• ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ
  • " />

     

    অপরাজিত থেকেই সিরিজ জিতল অস্ট্রেলিয়া

    অপরাজিত থেকেই সিরিজ জিতল অস্ট্রেলিয়া    

    স্কোর

    নিউজিল্যান্ড ২০ ওভারে ১৫০/৯ ( টেলর ৪৩*, অ্যাগার ৩/২৭)

    অস্ট্রেলিয়া ১৪.৪ ওভারে ১২১/৩ ( শর্ট ৫০, ম্যাক্সওয়েল ২০*, মানরো ১/১৮)

    ফল-অস্ট্রেলিয়া বৃষ্টি আইনে ১৯ রানে জয়ী

     

    টুর্নামেন্টের একটি ম্যাচেও হারেনি ডেভিড ওয়ার্নারের দল। অকল্যান্ডের ফাইনালে গাপটিল- মানরোর জুটির ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার পরীক্ষা নিতে পারেনি আর কেউই। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে বৃষ্টি আইনে ১৯ রানে হারিয়ে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের শিরোপা জিতল তারা। এই নিয়ে টানা ৬ টি-টোয়েন্টি জিতল অস্ট্রেলিয়া। 

     

    প্রথম দফা বৃষ্টির আগে ওয়ার্নার-আর্কি শর্ট জুটি নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ১৫১ রানের লক্ষ্যটা ‘মামুলি’ বানিয়ে দিচ্ছিল অস্ট্রেলিয়ার জন্য। কিউই বোলারদের ওপর তান্ডব চালিয়ে ২২ বলে ৪১ রান করেন শর্ট। বৃষ্টির বিরতির পরেই কিছুটা খেই হারিয়ে ফেলে অজিরা। ৬ চার ও ৩ ছয়ে হাফ সেঞ্চুরি করার কিছুক্ষণের মাঝেই কলিন মানরোর বলে ফেরেন শর্ট। ১২ রানের মাঝে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচে ফেরার আশা জাগিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। যেকোনো সময় আবারও নামতে পারে বৃষ্টি, ২-১টি উইকেট নিলেই বৃষ্টি আইনে জিতে যাওয়ার সম্ভাবনা, নিউজিল্যান্ডের সামনে তখন অপ্রত্যাশিত জয়ের হাতছানি।  

     

    অ্যারন ফিঞ্চ-গ্লেন ম্যাক্সওয়েল জুটিতে সেই আশায় গুড়েবালি। দ্বিতীয় দফায় বৃষ্টি হানা দেওয়ার আগে দুজন যোগ করেছেন ৩৭ রান। বৃষ্টি না কমায় জয়ী ঘোষণা করা হয় অস্ট্রেলিয়াকেই।  

     

    নিউজিল্যান্ডের শুরুটা দুর্দান্ত হয়েছিল গাপটিল- মানরো জুটিতে। ২৬ বলেই ওঠে ৪৮ রান। বেশি ভয়ংকর হয়ে ওঠার আগেই অবশ্য ফিরেছেন দুজনই। ২ চার ও এক ছয়ে ১৫ বলে ২১ করে ৫ম ওভারে বিলি স্ট্যানলেকের বলে আউট হয়েছেন গাপটিল। পরের ওভারেই ৩ চার ও ২ ছয়ে ১৪ বলে ২৯ করা মানরোকে ফেরান কেন রিচার্ডসন। এই দুজনকে হারানোর ধাক্কাটা পুরো ইনিংসে আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি কিউইরা।

     

    ৮ম ওভারে কেন উইলিয়ামসন আউট হওয়ার পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড। শেষ ৭ উইকেট পড়েছে ৭৬ রানে। দলের স্কোর যে ১৫০ ছুঁয়েছে, তার একমাত্র কৃতিত্ব রস টেলরের। ৩৮ বলে ৪৩ রান করা টেলর ক্রিজে ছিলেন শেষ পর্যন্ত।