়ই একেবারেই নিষ্প্রভ ছিলেন এই ফ্রেঞ্চ স্ট্রাইকার। ম্যাচের একেবারে অন্তিম মূহূর্তে গোলের মাত্র গজ তিনেক থেকেও গোল করতে ব্যর্থ হয়েছেন বেনজেমা। এ কারণেই বড় জয়ের পরও ম্যাচ শেষে বেনজেমার উদ্দেশ্যে দুয়োধ্বনিতে ভারী হয়ে উঠে বার্নাব্যুর বাতাস। 

     

     

    বেনজেমা নিজের স্বভাবসুলভ খেলাটা খেলতে না পারলেও রিয়ালের বাকিরা ছিলেন দুর্দান্ত। ২৭ মিনিটে মার্সেলোর মাপা ক্রসে পা ছুঁয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রোনালদো। ক্লাব ক্যারিয়ারে এটি ছিল রোনালদোর ৫৫০তম গোল। ৩২ মিনিটে আবারও গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন রোনালদো। সোসিয়াদাদ গোলরক্ষক হেরোনিমো রুলিকে কাটিয়ে নিঃস্বার্থভাবে বেনজেমার উদ্দেশ্যে পাস বাড়ান 'সিআর৭'। কিন্তু এবারও গোল করতে ব্যর্থ হন তিনি। রিয়ালের 'নাম্বার নাইন'-এর শট লাইন থেকে ফিরিয়ে দেন দাভিদ জুরুতুজা। অবশ্য এর মিনিট দুয়েক পর আবারও সোসিয়াদাদ জালে বল পাঠায় রিয়াল। ভাজকেজের পাস থেকে ডিবক্সের বাইরে বল পান ক্রুস। ডানপায়ের নিখুঁত বাঁকানো শটে রুলিকে পরাস্ত করেন এই জার্মান। ৩৭ মিনিটে ক্রুসেরই একটি শট দারুণভাবে ফিরিয়ে দেন রুলি। কিন্তু লুকা মদ্রিচের ফিরতি কর্ণার থেকে হেড করে ব্যবধান ৪-০ করেন রোনালদো।

     

     

    প্রথমার্ধেই জয় নিশ্চিত করে ফেলায় পিএসজি ম্যাচের কথা মাথায় রেখে দ্বিতীয়ার্ধের পুরোটা সময়ই বেশ গা বাঁচিয়েই খেলেছে রিয়াল। ৪৬ মিনিটে হুয়ানমির হেড কেইলর নাভাসকে পরাস্ত করলেও প্রতিহত হয় বারপোস্টে। সান্ত্বনাসূচক গোলের জন্য অবশ্য ৭৪ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে সোসিয়াদাদকে। মিকেল ওয়ারজাবালের পাস থেকে ডিবক্সে বল পান জন বাউতিস্তা। বাঁ-পায়ের নিচু শটে মাদ্রিদের জালে বল পাঠান এই স্প্যানিশ স্ট্রাইকার। এই গোলের পরই যেন টনক নড়ে রিয়ালের। ম্যাচের ৮০ মিনিটে ডিবক্সের বাইরে বল পান বেল। ডিবক্সের বাইরে থেকে তার জোরাল শট ধরতে ব্যর্থ হন রুলি। ফিরতি বল নিয়ন্ত্রণে এনে রুলিকে কাটিয়েই হ্যাটট্রিক পূরণ করেন রোনালদো। রিয়ালের জার্সিতে এটি ছিল রোনালদোর ৪৩তম হ্যাটট্রিক। অবশ্য রোনালদোর হ্যাটট্রিকের মিনিট তিনেক পর আবারও গোল করে বসে সোসিয়াদাদ। ৮৩ মিনিটে ব্যবধান ৫-২ করেন সাবেক রিয়াল মিডফিল্ডার আসিয়ের ইয়ারামেন্দি। ম্যাচের একেবারে  শেষদিকে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিলেন রোনালদো। ৯০ মিনিটে ক্রুসের ফ্রিকিক থেকে রোনালদোর হেড পোস্টের সামান্য বাইরে দিয়ে গেলে ৫-২ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে মাদ্রিদ।