মনিরের হ্যাটট্রিকের পর ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বরিশাল
১ম স্তর
রাজশাহী-বরিশাল, রাজশাহী
বরিশাল ১ম ইনিংস ৯৭ অল-আউট (আল-আমিন ২৫, মোসাদ্দেক ২২, মোহর ৫/২৪, শফিকুল ৩/২০)ও ২য় ইনিংস* ২৪৬/৬ (আল-আমিন ৯৭, নুরুজ্জামান ৪৫, মোহর ৩/৬৪)
রাজশাহী ১ম ইনিংস ১৬০ অল-আউট (জুনাইদ ৭৮, রেজা ৩২,জহুরুল ২৫, মনির ৫/১৪, সোহাগ ২/২৯)
বরিশাল ৪ উইকেট নিয়ে ১৮৩ রানে এগিয়ে
আগের ম্যাচে রংপুরের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছিলেন রাজশাহীর দেলোয়ার হোসেন, জাতীয় লিগ হ্যাটট্রিক দেখেছিল ছয় বছর পর। এক ম্যাচের ব্যবধানে এবার হ্যাটট্রিকের শিকার রাজশাহীই। বরিশালের মনির হোসেন করেছেন সেটা, রাজশাহীর শেষ তিন ব্যাটসম্যান- মুক্তার আলি, শফিকুল ইসলাম ও মোহর শেখ- তিনজনই হয়েছেন এলবিডব্লিউ। প্রথম ইনিংসে বরিশালকে ৯৭ রানে অল-আউট করেও ২য় দিনশেষে ১৮৩ রানে পিছিয়ে রাজশাহী। বরিশালের বাকি আছে ৪ উইকেট।
আগের দিন রাজশাহীর আশা হয়ে টিকে ছিলেন জুনাইদ, ৭২ রানে। আজ শুরুতেই ফিরেছেন তিনি, আর ৬ রান যোগ করে। রাজশাহীও ধসে পড়েছে এরপর। মনিরের হ্যাটট্রিক জাতীয় লিগে দশম।
২য় ইনিংসে বরিশাল ঘুরে দাঁড়িয়েছে চারে নামা আল-আমিন ও ছয়ে নামা নুরুজ্জামানের ব্যাটিংয়ে। ৫ম উইকেটে দুজন মিলে যোগ করেছেন ১২৮ রান। সাব্বির রহমানের বলে ক্যাচ দিয়ে সেঞ্চুরি মিস করেছেন আল-আমিন, ৯৭ রানের ইনিংসেই তিনি মেরেছেন ১৭টি চার। আল-আমিনের উইকেটের কিছুক্ষণ পর ফিরেছেন নুরুজ্জামানও। তিনে থাকা বরিশালের জন্য এ ম্যাচে জয় যতটা না গুরুত্বপূর্ণ, এর চেয়ে বেশি ক্ষতি হবে রাজশাহীর, যদি হারে তারা।
রংপুর-খুলনা, বগুড়া
খুলনা ১ম ইনিংস ২৬১ (মইনুল ৫৪, জিয়াউর ৪০, রবিউল ৩/৬২, তানভীর ৩/১৪)
রংপুর ১ম ইনিংস* ১২৬/৪ (মারুফ ৪২, সোহরাওয়ার্দি ৩৫*, জিয়াউর ১/১৭)
সাতে নেমে জিয়াউর আগেরদিনই করেছিলেন ৪০ রান, আটে নেমে মইনুল খুলনার স্কোরটা বাড়িয়ে নিয়েছেন আরও। সৌম্য-তুষাররা ভুগলেও তাই দ্বিতীয় দিনশেষে ম্যাচে দারুণভাবে টিকে আছে খুলনা।
রংপুর ব্যাটিংয়ে উইকেট হারিয়েছে নিয়মিত, খুলনার চার বোলার নিয়েছেন একটি করে উইকেট। মেহেদি মারুফের ৪২ রানের পর সর্বোচ্চ ইনিংস এখন পর্যন্ত সোহরাওয়ার্দি শুভর, অপরাজিত ৩৫। মিডল অর্ডারে মাহমুদুল, নাঈমরা তেমন কিছু করতে পারেনি। ৬ উইকেটে ১৩৫ রানে পিছিয়ে রংপুর।
পয়েন্ট টেবিলে প্রথম স্তরে রাজশাহীর পরই রংপুর, এ রাউন্ডে শিরোপা স্বপ্ন টিকিয়ে রাখতে তাই জয়ের বিকল্প নেই তাদের।