রোহিতের সেঞ্চুরিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ ভারতের
৩য় টি-টোয়েন্টি, ব্রিস্টল
ইংল্যান্ড ১৯৮/৯, ২০ ওভার
ভারত ২০১/৩, ১৮.৪ ওভার
ভারত ৭ উইকেটে জয়ী
হারদিক পান্ডিয়ার অল-রাউন্ড পারফরম্যান্স ও রোহিত শর্মার সেঞ্চুরিতে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-১ এ জিতেছে ভারত। ব্রিস্টলে ইংল্যান্ডের ১৯৮ রানও ভারত তাড়া করে ফেলেছে ১ ওভারের বেশি বাকি রেখেই।
স্ট্রেইটে শর্ট বাউন্ডারি, সবুজ উইকেটের কথা ভেবে ভারত নেমেছিল রিস্টস্পিনার কুলদীপ যাদবকে ছাড়াই। এক ম্যাচ আগেও ৫ উইকেট পেয়েছিলেন তিনি, তবে এ ম্যাচে বসেই থাকতে হলো তাকে। ভুবনেশ্বর কুমারও চোট পেয়ে খেলতে পারেননি। বাধ্য হয়েই ভারত অভিষেক করালো দীপক চাহারকে, ফিরিয়ে আনলো সিদ্ধার্থ কৌলকে। অবশ্য তিন পেসারের নির্বিষ বোলিং নিয়ে খেলেছিলেন ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার জ্যাসন রয় ও জস বাটলার। টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমেও পাওয়ারপ্লেতেই এসেছিল ৭৩ রান, শূন্য উইকেটে, ইংল্যান্ডের মাটিতে যা রেকর্ড। প্রথম ওভারে এসে ২২ রান দিয়েছিলেন পান্ডিয়া, ক্যারিয়ারে এক ওভারে এর চেয়ে বেশি রান এর আগে দেননি তিনি।
সেই পান্ডিয়াই পরের স্পেলে ফিরে ইংল্যান্ডের স্কোরটা অন্তত ২৫-৩০ রান কমিয়ে দিলেন। প্রথমে ফেরালেন এওইন মরগান ও অ্যালেক্স হেলসকে, একই ওভারে। ১৮তম ওভারে তৃতীয় স্পেলে তার শিকার বেন স্টোকস ও জনি বেইরস্টো। স্টোকসকে জায়গা করে দিতে এ ম্যাচে খেলানো হয়নি জো রুটকে।
একসময় ২২৫-২৩০ রান খুব স্বাভাবিক মনে হচ্ছিল ইংল্যান্ডের, পান্ডিয়ার বোলিংয়েই মূলত হয়নি সেটা। ইংল্যান্ড আটকে গেছে ১৯৮ রানেই।
ইংলিশ বোলাররা এরপর শুধু দেখে গেছেন রোহিত শর্মা শো। ফর্মটা ভাল যাচ্ছিল না, নিজেকে ফিরে পাওয়ার দারুণ মঞ্চ হিসেবে বেছে নিলেন সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচটাই। শিখর ধাওয়ান শুরুর দিকে ফিরলেও রানের গতিটা কমেনি ভারতের। শর্মার সঙ্গে ৪১ রানের জুটি গড়ে লোকেশ রাহুল, ৮২ রানের জুটি গড়ে বিরাট কোহলি সেটা হতে দেননি।
ক্রিস জর্ডানের হাতে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ৪১ রান করে আউট হয়েছেন কোহলি। এদিন ইংল্যান্ড যে তিনটি উইকেট পেয়েছে, তিনটিতেই অবদান আছে দারুণ সব ক্যাচের। সবচেয়ে সেরাটা ধরেছিলেন জর্ডানই। রাহুল আকাশে তুলেছিলেন বল, বেশ খানিকটা দৌড়ে মিড-উইকেটে ঝাঁপিয়ে পড়ে সেটা নিয়েছেন জর্ডান।
কোহলির উইকেটের পর ৪ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৪৪ রান। আবার দৃশ্যপটে হাজির পান্ডিয়া। শেষ পর্যন্ত তিনি অপরাজিত থাকলেন ১৪ বলে ৩৩ রানে, আর রোহিত পূর্ণ করলেন তার ক্যারিয়ারের তৃতীয় আইটি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি। এ সেঞ্চুরি দিয়েই ম্যাচসেরা হয়েছেন তিনি। আর ভারত সিরিজ জিতে গেছে ৮ বল বাকি থাকতেই।