'তামিম ভাই বলেছিলেন, ভেঙে পড়িস না'
উইকেটে এমন কোন জুজু ছিল না। চট্টগ্রামেও বরং এর চেয়ে বেশি স্পিন-মৃগয়া ছিল। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য মেহেদী হাসান মিরাজের এই উইকেটেই হয়ে গেলেন ভীষণ দুর্বোধ্য। সেই ধাঁধাঁ পড়তে পারলেন না ১২ জন ব্যাটসম্যান। ম্যাচ শেষে ড্রেসিংরুমে যাওয়ার সময় মিরাজ বলছিলেন, কীভাবে সতীর্থ তামিম ইকবালের কথা থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েছেন।
সেই কহার কিছুটা আঁচ পাওয়া গেছে ম্যাচ শেষে। দুই দলের হাত মেলানোর পর তামিম ইকবাল যখন মাঠে ঢুকছিলেন, মিরাজ সিনিয়র সতীর্থকে দেখেই দৌড়ে গেলেন তাঁর দিকে। দুই জনের মধ্যে কথাও হলো। ম্যাচ শেষে সেটাই জানতে চাওয়া হয়েছিল মিরাজের কাছে। বাকিটা শুনুন মিরাজের মুখেই, ‘চট্টগ্রাম টেস্টের পর তামিম ভাই আমাকে ফোন দিয়েছিলেন। তখন বলেছিলেন, তুই ভেঙে পড়িস না। আগের টেস্টে ভালো বল করেছিস। উইকেট পাসনি, তবে ভালো করলে উইকেট আসবেই।’
চট্টগ্রামেও মিরাজ দুই ইনিংস মিলে তিনটি উইকেট পেয়েছিলেন, এর মধ্য হেটমেয়ারের দুইটিসহ তিনটিই ছিল বড় ব্রেকথ্রু। তারপরও বাকি স্পিন সতীর্থদের একটু আড়ালেই ছিলেন। তামিমের কথাটাই সেসময় প্রেরণা হয়ে আসে মিরাজের জন্য, ‘তামিম ভাই বলেছেন, তুই শুধু ঠিক জায়গায় বল করে যা। তুই কোন মানের বোলার, সেটা আমরা সবাই জানি। নিজেকে নিয়ে টেনশন করিস না। আমি তামিম ভাইয়ের কথাটাই মনে রাখার চেষ্টা করেছি। সেজন্য ম্যাচ শেষে উনার সাথে কথা বলার জন্য যাই।’
আজকের বোলিংয়ে অবশ্য নিজের রেকর্ডটাই ভেঙেছেন মিরাজ। দুই বছর আগে এই ইংল্যান্ডের সঙ্গেই ক্যারিয়ারসেরা যে বোলিং করেছেন, সেটাই এতোদিন হয়ে ছিল বাংলাদেশের সেরা বোলিং। মিরাজ অবশ্য ইংল্যান্ডের সঙ্গে ওই কীর্তিটাই এগিয়ে রাখছেন একটু হলেও, ''প্রথমটা আমার জীবনের টার্নিং পয়েন্ট ছিল, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। অবশ্যই ওইটা এগিয়ে থাকবে। কারণ অভিজ্ঞতার দিক থেকে এখন অনেক পরিণত হয়েছি। কাজেই ওইটাকে এগিয়ে রাখব। যদিও এইটাও কম না।''