• ইংল্যান্ড-ভারত সিরিজ
  • " />

     

    'এপিক' এজবাস্টনে শেষ হাসি ইংল্যান্ডেরই

    'এপিক' এজবাস্টনে শেষ হাসি ইংল্যান্ডেরই    

    প্রথম টেস্ট, এজবাস্টন  
    টস- ইংল্যান্ড (ব্যাটিং)
    ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস ২৮৭ (রুট ৮০, বেইরস্টো ৭০, আশ্বিন ৪/৬২) ও ২য় ইনিংস ১৮০ (কারান ৬৩, ইশান্ত ৫/৫১)
    ভারত ১ম ইনিংস ২৭৪ (কোহলি ১৪৯, কারান ৪/৭৪) ও ২য় ইনিংস ১৬২ (কোহলি ৫১, স্টোকস ৪/৪১)
    ইংল্যান্ড ৩১ রানে জয়ী 


    ‘কুক। স্টোকস। পান্ডিয়া দ্য ম্যান টু গো……’

    রিচি বেনো বেঁচে নেই। তবে তার সেই কন্ঠটা ইথারে ভাসে যেন এখনও। সেই এজবাস্টন, সেই ২০০৫ সালের এজবাস্টনের রোমাঞ্চ তাই ফিরে এলো আবার, বেনো থাকলে হয়তো ধারাভাষ্যে বলতেন এমন কিছুই!  

    বাউন্ডারি থেকে উড়ে আসছিলেন যেন জো রুট। দুই হাত মেলে দৌড় দিয়ে এসে দাঁড়ালেন বেন স্টোকস, যেভাবে এই টেস্টে উড়েছেন স্যাম কারান। স্লিপে ক্যাচটা ধরে একটা ঝাঁকুনি দিলেন অ্যালেস্টার কুক, যে স্লিপ কর্ডনে পিচ্ছিল ছিল ইংল্যান্ড, যেখানে মিশ্র অনুভূতি ছিল ভারতের! এরপর মিশে গেলেন উল্লাসে, যেখানে আছেন অ্যান্ডারসন, আছেন ব্রড, আছেন বেইরস্টো, রশিদ! ভারতের শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হলেন হারদিক পান্ডিয়া, কোহলি ছাড়া লড়াইয়ের আভাস দিলেন যিনি আজ! তবে জয় থেকে তখনও ভারত ৩১ রান দূরে। ড্রেসিংরুমে ক্যাপটা একবার খুলে নিচে নামতে থাকলেন বিরাট কোহলি। ইংল্যান্ডের ১০০০তম টেস্ট হয়ে গেল অন্যতম সেরা এক ম্যাচ, এজবাস্টন দেখলো আরেটি ‘এপিক’! 

     

     

    আগের দিন ইংল্যান্ড ও জয়ের মাঝে দাঁড়িয়ে ছিলেন ওই কোহলিই। তার মহামূল্যবান উইকেটটা পেয়েছেন বেন স্টোকস। ফ্লিক করতে গিয়ে লাইন মিস করে গেছেন ভারত অধিনায়ক, আম্পায়ার আলিম দারের সিদ্ধান্তটা রিভিউ নিয়েও বদলাতে পারেননি কোহলি। স্টোকস তার আগেই বসে গেছেন, তাকে এসে জড়িয়ে ধরেছেন জেমস অ্যান্ডারসন। কোহলির সঙ্গে লড়াইটা তার পুরোনো, তবে এবার অ্যান্ডারসনকে উল্লাসে মাতার সুযোগ করে দিলেন স্টোকস! উঠে যাওয়ার সময় এজবাস্টন করতালিতে মুখর, বিরাট কোহলি নামের ব্যাটসম্যানটা যে তাদের কম বিনোদন দেননি গত চারদিন ধরে! সে ওভারেই মোহাম্মদ শামিকে কট-বিহাইন্ড করে ইংল্যান্ডকে আরেকটু কাছে নিয়ে গেলেন স্টোকস। 

     

     

    ইংল্যান্ডের এদিন প্রয়োজন ছিল ৫ উইকেট, ভারতের ৮৪ রান। দিনের প্রথম ওভারেই ব্রেকথ্রু এনেছেন অ্যান্ডারসন, তার বলে শুধু খোঁচা মেরেছেন কার্তিক, নীচু হয়ে স্লিপে ভাল ক্যাচ নিয়েছেন এ ম্যাচেই এর আগে তিনটি সুযোগ ছাড়া ডেভিড মালান। 

    তবে কোহলি ছিলেন, সঙ্গে যোগ দিলেন পান্ডিয়া। ফুললেংথের বলে ড্রাইভ করেছেন পান্ডিয়া, আলগা বলে ইংলিশ বোলারদের শাস্তি দিয়েছেন ঠিকই। এদিকে ফিফটি পেরিয়েছে কোহলির, দুজনের জুটিতে এসেছে ২৯ রান। 

    এজবাস্টনে রোমাঞ্চ তখন বাড়ছেই শুধু। কোহলি-শামি ফেরার পর ভারতকে আরেকটু আশা জোগাল ইশান্ত শর্মার দুই চার, স্টোকসের বলে। এবার আদিল রশিদের দিকে ফিরলেন রুট, রশিদ আনলেন সাফল্য। গুগলিতে ফাঁদে ফেলেছেন ইশান্তকে। আম্পায়ার আউট দেননি, ইংল্যান্ড রিভিউ হয়েছে সফল। 

    জয় থেকে তখনও ৪০ রান দূরে ভারত। তবে ফিরে আসছে তখন ২০০৫ অ্যাশেজের ‘এপিক’ এজবাস্টন, ব্রেট লি ও মাইকেল ক্যাসপ্রোভিচের লড়াই। পান্ডিয়ার বাউন্ডারি সে স্মৃতিকেই ফিরিয়ে আনতে চাচ্ছে তখন। 

    ব্যবধানটা নেমে এল। আবারও ইংল্যান্ডের ত্রাতা হয়ে এলেন স্টোকস। কোহলিকে ফিরিয়ে শুরুটা করেছিলেন যিনি!

    কুক। স্টোকস। পান্ডিয়া দ্য ম্যান টু গো….