• ইংল্যান্ড-ভারত সিরিজ
  • " />

     

    বার্মিংহামে আশ্বিন-বাতাসে এলোমেলো ইংল্যান্ড

    বার্মিংহামে আশ্বিন-বাতাসে এলোমেলো ইংল্যান্ড    

    প্রথম টেস্ট, এজবাস্টন 
    টস- ইংল্যান্ড (ব্যাটিং)
    ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস ২৮৫/৯ (রুট ৮০, বেইরস্টো ৭০, আশ্বিন ৪/৬০)


    অ্যালেস্টার কুক, বোল্ড আশ্বিন। জো রুট, রান-আউট। বেন স্টোকস, কট এন্ড বোল্ড আশ্বিন। জস বাটলার, এলবিডাব্লিউ আশ্বিন। প্রথম উইকেটটা অফস্পিনের অসাধারণ প্রদর্শনী, শেষের দুইটি সফট ডিসমিসাল। মাঝেরটি আরেকটু সতর্ক হলেও এড়াতে পারতো ইংল্যান্ড। এজবাস্টনে প্রথম দিনেই ইংল্যান্ডকে চেপে ধরে ভারত, দলে একমাত্র স্পিনার আশ্বিনের চার উইকেটের সঙ্গে তিন পেসারের সাফল্যে। দুইটি ফিফটি, একটি সেঞ্চুরি জুটি নিয়েও ৯ উইকেটে ২৮৫ রানে দিন শেষ করেছে ইংল্যান্ড। 

    মেঘাচ্ছন্ন কন্ডিশনে বোলিং করতে চেয়েছিলেন কোহলি, টসে হেরে তাকে করতে হয়েছে সেটাই। প্রথম সাফল্য এনে দিয়েছেন অবশ্য স্পিনার, প্রথম পরিবর্তিত বোলার হিসেবে আশ্বিনকে এনেছিলেন কোহলি। কুককে যে বলে বোল্ড করলেন আশ্বিন, সেটা যে কোনও অফস্পিনারের স্বপ্নের ডেলিভারি। ড্রিফট করে মিডল স্টাম্পে পড়ে টার্ন করে অফস্টাম্পে গিয়ে আঘাত করলো সেটা। 

    কিটন জেনিংসের সঙ্গে এরপর ইনিংস মেরামতের পালা জো রুটের। সকালের সেশনটা তাদেরই। ৮৩ রান, ১ উইকেট। শুরুতে ক্যাচ মিসে সুযোগ পাওয়া জেনিংসের কপাল খারাপই বলতে হবে, মোহাম্মদ শামির বলটা কিভাবে কিভাবে তার স্টাম্পে ছোঁয়া লেগে ফেলে দিল বেইলস। শামির দ্বিতীয় শিকার ডেভিড মালান, ভেতরের দিকে ঢোকা বলে এলবিডব্লিউ, রিভিউ নিয়েও কাজ হয়নি।

    রান-আউটের পথে রুট/গার্ডিয়ান

    জনি বেইরস্টো ও রুটে এরপর ঠিক পথেই এগুচ্ছিল ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় সেশনে ২ উইকেট হারিয়ে ৮০ রান। দুজনই ফিফটি করলেন, সেঞ্চুরিও উঁকি দিচ্ছিল দুজনকেই। তবে আরেকবার ৫০ থেকে ১০০ এর পথটা অনতিক্রম্য হয়ে উঠলো রুটের জন্য, কাটা পড়লেন রান-আউটে। তার আগে ক্যারিয়ারে ৬০০০ রান পূর্ণ করেছেন রুট।

    ডাবলসের জন্য ডাকটা দিয়েছিলেন বেইরস্টোই, তবে সেটা ছিল না সেখানে। মিড-উইকেটে ছিলেন কোহলি, সরাসরি থ্রোতে রান-আউট রুট, এরপর কোহলি তাকে ফিরিয়ে দিলেন হেডিংলির ‘ব্যাট-ড্রপ’ উদযাপনটা! 

    ইংল্যান্ডের সফট ডিসমিলারের পালা শুরু তখন থেকেই। উমেশ যাদবকে কাট করতে গিয়ে স্টাম্পে বল ডেকে আনলেন বেইরস্টো। আড়াআড়ি খেলতে গিয়ে আশ্বিনকে ক্যাচের অনুশীলন করালেন স্টোকস। আর এ ম্যাচেই ইংল্যান্ডের সহ-অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পাওয়া বাটলার এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে টিকলেন এক বল। 

    আদিল রশিদ বা স্টুয়ার্ট ব্রড, লড়াইয়ের কোনো ইঙ্গিত দিতে পারেননি তারাও। ইশান্ত শর্মার বলে রশিদ, আশ্বিনের বলে এলবিডব্লিউ ব্রড। শেষ ব্যাটসম্যান জেমস অ্যান্ডারসনকে সঙ্গে নিয়ে টিকে আছেন ৬৭ বলে ২৫ রান করা স্যাম কারান। 

    তবে এজবাস্টনের ধীরগতির, নীচু উইকেটে ঠিক স্বস্তিতে নেই ইংল্যান্ড। তাদের আউটের ধরনই বলে দিচ্ছে, কন্ডিশনটা বেশ মানিয়ে যাচ্ছে ভারতের সঙ্গে। প্রথম দুই সেশন ইংল্যান্ডের দিকে হেলে থাকলেও দিনটা ভারতেরই। দিনটা আশ্বিনের।