• দক্ষিণ আফ্রিকা-পাকিস্তান সিরিজ
  • " />

     

    ভাগ্য ও বিতর্ক পেরিয়ে আফ্রিকাকে পথ দেখালেন আমলা-এলগার

    ভাগ্য ও বিতর্ক পেরিয়ে আফ্রিকাকে পথ দেখালেন আমলা-এলগার    

    পাকিস্তান ১৮১ ও ১৯০

    দক্ষিণ আফ্রিকা ২২৩ ও ১৫১/৪ (আমলা ৬৩*, এলগার ৫০ )

    ফলঃ দক্ষিণ আফ্রিকা ৬ উইকেটে জয়ী


    জিততে হলে ইতিহাসই গড়তে হতো পাকিস্তানকে। গত ১০০ বছরে দক্ষিণ আফ্রিকা ১৫০ রানের নিচে তাড়া করে কখনো টেস্ট হারেনি। সেঞ্চুরিয়নেও সেটির ব্যতিক্রম হলো না, ৬ উইকেটের জয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল স্বাগতিকেরা। তবে বিতর্ক আর নিজেদের ব্যর্থতার দায় পাকিস্তান ম্যাচ শেষে দিতেই পারে।

    ১৪৯ রান তাড়া করে আফ্রিকার শুরুটা হয়েছিল দুঃস্বপ্নের মতো। হাসান আলীর করা ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই এলবিডব্লু মার্করাম, কোনো রান না করেই। এরপর এলগার আর আমলার স্নায়ুক্ষয়ী মুহূর্ত কেটেছে বেশ কিছুক্ষণ। আমলা কিছু দারুণ শট খেলছিলেন, কিন্তু অষ্টম ওভারেই হাসান আলীর বলে ফিরে যেতে পারতেন। ব্যাকফুটে কাট করতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন স্লিপে, কিন্তু সহজ ক্যাচটা দুইবারের চেষ্টায়ও রাখতে পারেননি ফখর জামান। ৮ রানে জীবন পেলেন আমলা, যেটির জন্য অনেক দিন আক্ষেপ থাকবে সরফরজের।

    ম্যাচের সবচেয়ে বিতর্কিত মুহূর্ত এসেছে পরের ওভারে। শাহীন শাহ আফ্রিদির অফ স্টাম্পের ঠিক বাইরের বলটা খোঁচা দিলেন এলগার, ক্যাচ ধরেই উল্লাসে ফেটে পড়লেন আজহার আলী। ক্যাচ ছিল কি না, সেটা জানার জন্য দুই আম্পায়ার তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে সংকেত দিলেন। সফট সিগনাল ছিল আউট, কিন্তু কয়েক বার রিপ্লে দেখার পর টিভি আপায়ার সংকেত দিলেন নট আউটের। সরফরাজরা অবিশ্বাসে তখন বিমূঢ়, আফ্রিদি হতাশায় লাথি মারলেন বাতাসে। এলগারের রান তখন ৪।

    এরপর আর তেমন কোনো সুযোগই দেননি আমলা ও এলগার। বল পুরনো হয়ে আসার পর দুজন উইকেটে থিতু হয়ে খেলতে শুরু করেছেন দারুণ সব শট। ফর্মের সঙ্গে দুজনই যুঝছিলেন, এই ইনিংস দিয়েই দুজন পেলেন রানে ফেরার উপলক্ষ। দ্বিতীয় উইকেটে দুজন যোগ করলেন ১১৮ রান, পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় উইকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার যা সর্বোচ্চ।

    শেষ পর্যন্ত পার্ট টাইমার এলগারকে আউট করলেন শান মাসুদ, তার আগে এই বাঁহাতি ওপেনার করে ফেলেছেন ৫০। এরপর ডি ব্রুইন ১০ রান করে ইয়াসির শাহর বলে স্টাম্পড হয়ে গেলেন, অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি কোনো রান না করেই আফ্রিদির দ্বিতীয় শিকার। এই আউটেই অবশ্য হয়ে গেছে একটা ইতিহাস। সরফরাজ ও ডু প্লেসি, দুই দলের দুই অধিনায়কই পেয়েছেন পেয়ার, টেস্ট ক্রিকেটে দুই অধিনায়কের একই টেস্টে পেয়ার এটাই প্রথম। দক্ষিণ আফ্রিকার অবশ্য সমস্যা হয়নি, আমলা ও বাভুমা মিলে দলকে নিয়ে গেছেন জয়ের দিকে।