• বুন্দেসলিগা
  • " />

     

    শেষ মুহূর্তের গোলে আবার পয়েন্ট হারাল বায়ার্ন

    শেষ মুহূর্তের গোলে আবার পয়েন্ট হারাল বায়ার্ন    

     

    রেফারি যেকোনো মুহূর্তে শেষের বাঁশি বাজাবেন। ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে থাকা বায়ার্ন মিউনিখ তখন স্বস্তির জয়ের সুবাস পাচ্ছে। ৯৩ মিনিটে দারুণ এক পাল্টা আক্রমণে বল নিয়ে বায়ার্নের বক্সের কাছে চলে গেলেন ফরচুনা ডুসেলডর্ফের রোয়েন হেনিংস। বক্সের কাছে গিয়ে পাস দিলেন ডডি লুকেবাকিওকে। বক্সের ভেতর বল পেয়ে ডান পায়ের দারুণ এক শটে লুকেবাকিও পরাস্ত করলেন ম্যানুয়েল নয়্যারকে। গোলের পরপরই বাজল ম্যাচ শেষের বাঁশি। একদিকে তখন ড্রয়ের উল্লাসে মেতেছে ডুসেলডর্ফ, অন্যদিকে শেষ মুহূর্তে পয়েন্ট হারিয়ে বায়ার্ন ডাগআউটে রাজ্যের হতাশা। জমজমাট এক ম্যাচে ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়েও লুকেবাকিওর হ্যাটট্রিকে বায়ার্নের সাথে ৩-৩ গোলে ড্র করেছে ডুসেলডর্ফ।

    ছয় মৌসুম পর বুন্দেসলিগায় খেলতে এসেছে ডুসেলডর্ফ। ১১ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে তাঁরা ছিল পয়েন্ট তালিকার তনালিতে। অবনমনের ঘরে ঘুরপাক খাওয়া দলটির সাথে বায়ার্ন ঘরের মাঠে সহজেই জিতবে, অনুমান ছিল এমনটাই। শুরুটাও সেভাবে করেছিল বায়ার্ন। ১৭ মিনিটে দলকে এগিয়ে দেন নিকলাস সুলি। কর্নার থেকে পাওয়া বলে আলতোভাবে পা লাগিয়ে গোল করেন। তিন মিনিট পরেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন টমাস মুলার। জেরম বোয়াটিংয়ের পাসে গোল করেন মুলার।

    দুই গোলে এগিয়ে গিয়ে আক্রমণের ধার আরও বাড়িয়ে দেয় বায়ার্ন। ৩৪ ও ৩৮ মিনিটে দুইবার গোলের সুযোগ হারান লেভানডভস্কি। বিরতির ঠিক আগে ব্যবধান কমান লুকেবাকিও। বিরতির পর ৫৮ মিনিটে আবার ব্যবধ্যান বাড়ায় বায়ার্ন। লেভানডভস্কির অ্যাসিস্টে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন মুলার।

    ৩-১ এগিয়ে গিয়ে জয়ের স্বপ্ন দেখছিল বায়ার্ন। ৭৭ মিনিটে যখন লুকেবাকিও পাল্টা আক্রমণে নিজের দ্বিতীয় গোল করলেও, তখনও হয়ত শেষ পর্যন্ত লিড ধরে রাখার ব্যাপারে আশাবাদী ছিল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু সব এলোমেলো করে দিলেন এই লুকেবাকিও। ৯৩ মিনিটে গোল করে উল্লাসে ভাসালেন ডুসেলডর্ফকে।

    এই ড্রয়ে ১২ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার পঞ্চম স্থানে আছে বায়ার্ন। শীর্ষে থাকা বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের চেয়ে ৯ পয়েন্ট পিছিয়ে আছে তাঁরা।