• দক্ষিণ আফ্রিকা-পাকিস্তান সিরিজ
  • " />

     

    ডু প্লেসির দায়মোচনের সেঞ্চুরিতে অকূল পাথারে পাকিস্তান

    ডু প্লেসির দায়মোচনের সেঞ্চুরিতে অকূল পাথারে পাকিস্তান    

    দ্বিতীয় টেস্ট, কেপটাউন
    দ্বিতীয় দিন, স্টাম্পস
    পাকিস্তান ১ম ইনিংস ১৭৭ (সরফরাজ ৫৬, মাসুদ ৪৪, অলিভিয়ার ৪/৪৮, স্টেইন ৩/৪৮)
    দঃ আফ্রিকা ১ম ইনিংস ৩৮২/৬* (ডু প্লেসি ১০৩, মার্করাম ৭৮, বাভুমা ৭৫, আফ্রিদি ৩/১১২) 
    দ. আফ্রিকা ৪ উইকেট নিয়ে ২০৫ রানে এগিয়ে 


    সিরিজে তিন ইনিংসে এখনও ২০০ ছুঁতে পারেনি পাকিস্তান, কেপটাউন টেস্টে প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার লিড এরই মাঝে ছাড়িয়ে গেছে ২০০। ফাফ ডু প্লেসির সেঞ্চুরি, টেমবা বাভুমার ৭৫ রানের ইনিংসে দ্বিতীয় দিনশেষে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে স্বাগতিকরা, পাকিস্তানের সামনে রেখেছে নিদারুণ কঠিন এক কাজ। ৪ উইকেট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা এগিয়ে এখন ২০৫ রানে। 

    আগের টেস্টে ‘পেয়ার’ পেয়েছিলেন ডু প্লেসি, এই টেস্টে সেঞ্চুরি করে যেন দায়মোচনই করলেন সেটার। তার ২২৬ বলের ইনিংস, বাভুমার সঙ্গে ১৫৬ রানের জুটিতেই মিলিয়ে গেছে পাকিস্তানের দ্রুত দুই উইকেটের সুখস্মৃতি। অবশ্য দক্ষিণ আফ্রিকার বাঁধ ভাঙার পথে এগিয়ে যেতে পারতো পাকিস্তান, সেঞ্চুরিয়নের মতো এবারও তাদের বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে টিভি আম্পায়ারের ‘সূক্ষ্ণ’ সিদ্ধান্ত।। 

    দিনের শুরুতে মোহাম্মদ আব্বাসের বলে বোল্ড হয়েছিলেন হাশিম আমলা, এরপর থিউনিস ডি ব্রুইনকেও বেশিক্ষণ টিকতে দেননি শাহিন শাহ আফ্রিদি। ৩ রানের মাথায় ফিরতে পারতেন বাভুমাও, বেঁচে গেছেন ওই সূক্ষ্ণ সিদ্ধান্তের জোরেই। স্লিপে আজহার আলি নীচু হয়ে নিয়েছিলেন ক্যাচটি, অন-ফিল্ড থেকে সফট সিগন্যালও ছিল আউটেরই। তবে আজহারের আঙুলের চেয়ে মাটি সে ক্যাচে সহায়তা করেছে বোধ করে সেটা নাকচ করেছেন তৃতীয় আম্পায়ার এস রভি। এর আগে সেঞ্চুরিয়নে একইভাবে বেঁচে গিয়েছিলেন ডিন এলগারও। 

    ডু প্লেসিকে অবশ্য ছুঁয়ে যায়নি এসব, ৮৩ বলে ফিফটি ছোঁয়ার পর ২০৯ বলে পূর্ণ করেছেন সেঞ্চুরি। ২২৬ বলে ১০৩ রান করেছেন ১৫টি চারে, আউট হয়েছেন আফ্রিদির বলে কট-বিহাইন্ড হয়ে। এটি অবশ্য রিভিউ নিয়ে পেয়েছে পাকিস্তান। আবার বাভুমাকে আম্পায়ার আউট দিলেও তিনি রিভিউ নিয়ে বেঁচেছেন প্রায় মিলিমিটার ব্যবধানে। তিনি ফিফটি ছুঁয়েছেন ১০৩ বলে, একই বোলারের বলে কট-বিহাইন্ড হওয়ার আগে ১৬২ বলে ১০ চারে করেছেন ৭৫ রান। 

    কুইন্টন ডি কক অবশ্য শুরু থেকেই ছিলেন আক্রমণাত্মক। দুই চারে শুরু করেছিলেন ইনিংস, ফিফটি ছুঁয়েছেন মাত্র ৫৯ বলে। দিনশেষে অপরাজিত আছেন ৭২ বলে ৫৫ রানে। 

    অন্যদিকে সফলতার দেখা পেয়েছেন আফ্রিদি, আঁটসাঁট বোলিং করলেও অধিনায়ক সরফরাজের মুখে এক আমলার উইকেট ছাড়া সেভাবে হাসি ফোটাতে পারেননি আব্বাস, এদিন উইকেটশুন্যই ছিলেন আমির। আর কেপটাউনের উইকেট থেকে সহায়তা পাননি ইয়াসির শাহ, ছিলেন নিস্প্রভই। 

    চার পেসারকে নিয়ে খেলতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকা সেটা দেখে নিশ্চয়ই খুশিই হয়েছে! খুশি হয়েছেন ডু প্লেসিও। সঙ্গে এদিন পাওয়া সেঞ্চুরিটা তার খুশির মাত্রাটাই নিশ্চয়ই বাড়িয়ে দিয়েছে আরও।