• জাতীয় ক্রিকেট লিগ ২০১৮/১৯
  • " />

     

    রেলিগেশন আটকালো খুলনা

    রেলিগেশন আটকালো খুলনা    

    রংপুর-খুলনা, বগুড়া
    খুলনা ১ম ইনিংস ২৬১ (মইনুল ৫৪, জিয়াউর ৪০, রবিউল ৩/৬২, তানভীর ৩/১৪)ও ২য় ইনিংস ২৮২(সৌম্য ৮৩, নুরুল ৫২, জিয়াউর ৫২, মইনুল ৫৫, তানভীর ৩/৪০)
    রংপুর ১ম ইনিংস ২৪৯/৮ ডিক্লে. (ধীমান ৫০, সোহরাওয়ার্দি ৪৮, রাজ্জাক ৪/৬২) ও ২য় ইনিংস ১৮৪/৬ (রাকিন ৭৪, মারুফ ৫০, মেহেদি ৩/১৭) 
    ম্যাচ ড্র  


    রংপুরের লড়াই ছিল শিরোপার, খুলনার রেলিগেশন বাঁচানোর। রাজশাহী সকালেই জয় নিশ্চিত করে কাজটা একরকম সহজ করে দিয়েছিল দুই দলের জন্যই। রংপুর জিতলেও শিরোপা জিতবে না, আর পরাজয় এড়াতে পারলেই রেলিগেশন এড়িয়ে যাবে খুলনা। শেষ পর্যন্ত হয়েছে সেটাই। রানার্স-আপ হয়েছে রংপুর, আর তিনে থেকে রেলিগেশন থেকে রেহাই মিলেছে গত তিনবারের চ্যাম্পিয়ন খুলনার। রাজশাহীর কাছে হেরে রেলিগেটেড হয়ে গেছে বরিশাল।  

    ৬ উইকেটে ১৯২ রানে দিন শুরু করেছিল খুলনা। জিয়াউর রহমান ও মইনুল ইসলাম ৭ম উইকেটে মোট যোগ করেছেন ৯৮ রান, দুজনই করেছেন ফিফটি। জিয়া করেছেন ৭১ বলে ৫২, ৯ চার ও ১ ছয়ে। ৫৫ রান করতে মইনুল খেলেছেন ৮৭ বল, মেরেছেন ৭টি চার। খুলনার শেষ ৪ উইকেটের ৩টিই নিয়েছেন লেগস্পিনার তানভীর হায়দার, লাঞ্চের আগ গিয়ে রংপুরকে ২৯৫ রানের লক্ষ্য দিয়ে থেমেছে খুলনা। 

    চ্যালেঞ্জটা শুরুতে নিয়েছিল রংপুর, মেহেদি মারুফ ও রাকিন আহমেদের ওপেনিং জুটি ইঙ্গিত দিচ্ছিল সেটারই। ২৮ ওভারে দুজন মিলে তুলেছিলেন ১০৪ রান, ৮৫ বলে ৫০ রান করে মইনুলের বলে ক্যাচ দিয়ে মারুফ ফিরলে ভেঙেছে সে জুটি। তানভীরকে প্রমোশন দিয়ে পাঠানো হয়েছিল তিনে, তবে তিনি ফিরেছেন ১২ রান করে, চা-বিরতির পরপর। নাঈম ইসলাম আউট ১ রানেই- দুজনের উইকেটই নিয়েছেন মেহেদি হাসান। 

    খানিক বাদে রান-আউটে শেষ হয়েছে রাকিনের ১০৯ বলে ৭৪ রানের ইনিংস। মেহেদি এরপর বোল্ড করেছেন ২৫ রান করা সোহরাওয়ার্দি শুভকে, ৭ রান করে মাহমুদুল ক্যাচ দিয়েছেন আব্দুর রাজ্জাকের বলে। রান-তাড়ার চ্যালেঞ্জ নিয়ে উলটো চাপে পড়ে গিয়েছিল রংপুরই, ১৭৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে। 

    সাজিদুল ইসলাম ও ধীমান ঘোষ এরপর খোলসে ঢুকে গেছেন। প্রথমজন ৩০ বলে করেছেন ৬ রান, দ্বিতীয় জন ১৭ বলে রানই করেননি। এরপর ড্র মেনে নিয়েছে দুই দলই।