• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    কোয়ার্টার ফাইনালে এক পা বায়ার্নের

    কোয়ার্টার ফাইনালে এক পা বায়ার্নের    

    ইউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে শেষ ষোলর প্রথম লেগে বেসিকতাসকে নিয়ে রীতিমত ছেলেখেলা করেছে বায়ার্ন মিউনিখ। নিজেদের মাঠ আলীয়াঞ্জ অ্যারেনাতে ৫-০ গোলের জয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে এক পা দিয়েই রাখল ইয়ুপ হেইঙ্কেসের দল। ‘বাভারিয়ান’দের হয়ে জোড়া গোল করেছেন রবার্ত লেভান্ডফস্কি এবং থমাস মুলার। অন্য গোলোটি এসেছে কিংসলে কোমানের পা থেকে।

     

    আলিয়াঞ্জ অ্যারেনাতে এই বড় হারের জন্য নিজেদেরই দুষতে পারে বেসিকতাস। ম্যাচের মাত্র ১৬ মিনিটে লেভান্ডফস্কিকে ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন ডিফেন্ডার ডোমাগজ ভিদা। ম্যাচের মাত্র সোয়া এক ঘণ্টা দশজন নিয়ে খেলায় বায়ার্নের সাথে পেরে উঠেনি বেসিকতাস। অবশ্য প্রথম গোলের জন্য প্রথমার্ধের একেবারে শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে হেইঙ্কেসের দলকে। লেফটব্যাক দাভিদ আলাবার পাস থেকে বেসিকতাস গোলরক্ষক ফাব্রিকে পরাস্ত করেন মুলার।

     

     

    প্রথমার্ধে মাত্র একবার লক্ষ্যভেদ করলেও দ্বিতীয়ার্ধে রীতিমত বিধ্বংসী রূপে আবির্ভূত হয় বায়ার্ন। ৫০ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করতে পারত তারা। কিন্তু লেভান্ডফস্কির চমৎকার বাঁকানো ফ্রিকিক প্রতিহত হয় বারপোস্টে। অবশ্য এর মিনিট দুয়েক পরই ব্যবধান ২-০ করেন কোমান। লেভান্ডফস্কির পাস থেকেই ডানপায়ের আলতো টোকায় গোল করেন এই ফ্রেঞ্চ উইঙ্গার। ম্যাচের বাকিটা স্ময় ছিল ‘মুলার-লেভান্ডফস্কি শো’। ৬৬ মিনিটে কোমানের পাস থেকে ম্যাচের নিজের দ্বিতীয় গোল করেন মুলার। ৮০ মিনিটে ব্যবধান ৪-০ করেন লেভান্ডফস্কি। প্রতি আক্রমণে ম্যাটশ হামেলসের শট ফাব্রি ফিরিয়ে দিলেও ফিরতি বল জালে পাঠাতে ভুল করেননি এই পোলিশ স্ট্রাইকার। ম্যাচের মাত্র মিনিট দুয়েক বাকি থাকতে বেসিকতাসে কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন লেভান্ডফস্কিই। আরিয়েন রোবেনের পাস থেকে ডিবক্সে বল পান মুলার। জার্মান ফরওয়ার্ডের নিচু ক্রস নিয়ন্ত্রণে এনে ফাব্রিকে পরাস্ত করতে ভুল করেননি তিনি।

     

    মার্চের ১৪ তারিখ বেসিকতাসের মাঠে অনুষ্ঠিত হবে ফিরতি লেগ।