• জাতীয় ক্রিকেট লিগ ২০১৮/১৯
  • " />

     

    তুষারের জন্য আশার বাণী শোনালেন না রোডস

    তুষারের জন্য আশার বাণী শোনালেন না রোডস    

    সিলেটে এক ইনিংসের ব্যাটিং যেন ছিল আরেকটির রেপ্লিকা। একই ধরনের ভুল করে গেছেন ব্যাটসম্যানরা। স্কিল, মানসিকতা- প্রশ্ন উঠতে পারে অনেক কিছু নিয়েই। তবে কোচ স্টিভ রোডস এটাকে দেখতে চান স্রেফ আরেকটা বাজে দিন হিসেবেই। এবং তিনি বলছেন, বাজে দিনটা গেছে মূলত প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ের সময়ই। আর যারা এখন দলে আছেন, তারা জাতীয় লিগেও পারফর্ম করে এসেছেন উল্লেখ করে রোডস বলেছেন, স্কোয়াডের ক্রিকেটারদেরই সময় দিতে চান তারা।

    সম্প্রতি টি-টোয়েন্টি ওয়ানডেতে সিরিজের মাঝপথে ডেকে পাঠানো হয়েছে ক্রিকেটারদের। তবে মিরপুর টেস্টের আগে জাতীয় লিগে ক্রমাগত রান করে যাওয়া তুষার ইমরানের জন্য তেমন কোনও ইঙ্গিত দিলেন না রোডস, “যারা জাতীয় দলে এখন খেলছে, জাতীয় লিগে তারাই রান করেছে অনেক। তারা বেশি রান করেছে, উল্লেখিত কয়েকজনের চেয়ে। শান্ত ১৮০ করেছে, লিটন ডাবল সেঞ্চুরি করেছে, মুমিনুল শেষ ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছে অপরাজিত, আরিফুল ডাবল সেঞ্চুরি করেছে। এরা ভাল ক্রিকেটার। সাকিব-তামিম ছাড়া এরাই আমাদের সেরা ক্রিকেটার এখন। এদের ওপরই ভরসা করছি আমরা।”

    “সবারই বাজে দিন যায়। আপনাদেরও কাজে গেলে মাঝে মাঝে বাজে দিন যায়। প্রথম ইনিংসে আমাদের খারাপ দিন গিয়েছিল। আমাদের যেসব ক্রিকেটার আছে, তাদেরকে দিয়েই আমাদের এসব ঠিক করতে হবে।”

    অবশ্য বাজে দিন বলতে রোডসের ইঙ্গিত প্রথম ইনিংসের ব্যাটিংয়ের দিকে, মূলত সেখানেই বাংলাদেশ পথ হারিয়েছে বলে ধারণা তার, “আমি চাপ অনুভব করছি না। দ্বিতীয় টেস্টের জন্য কী পরিকল্পনা হয়, বরং সেটার জন্য অপেক্ষা করছি। সিলেটে যে একমাত্র ব্যাপারটা ভুল হয়েছে, সেটা হলো প্রথম ইনিংসের ব্যাটিং। পিচে যখন তেমন কিছুই ছিল না, সেখানে টসে হেরে আমরা তাদের ২৮২ রানে অল-আউট করেছি। এরপর আমাদের ৩৫০-৪০০ করা উচিৎ ছিল। সেটা করতে না পারলে সবশেষে ব্যাটিং করা সবসময়ই কঠিন।

    “আমরা প্রথম ইনিংসেই সুযোগ মিস করেছি। এখানে পরিকল্পনা বা ট্যাকটিকসে ভুল কিছু নেই। আমরা প্রথম ইনিংসে স্রেফ সব গুবলেট পাকিয়ে ফেলেছি।”