• ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ
  • " />

     

    প্রিমিয়ার লিগ মিস করে হতাশ তামিম

    প্রিমিয়ার লিগ মিস করে হতাশ তামিম    

    চোটের কারণে পিএসএলের শেষদিক শুধু না, তামিম ইকবাল খেলতে পারেননি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও। তার দল কলাবাগানও ভুগেছে তার অভাবে। শুধু কলাবাগান তাকে মিস করেনি, তামিম নিজেও মিস করেছেন প্রিমিয়ার লিগের এবারের আসর। তবে আফগানিস্তান সিরিজের ক্যাম্প শুরুর আগেই পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শেষ হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। 

    ‘সত্যিই ঢাকা লিগ খেলাটা খুব উপভোগ করি’, বলছেন তামিম, ‘ঘরোয়ার এই আসরটাই আমি সবচেয়ে বেশি উপভোগ করি। এই আসরের ক্রিকেটের মান অনেক উঁচুতে। এই আসরে খেলোয়াড়রা শতভাগের চেয়ে বেশি উজাড় করে দেয়। এ রকম একটা আয়োজনে খেলতে না পারাটা হতাশাজনক। কিন্তু এই মুহূর্তে আমার চোট থেকে সেরে ওঠাই আমার মূল কাজ। কারণ জাতীয় দলের অনেক খেলা আছে। আশা করি ফিট হয়ে গেলেই আমি খেলার জন্য প্রস্তুত হয়ে উঠবো।’

    আপাতত পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে আছেন তিনি, ‘আমার পুরোপুরি সুস্থ হতে চার থেকে ছয় সপ্তাহ সময় লাগবে। পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার আজ তিন বা চার নম্বর দিন গেলো। প্রতিদিনই কিছু না কিছু কাজ থাকছে; হয়তো ট্রিটমেন্ট চলে বা পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চলে। পুরো সময় কাটিয়ে যদি সুস্থ হতে পারি, তাহলে ইনজুরির জায়গাগুলো শক্তভাবে নতুন করে তৈরি হবে। সেটা ভালো হবে।’

    ‘কারণ একবার খেলা শুরু হলে বিরতিহীনভাবে চলতে থাকবে। অনেকগুলো খেলা আছে। এ কারণে সময়টা গুরুত্বপূর্ণ। এখন যদি ঠিকভাবে সেরে করতে পারি, তাহলে সামনে আর সমস্যা হবে না। খেলা তো জুন মাসে। মে মাসের সাত আট তারিখের দিকে আমার পুনর্বাসন শেষ হবে। তারপর ১০-১২ তারিখের দিকে ক্যাম্প হবে। আশার কথা হলো হাতে অনেক সময় আছে। আশা করি আফগানিস্তান সিরিজের আগেই পুরোপুরি সেরে উঠতে পারবো।’

    ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে এবার ৪৭টি সেঞ্চুরি হয়েছে। ব্যাটসম্যান হিসেবে এই ব্যাপারটাকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন তামিম, ‘আপনি যেখানেই রান করুন না কেনো (সেটা বড় ব্যাপার), বোলারদের মান কেমন ছিলো সেটা বড় নয়। রান করাটাই বড় কথা। অনূর্ধ্ব-১৩ দলে হোক বা জাতীয় দলে হোক, রান করা সহজ কাজ নয়। ৪৭টি সেঞ্চুরি অনেক বড় ব্যাপার। আশা করি সামনে আরো বাড়বে।’

    তবে ব্যাটসম্যানদের এমন পারফরম্যান্স মানেই বোলারদের করুণ এক চিত্র। সে জায়গায় উন্নতির তাগিদ দিচ্ছেন তামিম, ‘এই একটা জায়গায় আমাদের খুব দ্রুত উন্নতি করা দরকার। কারণ জাতীয় দলেও যদি দেখেন, আমি বিশ্বাস করি যে, বোলাররাই আমাদের ম্যাচ জেতায়; বড় বড় জয় যদি দেখেন, ভারত সিরিজ দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ, বা পাকিস্তান সিরিজ। হ্যাঁ, ব্যাটসম্যানরা পারফর্ম করেছে, সঙ্গে বোলাররাও বিশাল দায়িত্ব পালন করেছে দেখেই আমরা জিতেছি।

    ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলিং বিভাগ যদি সেরা পারফর্ম দেয়, তাহলে ম্যাচ জেতা সহজ হয়ে যায়। আমি আশা করবো, আমাদের যে বোলাররা ফর্মে নেই, তারা দ্রুত তাদের সেরা অবস্থায় এসে যাবেন। জাতীয় দলের ব্যাটিং বিভাগটা একটু স্থির এখন। এর সঙ্গে বোলিং বিভাগ যদি পারফর্ম করা শুরু করে, তাহলে কঠিন কঠিন ম্যাচও আমরা জিততে শুরু করবো।’

    অবশ্য বোলারদের ক্ষেত্রে আশ্চর্য ব্যতিক্রম ছিলেন ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা নিজেই। এর আগে মাশরাফি বলেছিলেন, লিগটাকে তিনি নিয়েছিলেন বেশ গুরুত্ব সহকারে, তামিমও বললেন তেমনই, ‘উনি প্রায় উনার ক্যারিয়ারের শেষ দিকে। এমন সময়ে এসে এ রকম পারফর্ম করা সহজ নয়। এটাই প্রমাণ করে, উনি ঘরোয়া লিগকেও কতোটা গুরুত্ব সহকারে নিয়েছেন। উনি যদি পাঁচ বা দশ ভাগ কম দিয়েও খেলতেন, তাহলে এই অর্জন তিনি পেতেন না। যারা তাঁকে আদর্শ মনে করেন বা বাংলাদেশ দলের বোলার হতে চান, তাদের জন্য মাশরাফির এই পারফরম্যান্স একটা অসাধারণ উদাহরণ।’