• সিরি আ
  • " />

     

    জুভেন্টাসের জয়ের রাতে নাপোলির হতাশা

    জুভেন্টাসের জয়ের রাতে নাপোলির হতাশা    

     

    দুই পয়েন্ট পেছনে থেকে তাদের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছিল নাপোলি। লিগের ৩০ তম ম্যাচে প্রতিপক্ষ এসি মিলান হওয়ায় এগিয়ে থাকার লড়াইয়ে হয়ত কিছুটা চিন্তিত ছিল জুভেন্টাস। তবে সাসুলোর সাথে নাপোলির ১-১ গোলে ড্রয়ের পর মিলানের বিপক্ষে ৩-১ গোলের জয়ে চার পয়েন্ট এগিয়ে গিয়ে কিছুটা স্বস্তিতেই রইল তুরিনের বুড়িরা।

     

     

    গত কয়েক সপ্তাহে সিরি আর শিরোপা দৌড় যেন হয়ে উঠেছে ‘মিউজিক্যাল চেয়ার।’ সেই চেয়ারে থিতু হতে পারছে না জুভেন্টাস-নাপোলি কেউই। নাপোলির সাথে ২ পয়েন্ট এগিয়ে থেকে মিলানের বিপক্ষে ঘরের মাঠে খেলতে নেমেছিল জুভেন্টাস। ৮ মিনিটের মাথায়ই পাওলো দিবালার গোলে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। মিরালাম পিজানিকের পাসে বল পেয়ে বক্সের বাইরে থেকে শট নেন, সেই শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়নি।

    লিড অবশ্য বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি জুভেন্টাস। জুভেন্টাস থেকে মিলানে যাওয়া লিওনার্দো বনুচ্চি প্রথমবার খেলতে এসেছিলেন সাবেক ক্লাবের মাঠে। ২৮ মিনিটে বক্সের ভেতর থেকে তার দুর্দান্ত এক হেডেই সমতা ফেরায় মিলান। প্রথমার্ধে আর সুযোগ তৈরি করতে পারেনি কোনো দলই।

    দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের পয়সা সাজিয়ে বসে মিলান। ৫৫ মিনিটে হাকান কালহানগলুর শট পোস্টে লেগে ফিরে এলে এগিয়ে যাওয়া হয়নি মিলানের। দ্বিতীয়ার্ধের পুরোটা মিলান রাজত্ব করলেও এগিয়ে যায় জুভেন্টাসই। ৭৯ মিনিটে স্যামি খেদিরার ক্রসে হেডে গোল করেন হুয়ান কুয়াড্রাডো। ম্যাচে ফেরার জন্য নিজেদের গুছিয়ে নেওয়ার আগেই তৃতীয় গোল হজম করে মিলান। দিবালার বাড়ানো বলে ৮ মিনিট পড়েই দারুণ এক শটে বল জালে জড়িয়ে জয় নিশ্চিত করেন খেদিরা।

    অন্য ম্যাচে পয়েন্ট তালিকার তলানিতে থাকায় সাসুলোর বিপক্ষে ৫ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত নাপোলি, তবে হোসে ক্যালেজনের গোল অফসাইডে বাতিল হয়। প্রথমার্ধে বেশ কয়েকটি সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি তারা। বিরতির ঠিক আগে নাপোলিকে চমকে দিয়ে মাত্তেও পলিতানোর গোলে এগিয়ে যায় সাসুলো।

    দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে ফেরার অনেক চেষ্টাই করেছে নাপোলি। ফরোয়ার্ডদের সব চেষ্টা ব্যর্থ হলেও কপাল খোলে প্রতিপক্ষের ভুলে। ৮০ মিনিটে রোজারিওর আত্মঘাতী গোলে হার এড়ায় তারা। অন্তিম মুহূর্তে অবশ্য জয়সূচক গোল পেতে পারত নাপোলি। আরকাদিউজ মিলিকের অসাধারন এক বাইসাইকেল কিক গোলপোস্টে লেগে ফিরে আসলে হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়ে তারা।