আত্মনিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন স্টোকস, শুনানিতে অভিযোগ
নাইটক্লাবের বাইরে দুই ব্যক্তির সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ার সময় আত্মনিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন ইংল্যান্ড অলরাউন্ডার বেন স্টোকস, সোমবার আদালতকে বলা হয়েছে এমনই। ব্রিস্টন ক্রাউন কোর্টে ‘হাঙ্গামা’-র শুনানি শুরু হয়েছে স্টোকস ও সংঘর্ষে জড়িত অপর দুই ব্যক্তির।
স্টোকস ‘প্রতিশোধ, বদলা বা শাস্তি নেওয়ার’ ভূমিকা পালন করছিলেন, ‘টেকসই ও তাৎপর্যপূর্ণ আক্রমণে’ যুক্ত ছিলেন, জুরিদের এমনই বলেছেন প্রসিকিউটর নিকোলান কোরসেলিস।
এর আগে দুইজন সমকামীকে ‘ব্যঙ্গ’ করেছিলেন স্টোকস, তাদের একজনের মাথায় সিগারেটের ফিল্টার ছুঁড়ে মেরেছিলেন বলেও জানানো হয়েছে আদালতকে।
এজবাস্টনে ভারতকে হারানোর অন্যতম নায়ক আজ হাজির হয়েছিলেন শুনানিতে। সঙ্গে ছিলেন ২৭ বছর বয়সী রায়ান আলি ও ২৮ বছর বয়সী রায়ান হেলও। এই দুজনের সঙ্গেই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিলেন স্টোকস, গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে। তবে তিনজনই তাদের বিরুদ্ধে আনা ‘হাঙ্গামা’র অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
ব্রিস্টলের নাইটক্লাবে ঢুকতে বাউন্সারদের স্টোকস ঘুষ দিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।
“ঘটনার সময় মিস্টার স্টোকস তার আত্মনিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন, এরপর প্রতিশোধ, বদলা বা মনের মধ্যে থাকা শাস্তি দেওয়ার ইচ্ছায় আক্রমণ করেছিলেন। এটা আত্মরক্ষা বা অন্যকে রক্ষার চেয়েও বেশি কিছু”, বলেছেন প্রসিকিউটর।
“প্রথমে মিস্টার হেলকে অচেতন করে দেন তিনি, এরপর চিন্তা করেন, শান্ত থেকে মিস্টার আলির সঙ্গেও একই কাজ করেন।
“মিস্টার আলি চোখে চোট পেয়েছেন, হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে।”
সতীর্থ অ্যালেক্স হেলসের সঙ্গে রাত ১২.৪৬ এর সময় স্টোকস নাইটক্লাব ছেড়ে গেলেও আবার রাত ২.০০টার দিকে ফিরে আসেন বলে জানিয়েছেন এমবার্গো নাইটক্লাবের বাউন্সার অ্যান্ড্রিউ কানিংহাম। প্রথমে তাকেও ব্যঙ্গ করেছিলেন স্টোকস, এরপর তিনি ঝুঁকেছিলেন সমকামী দুই ব্যক্তির দিকে, কানিংহাম শুনানিতে বলেছেন এমনই।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে ব্রিস্টলে একটি ওয়ানডের কয়েক ঘন্টা পর এ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিলেন স্টোকস। এরপর অ্যাশেজে ইংল্যান্ড স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েছিলেন তিনি, অস্ট্রেলিয়ার কাছে ইংল্যান্ড হেরেছিল ৪-০ ব্যবধানে। নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তানের সঙ্গে টেস্ট সিরিজে দলে ফিরেছিলেন তিনি।
তবে লর্ডসে ৯ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের দলে নেই তিনি। সোমবার শুরু হওয়া তার শুনানি চলতে পারে পাঁচ থেকে সাতদিন ধরে।