'অপ্রতিরোধ্য' কোহলিতে অসহায় আফ্রিকা
সংক্ষিপ্ত স্কোর
দক্ষিণ আফ্রিকা ৪৬.৫ ওভারে ২০৪ (জন্ডো ৫৪, শারদুল ৪/৫২)
ভারত ৩২.১ ওভারে ২০৬/২ (কোহলি ১২৯ *)
ফল-ভারত ৮ উইকেটে জয়ী
ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ ও ম্যান অফ দ্যা সিরিজ- বিরাট কোহলি
অসাধারণ, অতিমানবীয়, অবিশ্বাস্য; এই সিরিজে বিরাট কোহলির নামের পাশে যে বিশেষণই লাগান না কেনো, সেটাকে খুব কমই মনে হবে। ৬ ম্যাচে ৩ সেঞ্চুরিসহ ৫৫৮ রান, দক্ষিণ আফ্রিকা আসলে হেরে গেছে কোহলির কাছেই। সিরিজ নিশ্চিত হয়েছিল আগের ম্যাচে, শেষ ম্যাচটা ছিল নিছকই নিয়ম রক্ষার। সেঞ্চুরিয়ানে কোহলির আরেকটি দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে আফ্রিকাকে ৮ উইকেটে হারিয়ে ৫-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতল ভারত।
লক্ষ্য ছিল ২০৭। ১৯ রানের মাথায় ফেরেন আগের ম্যাচে কোহলিকে রান আউট করানো রোহিত শর্মা। ধারাভাষ্যকাররা মজা করেই বলছিলেন, কোহলিকে আজ থামানোর তাহলে কেউ নেই! তাঁদের কথাটাই কিন্তু সত্যি হলো।
চোখ ধাঁধানো সব শটে ৮২ বলে পূর্ণ করেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৩৫ তম সেঞ্চুরি। ১৯ চার ও দুই ছক্কায় সাজানো ইনিংসের সামনে পাত্তাই পাননি মরকেল-তাহিররা। ১৮ ওভার বাকি থাকতেই জয় পায় ভারত।
এই সেঞ্চুরিতে বেশ কয়েকটি রেকর্ডও গড়েছেন ভারতীয় অধিনায়ক। ৬ ম্যাচে সিরিজে তার মোট রান ৫৫৮। দ্বিপাক্ষিক সিরিজে এটাই কোনো ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ রান। সৌরভ গাঙ্গুলি ও ভিভিএস লক্ষণের পর তৃতীয় ভারতীয় হিসেবে এক সিরিজে ৩ টি সেঞ্চুরি পেলেন কোহলি, সৌরভ ও লক্ষণ অবশ্য এটি করেছিলেন ২০০৩ বিশ্বকাপ ও ২০০৪ সালের ভিবি সিরিজে।
২০১৮ সালের মাত্র ৪৭ দিন পার হয়েছে, এরই মাঝে ওয়ানডেতে কোহলির রান পেরিয়েছে ৫০০। এক বছরে এর চেয়ে কম সময়ে কেউই ৫০০ রান করতে পারেননি। আগের রেকর্ড ছিল শচীন টেন্ডুলকারের, ২০০৩ সালে ৬৯ দিনে ৫০০ রান পেরিয়েছিলেন।
অধিনায়ক হিসেবে কোহলির সেঞ্চুরি সংখ্যা দাঁড়াল ১৩টি। তার সামনে আছেন শুধুই অস্ট্রেলিয়ার রিকি পন্টিং, অধিনায়ক হিসেবে তার সেঞ্চুরি ২২ টি।
মাঠের এক কোনায় কিছু ভারতীয় ভক্ত কোরাসে স্লোগান দিচ্ছিলেন, 'শচীন, শচীন!' নাহ, শচীন স্টেডিয়ামের কোথাও ছিলেন না। এই স্লোগানটা কোহলির ব্যাটিং দেখেই......