• প্রীতি ম্যাচ
  • " />

     

    জীবন বাঁচাতে ফুটবলে মাথা লাগানো মানা!

    জীবন বাঁচাতে ফুটবলে মাথা লাগানো মানা!    

     

    হেডে গোল দেননি, এমন স্ট্রাইকার খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। সেই হেডই যদি নিষিদ্ধ হয়, তাহলে ব্যাপারটা কেমন দাঁড়াবে? মস্তিষ্কের রোগ নিয়ে গবেষণা করা বিখ্যাত ডাক্তার বেনেট ওমালু বলছেন, ১৮ বছরের নিচে থাকা তরুণদের ফুটবল ম্যাচে হেড নিষিদ্ধ না করলে ভবিষ্যতে তাদের মস্তিষ্কে বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে।

    ১৯৬৬ বিশ্বকাপজয়ী ইংলিশ ফুটবলার নবি স্টিলস, মারটিন পিটারস ও রে উইলসন, লিভারপুল কিংবদন্তি রন ইয়েটস ও টমি স্মিথ ও সেলটিকে বিলি ম্যাকনিকের মতো অনেক সাবেক ফুটবলারই ক্যারিয়ার শেষে ভুগেছেন মস্তিষ্কের রোগে। ২০০৪ সালে তো মস্তিষ্কের রোগে মারাই গেছেন ওয়েস্ট ব্রমের সাবেক ফুটবলার জেফ অ্যাস্টেল। অতিরিক্ত ভারী বলে হেড করাতেই এই আঘাত, বলেছিলেন ডাক্তাররা।

    ডাক্তার ওমালুর মতে, একটা নির্দিষ্ট বয়সের পরেই হেড করা উচিত ফুটবলে, ‘উড়তে থাকা একটা ভারী বস্তুর সাথে নিজের মাথা লাগানোর কোনো মানেই হয়না। আমি মনে করি, ধীরে ধীরে পেশাদার ফুটবলেও হেড করা নিষিদ্ধ হবে। এটা শরীরের জন্য ভয়ংকর!’

    কিন্তু চাইলেই কি নিষিদ্ধ করা যায়? প্রাথমিকভাবে তরুণদের ম্যাচে বলে মাথা লাগানো নিষিদ্ধ চান ওমালু, ‘১৮ বছরের নিচে কেউই যেন হেড না করে। ১২ থেকে ১৪ বছরের বাচ্চাদের কম ফুটবল খেলা উচিত। ১৪ থেকে ১৮ বছরের মাঝে ফুটবল খেলবে, কিন্তু হেড করবে না। এটা বাস্তবে রূপ দেওয়া কঠিন, তবে পৃথিবী তো প্রতিনিয়তই বদলায় তাইনা?’

    শেষ পর্যন্ত ওমালুর কথা কতটুক কানে তুলবে ফিফা, সেটাই দেখার বিষয়।