'আইস কুল' হাফিজে সফরের প্রথম জয় পাকিস্তানের
স্কোর
দক্ষিণ আফ্রিকা ৫০ ওভারে ২৬৬/২ (আমলা ১০৮*, ডুসেন ৯৩; শাদাব ১/৪১, হাসান ১/৪২)
পাকিস্তান ৪৯.১ ওভারে ২৬৭/৫ (ইমাম ৮৬, হাফিজ ৭১*; অলিভিয়ার ২/৭৩, হেনড্রিকস ১/১৩)
পাকিস্তান ৫ উইকেটে জয়ী
টেস্ট সিরিজের তিন ম্যাচেই দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে পাত্তা পায়নি পাকিস্তান। ওয়ানডে সিরিজের আগে অবশ্য আফ্রিকা অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি বলেছিলেন, এই ফরম্যাটে তাদের চেয়েও শক্তিশালী দল পাকিস্তান। কে জানত, প্রথম ম্যাচে সেটাই সত্যি হবে? হাশিম আমলার সেঞ্চুরিকে ম্লান করে দিয়ে শেষ ওভারে পাকিস্তানকে পাঁচ উইকেটের দারুণ এক জয় এনে দিয়েছেন ইমাম-উল-হক ও মোহাম্মদ হাফিজ।
পাকিস্তানের সামনে লক্ষ্য ছিল ২৬৭। ইমাম ও ফাখার জামান শুরুটাও করেছিলেন ভালো। মারমুখী ব্যাটিংয়ে দ্রুত গতিতেই রান উঠছিল। বেশি আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে ২৫ রানে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন ফাখার, ডুয়ান অলিভিয়ারের বলে থার্ড ম্যান অঞ্চলে বাউন্ডারি লাইনে দারুণ এক ক্যাচে তাঁকে ফেরান ডুয়াইন প্রেটোরিস। এরপর বাবর আজমকে নিয়ে ইমামের গড়া ৯৪ রানের জুটিই মূলত জয়ের ভিত গড়ে দেয়।
ফিফটি থেকে এক রান দূরে থাকতে ফেরেন বাবর। সেঞ্চুরি পাননি ইমামও। ৫ চার ও দুই ছয়ে ১০১ বলে ৮৬ রানে থামেন ইমাম। এরপর পাঁচ রানের ব্যবধানে শোয়েব মালিক ও সরফরাজ আহমেদকে হারিয়ে বেশ চাপেই পড়ে পাকিস্তান। সেই চাপ সামলে দলের জয় নিশ্চিত করেছেন হাফিজ। ৮ চার ও দুই ছয়ে সাজানো ৬৩ বলে ৭১ রানের ঠান্ডা মাথার ইনিংসেই সিরিজের প্রথম জয়ের স্বাদ পায় পাকিস্তান। হাফিজকে শেষের দিকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন শাদাব খান। পাঁচ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌছায় তারা।
দিনের শুরুতে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামা দক্ষিণ আফ্রিকার শুরুটাও হয়েছিল দুর্দান্ত। ওপেনিং জুটিতে আমলা ও রেজা হেনড্রিকস যোগ করেন ৮২ রান। ৪৫ রান করে হেনড্রিকস ফিরলে অভিষেক হওয়া রাসি ভ্যান ডার ডুসেনকে নিয়ে আরেকটি বড় জুটি গড়েন আমলা। তৃতীয় উইকেটে আসে ১৫৫ রান। এই সময়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ২৭ তম সেঞ্চুরি তুলে নেন আমলা। মাত্র ১৬৭ ম্যাচে ২৭ সেঞ্চুরি করে বিরাট কোহলিকেও ছাড়িয়ে গেছেন তিনি, কোহলি ২৭তম সেঞ্চুরি করেছিলেন ১৬৯ ইনিংসে। তবে সেঞ্চুরির পরেও আগের মতো রক্ষণাত্মক ব্যাটিং চালিয়ে গেছেন তিনি।
আমলা সেঞ্চুরি পেলেও ৭ রানের জন্য নিজের প্রথম ম্যাচেই সেঞ্চুরি পাওয়া হয়নি ডুসেনের। ৯৩ রানে হাসান আলির বলে লং অফে মালিকের হাতে তালুবন্দি হন তিনি। আমলা শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ১০৮ রানে, আফ্রিকার ইনিংস থামে ২৬৬ রানে। তবে ৩৫ ওভার শেষে তাদের স্কোর ছিল এক উইকেটে ১৬০ রান। সেখান থেকে বড় স্কোর করতে পারেনি তারা, শেষ দশ ওভারে উঠেছে মাত্র ৭৬ রান। হাতে ৮ উইকেট থাকলেও রানের গতিটা কখনোই বাড়াতে পারেনি প্রোটিয়ারা। শেষ পর্যন্ত আক্ষেপ হয়ে থাকল এটাই।