'চোকার' উপাধি ঘোচাতে চান ডু প্লেসি
তাদের ‘চোকার’ উপাধিটা বহুদিনের। বিশ্বকাপ যেন দক্ষিণ আফ্রিকার হতাশার অন্য নাম। বিশ্বকাপে উত্তেজনায় ভরপুর গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বরাবরই শেষ মুহূর্তে গিয়ে তালগোল পাকিয়েছে আফ্রিকানরা। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচের আগে অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি বলছেন, গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে জয়ের অভ্যাসটা বিশ্বকাপে কাজে লাগবে তাদের।
পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে এখন ২-২ এ সমতা। শেষ ম্যাচটা তাই ‘ফাইনালের’ গুরুত্ব পাচ্ছে। ডু প্লেসি মনে করেন, এমন ম্যাচে জয় দলকে বাড়তি আত্মবিশ্বাস জোগাবে, ‘বড় ম্যাচে জেতার জন্য আমরা কীভাবে খেলব, সেই উপায়টা বের করা জরুরী। বিশেষ করে সামনে যখন বিশ্বকাপ, এটার গুরুত্ব আরও বেশি। বড় ম্যাচকে অবশ্য আরও বড় বানিয়ে দিলেই বিপদ! যখনই আমরা নিজেদের মাথায় এসব আনি, তখনই সেরা খেলাটা খেলতে পারি না। তাই এসব না ভেবে সবার উচিত নিজেদের স্বাভাবিক খেলাটাই খেলা।’
গত কয়েক বছরে কঠিন পরিস্থিতিতে ম্যাচ জয়ের কথাটা মনে করিয়ে দিলেন ডু প্লেসি, ‘গত দুই বছরে আমরা এরকম পরিস্থিতিতে বেশ ভালো খেলেছি। প্রতিবারই সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে আমরা নিজেদের সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করি। দল হিসেবে এখন আমরা আগের মতো চাপ নেই না। আর চাপ কম থাকে বলেই আমরা বেশি ম্যাচ জিতেছি।’
বিশ্বকাপেও দলকে বাড়তি চাপ না নেওয়ার ব্যাপারে পরামর্শ ডু প্লেসির, ‘আমার মনে হয় বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড ও ভারতই ফেবারিট। তাই দক্ষিণ আফ্রিকার কোনো চাপ না নিয়ে বিশ্বকাপে যাওয়া উচিত। তবে মূল সমস্যাটা হচ্ছে, যখনই আইসিসি টুর্নামেন্ট আসে, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ সব দলের ওপরেই চাপ সৃষ্টি হয়। আমাদের ওপর চাপটা একটু বেশিই থাকে। মিডিয়া, প্রতিপক্ষ সবাই এটা বারবার মনে করিয়ে দেয়। তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য এই চাপ সামলানো কঠিন। কাগজে কলমে আমরা শক্তিশালী দল, কিন্তু মাঠের লড়াইয়েই জয় পরাজয় নির্ধারিত হয়। বিশ্বকাপে সবাই চাপ না নিয়ে নিজের সেরাটা দেবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’
শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকা ‘চোকার’ উপাধিটা ঝেড়ে ফেলতে পারে কিনা, সেটার জন্য অপেক্ষা করতে হবে বিশ্বকাপ পর্যন্ত।