• সিরি আ
  • " />

     

    জুভেন্টাসের শেষ ম্যাচে কাঁদলেন, কাঁদালেন বুফন

    জুভেন্টাসের শেষ ম্যাচে কাঁদলেন, কাঁদালেন বুফন    

    আন্দ্রেয়া বারজাগলিকে জড়িয়ে থাকলেন অনেক্ষণ ধরে। মুখে হাসি, হাসছেন দুইজনই, প্রথম দফায় বুঝে ওঠা কষ্টকর, বদলি আসলে হচ্ছেন কে! জিজি বুফনের হাসিটা এরপর ছড়িয়ে গেল অ্যালিয়াঞ্জ স্টেডিয়ামে, কান্না হয়ে। দর্শকরা কাঁদছেন, পরিবার কাঁদছে। কাঁদছে পুরো স্টেডিয়ামই। জিজি বুফন- জুভেন্টাসের হয়ে শেষ ম্যাচটা খেলে ফেললেন ইতিহাসের অন্যতম সেরা গোলকিপার, ইতিহাসে কজন ফুটবলারের বদলিতে এতো সময় লেগেছে, সেটা রীতিমতো গবেষণার বিষয়।

     

     

    এগিয়ে এলেন জুভেন্টাসের সবাই, সবাইকেই জড়িয়ে ধরলেন বুফন। এগিয়ে এলেন প্রতিপক্ষ হেলাস ভেরোনার খেলোয়াড়রাও। মাঠের বাইরে দুইপাশে লাইন করে দাঁড়িয়ে বাকি সতীর্থরা, সবার কাছে বিদায় নিয়ে বুফন হারিয়ে গেলেন টানেলে। কিছুক্ষণ বাদেই ফিরলেন আবার, এরপর শুরু করলেন দর্শকদের সঙ্গে হাত মেলানো। সেটা চললো আরও অনেক্ষণ, ম্যাচ শেষের বাঁশি বেজে গেছে এদিকে, বুফন ওদিকে বিদায় জানাচ্ছেন দর্শকদের, একে একে গিয়ে! 

     

    কান্নাই যখন সবচেয়ে শক্তিশালি ভাষা! 

    খেললেন ৬৩ মিনিট পর্যন্ত, জুভেন্টাসের টানা সপ্তম স্টুডেট্টো জেতা হয়ে গেছে আগেই, বাকি ছিল শুধু দারুণ এক মৌসুম শেষের আনুষ্ঠানিকতা। জুভেন্টাস সেটা শেষ করলো জয় দিয়েই, উঠে যাওয়ার আগ পর্যন্ত বুফন বজায় রাখলেন ক্লিন-শিট। গোলবারের নিচে এতোদিন ধরে জুভেন্টাসকে পাহারা দিয়ে এসেছেন যিনি, শেষম্যাচে তিনি কি আর গোল খেতে পারেন! তার বদলি হিসেবে নামলেন কার্লো পিনসগলিও, আজ যার অভিষেক। জুভেন্টাসের গোলকিপিং ব্যাটনটা যেন হস্তান্তর করেই বিদায় নিলেন বুফন!
     

    চ্যাম্পিয়নস লিগের বিদায়টা অবশ্য বুফনের সুখকর ছিল না মোটেও। রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে লাল-কার্ড দেখে মাঠ ছেড়েছিলেন কোয়ার্টার ফাইনালে। ইতালিকে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে পার করাতে না পেরে অবসর নিয়েছিলেন, সেটা ভেঙে ফিরেছেন অবশ্য আবার। জুভেন্টাসের হয়ে খেলা ছাড়লেও এখনই অবসর নিচ্ছেন না, তবে তুরিনের বুড়িদের হয়ে খেলবেন না আর। 

    ম্যাচের শেষদিকে নামলো বৃষ্টি। যে বৃষ্টিতে মিশে গেল জুভেন্টাস সমর্থকদের কান্না, বুফনের কান্না। যে কান্না বিদায়ের, যে কান্নায় মিশে আছে বুফনের সফল এক জুভেন্টাস ক্যারিয়ারের তৃপ্তি! 

    বিদায়, জিজি!