• জাতীয় ক্রিকেট লিগ ২০১৮/১৯
  • " />

     

    শিরোপার আরও কাছে রাজশাহী

    শিরোপার আরও কাছে রাজশাহী    

    ১ম স্তর
    তৃতীয় দিনশেষে 


    রাজশাহী-বরিশাল, রাজশাহী 
    বরিশাল ১ম ইনিংস ৯৭ অল-আউট (আল-আমিন ২৫, মোসাদ্দেক ২২, মোহর ৫/২৪, শফিকুল ৩/২০)ও ২য় ইনিংস ৩৪৬ (আল-আমিন ৯৭,শামসুল ৫৬, নুরুজ্জামান ৪৫,রেজা ৪/৫৯, মোহর ৩/৯৪) 
    রাজশাহী ১ম ইনিংস ১৬০ অল-আউট (জুনাইদ ৭৮, রেজা ৩২,জহুরুল ২৫, মনির ৫/১৪, সোহাগ ২/২৯)ও ২য় ইনিংস* ১৮২/২ (জুনাইদ ৬৫*, সাব্বির ৪৯)


    দরকার ১০২ রান, হাতে আছে ৮ উইকেট। ৬৫ রানে ব্যাটিং করছেন জুনাইদ সিদ্দিক, ২৫ রানে অপরাজিত জহুরুল ইসলাম। জাতীয় লিগে শেষ ম্যাচে বরিশালের বিপক্ষে জয়ের সঙ্গে শিরোপা জয়েরও খুব কাছে এখন রাজশাহী। এদিন শেষ ৪ উইকেটে ১০০ রান যোগ করার পরও রাজশাহীর ব্যাটিং দৃঢ়তায় স্বস্তিতে নেই বরিশাল।

    ২৪৬ রান নিয়ে এদিন ব্যাটিং শুরু করেছিল বরিশাল, শামসুল ইসলামের ৯ চারে ১০৯ বলে ৫৬ রানের ইনিংসে শেষ পর্যন্ত ৩৪৬ রান করেছে তারা। এদিন ৪ উইকেটই নিয়েছেন ফরহাদ রেজা।

    ২৮৪ রানের লক্ষ্যে রাজশাহী শুরুটা করেছে ভালই। মিজানুর রহমান ও সাব্বির রহমানের ওপেনিং জুটিতে ৬৭ রান, দ্বিতীয় উইকেটে জুনাইদের সঙ্গে সাব্বিরের জুটি ৩৬ রানের। ৪৯ রান করে সাব্বির ফিরলেও জুনাইদ ঠিকই অপরাজিত আছেন। ১০১ বলে ৮ চারে করেছেন ৬৫ রান।

    প্রথম স্তরে রাজশাহী দুইয়ে থাকা রংপুরের চেয়ে চারেরও বেশি পয়েন্টে, এ ম্যাচ জিতলে বোনাস পয়েন্ট ছাড়াও তারা পাবে ৮ পয়েন্ট।

     

    রংপুর-খুলনা, বগুড়া
    খুলনা ১ম ইনিংস ২৬১ (মইনুল ৫৪, জিয়াউর ৪০, রবিউল ৩/৬২, তানভীর ৩/১৪)ও ২য় ইনিংস* ১৯২/৬ (সৌম্য ৮৩, নুরুল ৫২, রবিউল ২/১)
    রংপুর ১ম ইনিংস ২৪৯/৮ ডিক্লে. (ধীমান ৫০, সোহরাওয়ার্দি ৪৮, রাজ্জাক ৪/৬২)


    শিরোপার স্বপ্ন টিকিয়ে রাখতে রংপুরকে সবকিছুর আগে জিততে হবে এই ম্যাচ। আর খুলনার লড়াই রেলিগেশন বাঁচানো। লড়াইটা হচ্ছে তেমনই। বগুড়ায় তৃতীয় দিন শেষে খুলনা এগিয়ে ২০৪ রানে, বাকি ৪ উইকেট।

    সকালে আগের দিনের সঙ্গে ১৩ রান যোগ করে ফিরেছিলেন সোহরাওয়ার্দি, খানিক বাদে ফিরেছেন তানভীর হায়দারও। সাজিদুলকে নিয়ে ৭ম উইকেটে এরপর ৬৩ রান যোগ করেছেন ধীমান ঘোষ। শেষ পর্যন্ত ৫০ রানে অপরাজিত ছিলেন এই উইকেটকিপার, সাজিদুল করেছেন ২৯ রান। খুলনাকে ০.৫ বোনাস পয়েন্ট না দিতে ৮ উইকেটেই ইনিংস ঘোষণা করেছে রংপুর। আব্দুর রাজ্জাক আগেরদিন নিয়েছিলেন ১ উইকেট, এদিন নিয়েছেন আরও ৩টি।

    এরপর পথ হারাতে বসেছিল খুলনা, ৩৩ রানেই তারা হারিয়েছিল ৩ উইকেট। শুন্যতে ফিরেছেন আফিফ হোসেন ও তুষার ইমরান, ৬ রান এনামুলের। ৪র্থ উইকেটে সৌম্য সরকার ও নুরুল হাসানের ১২৩ রানের জুটি টিকিয়ের রেখেছে খুলনাকে। ৮চার ও ৩ ছয়ে ১১১ বলে ৮৩ রান করে সোহরাওয়ার্দির বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন সৌম্য, আউট হওয়ার আগে নুরুল ৫২ রান করেছেন ৮৩ বলে। খুলনার আশা হয়ে অবশ্য টিকে আছেন জিয়াউর রহমান, ব্যাটিং করছেন তিনি ১৭ রানে।