কীভাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজে হেরেছিল বাংলাদেশ, মনে করিয়ে দিয়েছিলেন সাকিব
‘প্রতিশোধ’ কথাটা সাকিব আল হাসান উচ্চারণ করেননি একবারও। চট্টগ্রাম টেস্টের আগের দিন শুধু বলেছিলেন, র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ দুই দলই কাছাকাছি। ওয়েস্ট যেমন দেশের মাটিতে ভালো করেছে, বাংলাদেশও তেমনটাই চাইবে। মাহমুদউল্লাহও আজ ‘প্রতিশোধ’ কথাটা বললেন না। তবে অ্যান্টিগাতে বিধ্বস্ত হওয়ার সেই স্মৃতির বারুদ যে জ্বালানো ছিল, দেশের মাটিতে হয়েছে তারই বিস্ফোরণ। মাহমুদউল্লাহ তাই বললেন, সেই সিরিজের স্মৃতি থেকে প্রেরণা নিয়েছেন তারা।
এই বছরের জুন-জুলাইতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে গিয়ে ধবলধোলাই হয়েছিল বাংলাদেশ। জ্যামাইকার দ্বিতীয় টেস্টে তাও একটু লড়াই করতে পেরেছিল, অ্যান্টিগাতে ৪৩ রানে অলআউট হওয়ার ওই দুঃস্মৃতি তাড়া করে বেড়াবে আরও অনেক দিন। মাহমুদউল্লাহ সেই সিরিজেও ছিলেন, দলের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার মিছিলে তাঁর নামও ছিল।
এবার সিরিজ শুরুর আগেই তাই সাকিব সেই স্মৃতিটা মনে করিয়ে দিয়েছিলেন সবাইকে। এরপর যা হয়েছে, সেটার ফল দেখা যাচ্ছে মাঠেই। চট্টগ্রামে স্পিন ফাঁদে পা দিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিউজের এপিটাফ লেখা হয়েছে। মিরপুর টেস্টে সেরকম কিছু না হলে তা হবে অলৌকিক। বাংলাদেশের রান পাহাড়ে চাপা পড়াটা ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য এখন সময়ের ব্যাপার। পরাজয় এড়াতে তো করতে হবে অবিশ্বাস্য কিছু। এই সিরিজের আগে বাড়তি কি টনিক ছিল বাংলাদেশের? আজ সংবাদ সম্মেলনে এসে সাকিবের সেই কথাটাই মনে করিয়ে দিলেন মাহমুদউল্লাহ, ‘যখন টেস্ট সিরিজটা শুরু হয়, তখন সাকিব একটা কথা বলেছিল। আমার মনে হয় এটা আমাদের মনে রাখা উচিত, ওখানে আমরা কিভাবে হেরেছিলাম। ওই হার দুটো মনে রাখলে, এখানে আমরা মোটিভেট হতে পারবো। এই জিনিসটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমার মনে হয় সাকিবের এই বক্তব্য সবাইকে মোটিভেট করেছে। হারটা যদি আপনি সহজেই ভুলে যান তাহলে আপনি শিখতে পারবেন না। সাকিবের এই কথাটা ভালো একটা মেসেজ ছিল। আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হয় এই কথাগুলো দলকে মোটিভেট করেছে।’
মাহমুদউল্লাহ অবশ্য এখনো মনে করছেন, অলআউট করাটা সহজ হবে না, ‘আমার মনে হয় না সহজ হবে (অলআউট করা)। আমাদের ভালো জায়গায় বোলিং করাটা গুরুত্বপূর্ণ, চেষ্টা করতে হবে প্রতিটি বলেই উইকেট নেওয়ার! আজকেও সাকিব আমাদের এই জিনিসটাই বলছিল। আমার মনে হয় বল আজকে কিছুটা উঠা নামা করছে। এই জিনিসগুলো তখনই কাজে লাগবে, আপনি যখন ঠিক পরিকল্পনায় ঠিক জায়গায় আপনি বোলিং করবেন।’
কাল সকালে দ্রুত হেটমেয়ার-ডাওরিচকে আউট করতে পারলে বাংলাদেশের সামনে চলে আসতে পারে ফলো অনের সুযোগও। মাহমুদউল্লাহ অবশ্য এখনই অতদূর ভাবতে চাইছেন না, ‘এটা এখনো অনেক দূরের ব্যাপার। কালকে আমরা নামবো। শুরু থেকেই নতুন পরিকল্পনা নিয়ে ভালো বোলিং করতে হবে। পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে।’