• সিরি আ
  • " />

     

    আস্তোরির স্মরণে থমকে গেলো ম্যাচ

    আস্তোরির স্মরণে থমকে গেলো ম্যাচ    

     

    ঘড়ির কাটা ১৩ মিনিট ছুঁয়েছে স্টাডিও আর্তেমিও ফ্রাংকিতে। হঠাৎ করেই খেলা বন্ধ করে রেফারিসহ দুই দলের ফুটবলাররা যার যার জায়গায় দাঁড়িয়ে গেলেন স্থির হয়ে, দর্শকরাও উঠে দাঁড়ালেন। পুরো স্টেডিয়াম তখন করতালিকে মুখরিত, উচ্চারিত হচ্ছে শুধু একজনের নাম। গত সপ্তাহেই ওপারে পাড়ি জমানো ১৩ নম্বর জার্সি পরা ফিওরেন্টিনা অধিনায়ক ডেভিড আস্তোরির স্মরণে যেন থমকে গেলো সবকিছুই।

    ৪ মার্চ আকস্মিকভাবেই মৃত্যু ঘটে। শোকে ভেঙে পড়া ফিওরেন্টিনা দল সেই সপ্তাহের ম্যাচে মাঠে নামেনি, বাতিল হয়েছিল সিরি আর বাকি সব ম্যাচও। কাল ঘরের মাঠে বেনেভেন্তোর বিপক্ষে বুকে পাথর রেখেই খেলতে নেমেছিল ফিওরেন্টিনা। অনুশীলনের সময় দলের সবার গায়ে ছিল আস্তোরির ১৩ নম্বর জার্সি। স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলেন জিয়ানলুইজি বুফনসহ অনেকেই। বারবারই চোখ ছলছল করে উঠছিল সবার। 

     

     

    স্টেডিয়ামের প্রায় সবার হাতেই ছিল আস্তোরির ছবি। বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে হাজির হয়েছিলেন ভক্তরা। ম্যাচ শুরুর আগে ফিওরেন্টিনার একাদশ ঘোষণার সময় বলা হলো, ‘জার্সি নম্বর ১৩, ডেভিড আস্তোরি, আমাদের অধিনায়ক’। স্টেডিয়াম তখন ‘ডেভিড, ডেভিড’ ধ্বনিতে মুখরিত। একই সময়ে ফিওরেন্টিনা কোচ স্টেফানো পিওলির আড়ালে নিজের চোখ মুছেছেন। 

     

     

    ম্যাচের ২৫ মিনিটে এলো আরেকটি আবেগঘন মুহূর্তও। যে আস্তোরির পরিবর্তে একাদশে ঢুকেছিলেন ভিক্টর হুগো, তার পায়েই প্রথম গোল পেল ফিওরেন্টিনা। গোল করেই ডাগআউটের দিকে ছুটলেন, সেখানে আস্তোরির উঁচিয়ে ধরা জার্সির সামনে দাঁড়িয়ে জানালেন স্যালুট।

     

     

    হুগোর একমাত্র গোলেই ম্যাচ জিতেছে ফিওরেন্টিনা। পুরো ৯০ মিনিট যে কষ্ট আড়াল করে খেলেছেন দলের সবাই, শেষ বাঁশি বাজার পরপরই সেই বাধ ভেঙে যায়। কান্নায় ভেঙে পড়েন ফিওরেন্টিনা ফুটবলাররা। আস্তোরির আর্ম ব্যান্ড পরা মিলান বাদেল কষ্টটা হয়ত একটু বেশিই ছিল। এই দায়িত্বটা যে কখনোই এভাবে পেতে চাননি!