• দক্ষিণ আফ্রিকা-পাকিস্তান সিরিজ
  • " />

     

    কেপটাউনের পিচ টেস্টের উপযুক্ত নয়: আর্থার

    কেপটাউনের পিচ টেস্টের উপযুক্ত নয়: আর্থার    

    বাউন্সার তো ছিলই,  ভালো লেন্থের বলও হুটহাট লাফিয়ে উঠছে বহুবার। দ্বিতীয় দিনে ফাফ ডু প্লেসি, টেম্বা বাভুমাদের ব্যাটিংটা কঠিন করে তুলেছিল কেপটাউনের উইকেট। খোদ পাকিস্তান কোচ মিকি আর্থার বলছেন, সেঞ্চুরিয়ানের মতো এই ভেন্যুর পিচও টেস্ট খেলার উপযুক্ত নয়।

    প্রথম টেস্টের মত কেপটাউনেও ব্যর্থ পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা। ব্যাট করতে নেমে খুব বেশি স্বস্তির সাথে ব্যাট করতে পারেননি দক্ষিণ আফ্রিকানরাও। বেশ কয়েকবার গ্লোভসে আঘাত পেয়ে ফিজিওর সাহায্য নিতে হয়েছে ডু প্লেসিকে। বাভুমাও পাঁজরে আঘাত পেয়েছিলেন। দ্বিতীয় দিনেই যদি পিচের এই হাল হয়, তাহলে পরের ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানদের কী হবে, সেটাই ভাবাচ্ছে আর্থারকে।

    গত বছরের জানুয়ারিতে ভারতের বিপক্ষে ওয়ান্ডারার্সের পিচকে নিম্নমানের বলেছিল আইসিসি। আর্থারের দাবি, সেঞ্চুরিয়ান ও কেপটাউনের পিচও টেস্টের জন্য উপযুক্ত নয়, ‘সত্যি বলতে আমি একটু হতাশ। ২০১০ সালের পর থেকে আমি দক্ষিণ আফ্রিকায় আসিনি। এবার সেঞ্চুরিয়ান ও কেপটাউনের পিচ দেখে একটা কথাই মনে হয়েছে, টেস্ট খেলার জন্য দুই পিচের একটিও উপযুক্ত নয়।পিচের আচরণ খুবই অদ্ভুত। দ্বিতীয় দিনে কমপক্ষে সাতবার ফিজিওকে মাঠে আসতে হয়েছে। চতুর্থ কিংবা পঞ্চম দিনে এরকম হলে মানা যায়। কিন্তু এখানে তো প্রথম ইনিংসে ব্যাট করাটাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

    আর্থারের সাথে একমত হলেও বাভুমা মনে করেন, এমন পিচেও ভালো ব্যাটিং করা ‘অসম্ভব’ কিছু না, ‘পিচটা চ্যালেঞ্জিং, এটা সত্যি। কিন্তু এখানে ব্যাটিং করা অসম্ভব না। অতিরিক্ত গতির কারণে এখানে কিছু বল আপনার শরীরে লাগবে ঠিকই, সেটার সাথে মানিয়ে নিতে হবে। এই পিচকে ‘ভয়ংকর’ ভাবার কিছু নেই। আমি আর ডু প্লেসি তো এখনো অনায়াসেই ব্যাট করছি! আর ঘরের মাটিতে সবাই বাড়তি সুবিধা নেয়, আমরাও এটার ব্যতিক্রম করছি না। আমরা জানি ঘরের মাঠে কীভাবে খেলতে হয়।’

    এদিকে ডু প্লেসি জানিয়েছেন, পিচ যেমনই হোক, ম্যাচ জিতলেই খুশি তারা, ‘উপমহাদেশে খেলতে গেলে প্রথম দিন থেকেই অনেক সময় পিচে স্পিন ধরে। দক্ষিণ আফ্রিকার পিচও হয়ত কিছুটা কঠিন। শুধু দলের জন্য না, অধিনায়কের জন্যও। আমাদের ওপেনাররা কিন্তু দারুণ ধৈর্যের সাথে ব্যাটিং করেছে। যতক্ষণ আমরা ম্যাচ জিতছি, ততক্ষণ পিচ নিয়ে খুব বেশি আপত্তি নেই।’

    ওয়ান্ডারার্সের মত কেপটাউনের পিচকেও নিম্নমানের বলবে কিনা আইসিসি, সেটাই এখন দেখার বিষয়।