• দক্ষিণ আফ্রিকা-পাকিস্তান সিরিজ
  • " />

     

    'পুরোনো' অলিভিয়ার, 'নতুন' মার্করামে দ. আফ্রিকার আধিপত্য

    'পুরোনো' অলিভিয়ার, 'নতুন' মার্করামে দ. আফ্রিকার আধিপত্য    

    দ্বিতীয় টেস্ট, কেপটাউন

    প্রথম দিন, স্টাম্পস
    পাকিস্তান ১ম ইনিংস ১৭৭ (সরফরাজ ৫৬, মাসুদ ৪৪, অলিভিয়ার ৪/৪৮, স্টেইন ৩/৪৮)
    দঃ আফ্রিকা ১ম ইনিংস ১২৩/২ (মার্করাম ৭৮, আমলা ২৪*, আমির ১/২৫)


    সেঞ্চুরিয়নে ডুয়ান অলিভিয়ার নিয়েছিলেন ১১ উইকেট। এ সিরিজে পাকিস্তানের পুরোনো ঘাতকই বলা চলে এই পেসারকে। নতুন করে যুক্ত হলেন আগের টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে ১২ রান করা এইডেন মার্করাম। কেপটাউনের প্রথম ইনিংসে অলিভিয়ার নিলেন ৪টি, প্রথম দিনই। দিনের শেষ বলে পার্ট-টাইমার শান মাসুদের বলে বোল্ড হওয়ার আগে আক্রমণাত্মক ইনিংসে মার্করাম করলেন ৭৮ রান। কেপটাউনের প্রথম দিনে অলিভিয়ার-মার্করামের পাকিস্তানের ওপর আরেকদফা আধিপত্য নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। পাকিস্তানকে তৃতীয় ইনিংসে টানা তৃতীয়বার ২০০-এর নিচে (১৭৭) অল-আউট করে দিনশেষে দক্ষিণ আফ্রিকা পিছিয়ে মাত্র ৫৪ রানে, ৮ উইকেট হাতে নিয়ে। হাশিম আমলা অপরাজিত ২৪ রানে।

    যে উইকেটে প্রথমে ব্যাটিং করে আরেকবার হিমশিম খেলো পাকিস্তান, মার্করামের ব্যাটিংয়ের সময় সেটাই যেন বদলে গেল। ৭৮ রানের ইনিংসে তিনি মেরেছেন ১৪টি চার, ১টি ছয়। ৭ ইনিংস পর পেলেন ফিফটি, দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং ভবিষ্যত দিলেন ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত। থাকলো শুধু ওই সেঞ্চুরির আক্ষেপটাই। প্রথমে ডিন এলগারের সঙ্গে গড়েছেন ৫৬ রানের জুটি, মোহাম্মদ আমিরের অফস্টাম্পের বাইরের বলে এলগার খোঁচা দেওয়ায় ভেঙেছে যেটা। আমলার সঙ্গে এলগারের জুটি ৬৭ রানের। শুরুতে মোহাম্মদ আব্বাসের পর মোটামুটি সবার ওপরই চড়াও হয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যানরা।

    পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ের শুরুটা ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার ঠিক বিপরীত। ১৯ রানেই নেই ৩ উইকেট। ফাখার জামান ডেল স্টেইনের শর্ট বলে আত্মরক্ষার্থে পরাস্ত, ইমাম-উল-হক এলবিডব্লিউ ভারনন ফিল্যান্ডারের ভেতরের দিকে ঢোকা বলে। এরপর দৃশ্যপটে ডুয়ান অলিভিয়ার, আরেকবার তার শিকার আজহার আলি।

    শান মাসুদকে কিছুক্ষণ সঙ্গ দিলেন আসাদ শফিক। চার চারে ২০ রান করলেন তিনি, কাগিসো রাবাদার বলে খোঁচা মারার আগে। ৪ রানের ব্যবধানে নেই বাবর আজমও, অলিভিয়ারের শর্ট বলে নিচে নামতে চেয়েও গ্লাভস সরাতে পারলেন না বলের লাইন থেকে। ৫৪ রানে পাকিস্তান হারালো পঞ্চম উইকেট।

    লাঞ্চের আগে আর উইকেট হারায়নি অবশ্য তারা, মাসুদের সঙ্গে অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদের জুটির কারণে। সেই জুটি শেষ পর্যন্ত গেল ৬০ রান পর্যন্ত। মাসুদের ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙলো, ইনিংসে তার প্রথম ভুলই হলো কাল। রাবাদার অফস্টাম্পের বাইরের লোভনীয় বলে খোঁচা দিলেন, তবে সব ছাপিয়ে গেল কুইন্টন ডি ককের ক্যাচ। বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে প্রথম স্লিপের সামনে নিচু হয়ে যেটা নিলেন দক্ষিণ আফ্রিকান উইকেটকিপার। সরফরাজ টিকলেন আরও কিছুক্ষণ, ৬৭ বলে ৮ বাউন্ডারিতে ফিফটি পূর্ণ করলেন। এরপর মারতে পারলেন আর একটি বাউন্ডারি, অলিভিয়ারকে আপার-কাটের চেষ্টায় ধরা পড়লেন ডি ককের হাতে। ইয়াসির শাহকে স্লিপে ক্যাচ বানিয়ে পাঁচ উইকেটের দিকে এগিয়ে গেলেন অলিভিয়ার, আমিরের দেওয়া সুযোগটা ডি কক নিতে পারলে হয়েও যেত সেটা।

    সেটা হয়নি। মোহাম্মদ আব্বাস ও শাহিন শাহ আফ্রিদিকে ডি ককের হাতে ক্যাচ বানিয়ে নিজে তিন উইকেট নিয়েছেন স্টেইন। ৫২ ওভারের মাঝেই গুটিয়ে গেছে পাকিস্তান। আরেকবার হারিয়েছে পথ।