• ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ
  • " />

     

    শেখ জামালকে সান্ত্বনার জয়ও পেতে দিল না খেলাঘর

    শেখ জামালকে সান্ত্বনার জয়ও পেতে দিল না খেলাঘর    

    শেখ জামাল ১৬০, ৪৫ ওভার (নুরুল ৪৭, সোহাগ ২৭, আল-ইমরান ২৫, মেনারিয়া ২/৩৮, সাদ্দাম ২/১৮)
    খেলাঘর ১৬১/৬, ৩৬.৫ ওভার (নাজিমউদ্দিন ৬১, রাফসান ৪৬, নাজমুল ৫/৩২, আল-ইমরান ১/১৯)
    ফল- খেলাঘর ৪ উইকেটে জয়ী 


    ম্যাচ শেষে আদতে বোঝার উপায় নেই, কে জিতল আর কে হারলো। একে অন্যকে জড়িয়ে ধরছেন, অভিনন্দন জানাচ্ছেন। শেখ জামাল ও খেলাঘর- দুই ক্যাম্পেই যে বিচ্ছেদের সুর। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের শেষ ম্যাচ, ঘরোয়া ক্রিকেটারদের সবচেয়ে বড় মিলনমেলা সাঙ্গ হলো আজই। 

    নিজেদের শেষ আশাটুকু বাঁচিয়ে রাখতে জিততেই হতো শেখ জামালকে, এরপর ছিল হিসাব-নিকাশ। ধানমন্ডির ক্লাব অবশ্য সে পথে হাঁটলো না, খেলাঘরের কাছে হেরে পয়েন্ট টেবিলের তিনে থেকেই প্রিমিয়ার লিগ শেষ করলো তারা। আর প্রথমবার সুপার লিগে খেলা খেলাঘরের লিগ শেষ হয়েছে পাঁচে থেকে। 

    মিরপুরে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বিপর্যয়ে পড়েছিল শেখ জামাল। এক নুরুল হাসান সোহানের ৪৭ রানের ইনিংসই যা একটু ফুটে উঠেছে জামালের ব্যাটিং-কার্ডে। আগেরদিন আবাহনীর সঙ্গে ম্যাচে না খেলা চারজন চোট কাটিয়ে ফিরেছেন আজ, খেলাঘরও ফিরেছে অন্য রুপে। শেখ জামালের ব্যাটসম্যানরা অবশ্য উচ্চাভিলাষী শটে আত্মহনন করেছেন নিয়মিতই। 

    শেষদিকে সোহাগ গাজির ২৭, আল-ইমরানের ২৫ ও রবিউল হকের ১৬ রানের ইনিংসে ১৬০ রান পর্যন্ত যেতে পেরেছে শেখ জামাল। সাত বোলারের মধ্যে ছয়জনই পেয়েছেন উইকেট। 

    ১৬১ রানের লক্ষ্য, ৩২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল খেলাঘর, আর নতুন আশা পেয়েছিল শেখ জামাল। নাজিমউদ্দিনের মৌসুমের প্রথম ফিফটির সঙ্গে রাফসান আল মাহমুদের ৪৬ রানের ইনিংসে সে চাপ আলগা করেছে খেলাঘর। 

    ছয়জন বোলারের মধ্যে শুধু ২ ওভার করেছেন একজন পেসার- রবিউল হক। আবু জায়েদ চৌধুরিকে বোলিংয়েই আনেননি নুরুল। আর বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল হাসান অপু একাই নিয়েছেন খেলাঘরের ছয়টির মধ্যে পাঁচটি উইকেট। ম্যাচ হারলেও ম্যাচসেরা হয়েছেন তিনিই।