• ইংল্যান্ড-ভারত সিরিজ
  • " />

     

    স্পিন দিয়ে জয়, ভারতের স্পিনকে জয় ইংল্যান্ডের

    স্পিন দিয়ে জয়, ভারতের স্পিনকে জয় ইংল্যান্ডের    

    তৃতীয় ওয়ানডে, লিডস
    ভারত ২৫৬/৮, ৫০ ওভার
    ইংল্যান্ড ২৬০/২, ৪৪.৩ ওভার 
    ইংল্যান্ড ৮ উইকেটে জয়ী ও সিরিজ ২-১ এ জয়ী 


    হেডিংলির পিচটা ছিল স্পিন-সহায়ক, প্রায় এশিয়ার মতো। তবে সেই পিচে ম্যাচসেরা হলেন একজন ইংলিশ স্পিনার, ইংলিশ স্পিন আটকে দিল স্পিনের বিরুদ্ধে অন্যতম সেরা ব্যাটিং লাইন-আপকে, এরপর অন্যতম সেরা এক স্পিন লাইন-আপের বিপক্ষে ৩৩ বল বাকি থাকতেই ২৫৬ রান তাড়া করে ফেললো ইংল্যান্ড। আদিল রশিদের ৩ উইকেটের পর জো রুটের রেকর্ড ১৩তম ও টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরিতে তৃতীয় ওয়ানডে জিতে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে গেল ইংল্যান্ড। সঙ্গে টেস্ট সিরিজের জন্য ভারতের স্পিন-অস্ত্রের প্রতি দিয়ে রাখলো একটা বার্তাও। 

    বিরাট কোহলি ও দীনেশ কার্তিকের জুটি বড় স্কোরের সম্ভাবনাই দেখাচ্ছিল প্রথমে ব্যাটিং করা  ভারতকে। দুজনকে ফেরালেন রশিদ, দুজনকেই করলেন বোল্ড। বিরাট কোহলিকে লেগস্টাম্পে পিচ করা বলে আউট সাইড-এজ বিট করে যে বোল্ডটা করলেন, তাতেই আসলে ফুটে ওঠে দিনের চিত্রটা। ৭২ বলে ৭১ রান করা কোহলি ছিলেন দারুণ দৃঢ়, স্পিন-সহায়ক উইকেটের তার ব্যাটিং-ও বলছিল, আজ হতে পারে কোহলির দিন। সেই কোহলিই হলেন হতভম্ব, উল্লাসে মাতলেন রশীদ। এরপর সুরেশ রায়নাকে ব্যাট-প্যাডে লেগস্লিপে ক্যাচ বানিয়েছেন তিনি। এই লেগস্পিনারকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন অফস্পিনার মইন আলি, ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের রানের লাগামও টেনে ধরেছেন দুজন মিলে। সঙ্গে ছিলেন ডেভিড উইলি, মার্ক উডরা। 

    কোহলির উইকেটের পর বড় দায়িত্ব ছিল মাহেন্দ্র সিং ধোনির কাঁধে, ভারতের ব্যাটিংয়ের লেজের কাছ থেকে সঙ্গও পাচ্ছিলেন। উইলির বেরিয়ে যাওয়া বলে খোঁচা দিয়ে ৪২ রান করে ফিরতে হয়েছে তাকে, ইনিংসের ২৫ বল বাকি থাকতে। এরপর দ্রুত রান তোলার দায়িত্বটা নিলেন শারদুল ঠাকুর, সিরিজে ৬৩৮ বল পর ভারতের প্রথম ছয়ও মেরেছেন তিনিই। তার ১৩ বলে ২২ রানের ইনিংসেই ২৫০ পেরিয়েছে ভারত। 

     

     

    ঠাকুর দলে সুযোগ পেয়েছেন টেস্টের আগে তাদেরকে কোহলিরা বাজিয়ে দেখতে চান বলেই। তবে ভারতের বড় অস্ত্র ছিলেন যুঝভেন্দ্র চাহাল, কুলদিপ যাদপ, এমনকি সুরেশ রায়নাও। তবে যেদিন সবচেয়ে প্রয়োজন তাদের, সেদিনই তাদেরকে নির্বিষ বানিয়ে দিলেন রুটরা। 

    এর আগে বাঁহাতি রিস্টস্পিনারের তিনটি বল খেলে দুইবার হয়েছিলেন রুট, আজ সেই পরিসংখ্যানকে বানিয়ে দিলেন ৬৮ বলে ৬৮ রানে। যাদবকে টার্নের বিপরীতে খেলেছেন, চাহালকে সামলেছেন, রায়নাকেও পাত্তা দেননি। রুটকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন অধিনায়ক এওইন মরগান, শেষ পর্যন্ত তিনি অপরাজিত ছিলেন ৮৮ রানে। 

    ইংল্যান্ডের শেষ ২২ রানের ১৫ রান করেছেন রুট, চারটি আবার হয়েছে ওয়াইড। দলের জেতার জন্য ১ রান প্রয়োজনের সময় তার সেঞ্চুরি জন্য লাগতো চার, রুট মিড-উইকেট দিয়ে মেরেছেন সেটাই। এরপর হাত থেকে ব্যাট ফেলে দিয়ে করেছেন ‘মাইক ড্রপ’ উদযাপন, টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করে সিরিজসেরা হয়ে রুট তো জবাব দিলেন সমালোচনারও। এ ইনিংস দিয়ে ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ১৩টি সেঞ্চুরি রেকর্ড এখন রুটেরই, তিনি ছাড়িয়ে গেলেন মার্কাস ট্রেসকোথিককে, যার ছিল ১২টি সেঞ্চুরি। 

    রুট-মরগান জুটির আগে শুরুটা ঝড়োই করেছিলেন জনি বেইরস্টো ও এ ম্যাচ দিয়েই দলে আসা জেমস ভিনস। বেইরস্টো ঠাকুরের বলে ক্যাচ দিয়েছেন, আর রান-আউট হয়ে ফিরতে হয়েছে ভিনসকে।