জমজমাট সেঞ্চুরিয়ানে দক্ষিণ আফ্রিকার লক্ষ্য ১৪৯
পাকিস্তান ১৮১ ও ১৯০ (শান ৬৫, ইমাম ৬৭; অলিভিয়ের ৫/৫৯, রাবাদা ৩/৪৭ )
দক্ষিণ আফ্রিকা ২২৩ (বাভুমা ৫৩, ডি কক ৪৫; আমির ৪/৬২, শাহীন শাহ আফ্রিদি ৪/৬৫)
১৫র নামতা যেন পড়ছে সেঞ্চুরিয়ন টেস্ট। প্রথম দিনে পড়েছিল ১৫ উইকেট, আজও ঠিক ১৫টি। আর তাতেই দুই দলের তিন ইনিংস শেষ। তৃতীয় দিনে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে লক্ষ্য ১৪৯ রান। ম্যাচের পরিস্থিতি বলছে, এই রানটাও স্বাগতিক দলের জন্য ভীষণ কঠিন করে তুলতে পারেন পাকিস্তানের পেসাররা।
সুপারস্পোর্ট পার্কের উইকেটের মতো টেস্টের দ্বিতীয় দিনেও রঙ বদলেছে অনেক বার। সকালে স্বাগতিকেরা শুরু করেছিল প্রথম ইনিংসে ৫৪ রানে পিছিয়ে থেকে, হাতে ছিল ৫ উইকেট। নাইটওয়াচম্যান ডেল স্টেইন শুরুটা খারাপ করেননি, টেন্ডা বাভুমার সঙ্গে যোগ করে ফেলেছিলেন মূল্যবান ১৯ রান। কিন্তু ২৩ রান করে স্টেইনকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানিয়েছেন মোহাম্মদ আমির। এরপর কুইন্টন ডি কক ও বাভুমা মিলে যোগ করেছেন আরও ২৪ রান। ৫৩ রান করার পর শাহীন শাহ আফ্রিদির বলে আউট বাভুমাল ১৭০ রানে দক্ষিণ আফ্রিকা হারাল সপ্তম উইকেট।
বাকি সময়ে টেল এন্ডারদের পালটা আক্রমণ করে গেছেন ডি কক। কেশব মহারাজ ফিরে গেছেন ৪ রানে, ১৮৯ রানে প্রোটিয়াদের নেই অষ্টম উইকেট। এরপর কাগিসো রাবাদার সাথে ৩১ রানের আরেকটি মহামূ্ল্যবান জুটি। ১৯ রান করে রাবাদার পর ডি ককও হার মেনেছেন, ৪৫ রান করে ফিরেছেন শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে। শেষ পর্যন্ত ২২৩ রানে অলআউট হয়ে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা, প্রথম ইনিংসে লিড হয়েছে ৪২ রানের।
দ্বিতীয় ইনিংসে শুরুটা দারুণ হয়েছিল পাকিস্তানের। ৪৪ রানে ফখর জামানকে হারানোর পর ১ উইকেটে পৌঁছে গিয়েছিল ১০১ রানে। ইমাম উল হক ও শান মাসুদের ব্যাটে তখন বড় লক্ষ্য দেওয়ার স্বপ্ন। কিন্তু ১০১ রানে অলিভিয়েরের বলে ইমাম বোল্ড হয়ে যাওয়ার পর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল তাদের ব্যাটিং। কোনো রান না করে অলিভিয়েরের আরেকটি শিকার আজহার আলী। আসাদ শফিক ৬ রান করে আউট ডেল স্টেইনের বলে, ওপাশ থেকে বাবর আজমকেও ৬ রানে ফিরিয়ে ‘পার্টিতে’ যোগ দিলেন রাবাদা। ১৪২ রানেই ৫ উইকেট নেই, ওই ১৪২ রানেই অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ আউট রাবাদার বলে। এরপর আমিরকে ১২ রানে ফিরিয়ে দিয়েছেন রাবাদা। ইয়াসির শাহকে গোল্ডেন ডাক উপহার দিয়েছেন অলিভিয়েরের। শান মাসুদের নিঃসঙ্গ লড়াইটা শেষ পর্যন্ত থেমেছে ৬৫ রানে, স্টেইনের বলে। শেষ পর্যন্ত ১৯০ রানে অলআউট পাকিস্তান। দুই ইনিংস মিলে ১১ উইকেট নিয়েছেন অলিভিয়ের, সুপারস্পোর্টে যা তৃতীয় সেরা বোলিং। আর ৬ উইকেট নিয়ে রাবাদার সঙ্গত তো ছিলই।
তৃতীয় দিনে তাই দক্ষিণ আফ্রিকার লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে ১৪৯ রান। ১৯৯৭ সালে ফয়সালাবাদে এই আফ্রিকার বিপক্ষেই ১৪৬ রান তাড়া করে ৯২ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। এবার কি সেটা ডু প্লেসিদের ফিরিয়ে দিতে পারবেন আমিররা?