শিনওয়ারি-ইমামে সিরিজে ফিরল পাকিস্তান
চতুর্থ ওয়ানডে, জোহানেসবার্গ
দক্ষিণ আফ্রিকা ১৬৪ অল-আউট, ৪১ ওভার (ডু প্লেসি ৫৭, আমলা ৫৯, শিনওয়ারি ৪/৩৫, আফ্রিদি ২/২৪)
পাকিস্তান ১৬৮/২, ৩১.৩ ওভার (ইমাম ৭১, ফাখার ৪৪, বাবর ৪১*, ফেলুকয়ায়ো ১/১৭)
পাকিস্তান ৮ উইকেটে জয়ী
উপলক্ষ্যটা ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার পরিচিত। ক্যান্সার সচেতনতা নিয়ে গোলাপি পোশাকের নিয়মিত আয়োজন ছিল জোহানেসবার্গে। পাকিস্তান পেয়েছিল ধাক্কা, বর্ণবাদের দায়ে চার ম্যাচ নিষিদ্ধ হওয়ায় এ ম্যাচে ছিলেন না তাদের অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। শোয়েব মালিক অধিনায়কত্ব করলেন। ওয়ান্ডারার্সে জ্বলে উঠলেন উসমান খান শিনওয়ারি। তার ৪ উইকেটে ১৬৪ রানে অল-আউট হয়ে যাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা পরে ইমাম-উল-হকের ৭১ রানের সঙ্গে ফাখার জামান ও বাবর আজমের চল্লিশ পেরুনো ইনিংসে জবাব দিতে পারেনি। জোহানেসবার্গে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথমবারের মতো জিতে সিরিজে সমতা এনেছে পাকিস্তান, কেপটাউনের শেষ ম্যাচটি তাই এখন ফাইনাল।
টসে জিতে ফিল্ডিং নেওয়া পাকিস্তানকে শুরুতে সাফল্য এনে দিয়েছিলনে শাহিন শাহ আফ্রিদি। ভেতরের দিকে ঢোকা বলে এলবিডব্লিউ হয়েছিলেন কুইন্টন ডি কক, লেগসাইডের বলে ফ্লিক করতে গিয়ে মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাতে ধরা পড়েছিলেন রিজা হেন্ডরিকস। ১৮ রানের ভেতরই ২ উইকেট হারিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। হাশিম আমলা ও ফাফ ডু প্লেসির জুটি অবশ্য ম্যাচে ফেরালো তাদের, দারুণভাবেই। দুজনের জুটিতে উঠলো ১০১ রান, দুজনই করলেন ফিফটি। তাদের জুটি ভাঙার পরই বাঁধলো বিপত্তিটা।
প্রথমে শাদাব খানের বলে ডিপ মিড-উইকেটে ধরা পড়লেন ডু প্লেসি, ৭৬ বলে ৫৭ রান করে। এর আগে থেকেই আক্রমণ শুরু করছিলেন ডু প্লেসি। আমলাও শিকার আরেক স্পিনারের, শাদাবের বলে বোল্ড হওয়ার আগে তিনি করেছেন ৭৫ বলে ৫৯। এরপর ডেভিড মিলারও টেকেননি বেশিক্ষণ, মোহাম্মদ আমিরের বলে তিনি হয়েছেন এলবিডব্লিউ। ১৪০ রানে দক্ষিণ আফ্রিকা হারিয়েছে ৫ম উইকেট, তবে তাদের জন্য উসমান কী বিপর্যয় নিয়ে অপেক্ষা করছেন সেটা তখনই কেইবা জানতো!
শুরুটা হলো ১৮ রান করা ভ্যান ডার ডুসেনের উইকেট দিয়ে। পরের তিন বলে তিনি নিলেন আরও ২ উইকেট, স্টেইনের পর ফিরলেন রাবাদা। ১৫৬ থেকে ১৫৭-এর মাঝে দক্ষিণ আফ্রিকা হারালো ৪ উইকেট! ইমরান তাহিরকে ফিরিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসটা শেষ করেছেন শাদাব।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়োজন ছিল দ্রুত ব্রেকথ্রু, তবে সহসাই সেটা পেল না তারা। ইমাম-উল-হক ও ফাখার জামানের জুটিতেই উঠলো ৭০ রান। সমানসংখ্যক বলে ৪৪ রান করে ফিরলেন ফাখার, ৭ বাউন্ডারিতে, তাহিরের বলে ক্যাচ দিয়ে। এ উইকেটের উদযাপনটা তাবরাইজ শামসির মতো করে করলেন তাহির, নিজের জুতা খুলে মোবাইল ফোন বানিয়ে! ডাগ-আউটের সেটার জবাবও দিলেন শামসি। উল্লাসে মাতলো জোহানেসবার্গ, তবে এমন উল্লাসের সুযোগ স্বাগতিকরা তেমন পেল না আর।
ইমাম করলেন ফিফটি, আগের ম্যাচের সেঞ্চুরির পর। জয় থেকে ১ রান দূরে থাকতে তিনি ফিরেছেন অ্যান্ডাইল ফেলুকয়ায়োর বলে, তার আগে ৯১ বলে করেছেন ৭১ রান। ফাখারের পর বাবর আজমের সঙ্গে তার ৯৪ রানের জুটিই পথ হারাতে দেয়নি পাকিস্তানকে। শিনওয়ারির বলে যেভাবে পথটা হারিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা!