• দক্ষিণ আফ্রিকা-পাকিস্তান সিরিজ
  • " />

     

    ডি ককের সেঞ্চুরির পর লড়াই করছে পাকিস্তান

    ডি ককের সেঞ্চুরির পর লড়াই করছে পাকিস্তান    

    জোহানেসবার্গ টেস্ট
    তৃতীয় দিন, স্টাম্পস
    দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস ২৬২ (মার্করাম ৯০, ডি ব্রুইন ৪৯, আমলা ৪১, হামজা ৪১, ফাহিম ৩/৫৭, আমির ২/৩৬, আব্বাস ২/৪৪) ও ২য় ইনিংস ৩০১ অল-আউট (ডি কক ১২৯, আমলা ৭১, ফাহিম ৩/৪২, শাদাব ৩/৪১)
    পাকিস্তান ১ম ইনিংস ১৮৫ অল-আউট (সরফরাজ ৫০, বাবর ৪৯, অলিভিয়ার ৫/৫১, ফিল্যান্ডার ৩/৪৩) ও ২ ইনিংস ১৫৩/৩* (শফিক ৪৮*, সেটেইন ২/৩৭)
    পাকিস্তানের জয়ের জন্য ৭ উইকেটে ২২৮ রান প্রয়োজন 


    জোহানেসবার্গে তৃতীয় দিনের গল্পটা কুইন্টন ডি ককের। দুই বছর পর করা তার দারুণ সেঞ্চুরির। প্রথম ইনিংসে ১৮৫ রানে গুটিয়ে যাওয়া পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংসে অবশ্য দৃঢ়তা দেখিয়েছে, দিনশেষে তুলেছে ৩ উইকেটে তুলেছে ১৫৩ রান। তবে জয়ের জন্য বাকি ৭ উইকেটে এখনও ২২৮ রান করতে হবে তাদের। 

    এদিন শুরুর ঘন্টাটা আগেরদিনের ঠিক বিপরীত ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার, হাশিম আমলা ও কুইন্টন ডি কক এসময় করেছেন নির্মল ব্যাটিং। আমলা ফিরলেও ডি কক ঠিকই পেয়েছেন সেঞ্চুরি। ক্যারিয়ারে এটি চতুর্থ সেঞ্চুরি তার, আগের সর্বোচ্চ ১২৯ রানের সমান। ১১৫ বলে চার মেরে ফিফটি পূর্ণ করেছেন আমলা, ওয়ান্ডারার্সের অসম বাউন্সের কঠিন উইকেটে তার ব্যাটিং ছিল দারুণ এক প্রদর্শনী। হাসান আলির বাড়তি বাউন্সে শেষ পর্যন্ত থেমেছেন তিনি, সরফরাজের হাতে ক্যাচ দিয়ে, ১৪৪ বলে ১৪ চারে ৭১ রান করে। ভারনন ফিল্যান্ডার স্বল্প সময়ের উপস্থিতি জানান দিয়েছিলেন তিন বাউন্ডারিতে। মোহাম্মদ আমিরের ব্লকহোলের বলে হয়েছেন এলবিডব্লিউ। এরপর রাবাদাকে নিয়ে ডি কক যোগ করেছেন আরও ৭৯ রান। 

    আগেরদিন প্রায় একশ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করলেও এদিন সকালে গতি কমিয়ে সামলেছেন পাকিস্তানের পেস আক্রমণ। তবে সেটা বাড়িয়ে নিয়েছেন ঠিকই, ১২৯ রান করতে খেলেছেন মাত্র ১৩৮ বল। ১২১ বলে পূর্ণ করেছেন সেঞ্চুরি, যেটি এলো প্রায় দুই বছর পর। ৯৯ রানে দাঁড়িয়ে ফাহিম আশরাফকে ড্রাইভ করা শটটা নন-স্ট্রাইকিং প্রান্তে কাগিসো রাবাদার বুটে লেগে প্রায় গিয়েছিল মিড-অনের হাতে, রান-আউটের সম্ভাবনাও তৈরী হয়েছিল এরপর। সেসব থামাতে পারেনি তাকে, উল্লাসে মেতেছেন ঠিকই। 

    শাদাবকে ছয় মারার পর আবার মারতে গিয়ে ধরা পড়েছেন, ৫ উইকেট নিয়ে এদিন ১৩৫ রান যোগ করা দক্ষিণ আফ্রিকা শেষ ৩ উইকেট হারিয়েছে ১ রানের ব্যবধানে। শেষ ব্যাটসম্যান অলিভিয়ারের ক্যাচ নিয়েছেন সরফরাজ, শাদাবের বলে। প্রথম অধিনায়ক-উইকেটকিপার হিসেবে ম্যাচে দশটি ডিসমিসাল হলো তার। এর আগেই পাকিস্তানকে ৩৮২ রানের অসম্ভব লক্ষ্য দেওয়া হয়ে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকার।  

    চা-বিরতির আগে ৭ ওভার ঠিকঠাক সামলেছিলেন দুই পাকিস্তানী ওপেনার ইমাম-উল-হক ও শান মাসুদ। স্টেইনের ক্রমাগত ভেতরের দিকে ঢোকা বলে শেষ পর্যন্ত থামতে হয়েছে ইমামকে, হালকা-এজে ডি ককের গ্লাভসে ধরা পড়ার আগে করেছেন ৩৫। মাসুদের উইকেটটা দক্ষিণ আফ্রিকা পেয়েছে রিভিউ নিয়ে, প্যাডে লাগার আগে, বল ছুঁয়েছিল ব্যাট। মাসুদ করেছেন ৩৭। 

    আজহার রিভিউ নিয়ে বেঁচেছিলেন ফিল্যান্ডারের বলে, তবে টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। অলিভিয়ারের ভয়ঙ্কর বাউন্সারে শেষ হয়েছে তার ভয়ঙ্কর সফর। আসাদ শফিক ও বাবর আজম এরপর আর উইকেট হারাতে দেননি। দিনশেষে শফিক ফিফটি থেকে ২ রান দূরে অপেক্ষা করছেন, বাবর অপরাজিত ১৭ রানে।