• বুন্দেসলিগা
  • " />

     

    ডর্টমুন্ডকে ছুঁয়ে বুন্দেসলিগা জমিয়ে তুলল বায়ার্ন

    ডর্টমুন্ডকে ছুঁয়ে বুন্দেসলিগা জমিয়ে তুলল বায়ার্ন    

    মৌসুমের প্রায় পুরোটা সময়জুড়েই শীর্ষে থাকা বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের চেয়ে পিছিয়ে ছিল তাঁরা। তবে গত কয়েক সপ্তাহে ডর্টমুন্ডের সাথে ব্যবধানটা একদম কমিয়ে এনেছে বায়ার্ন মিউনিখ। দুদিন আগে অসবুর্গের কাছে ডর্টমুন্ডের হারের পর বায়ার্নের সামনে সুযোগ ছিল তাদের ধরে ফেলার। রবার্ট লেভানডফস্কির জোড়া গোলে বরুশিয়া মগ্লাডবাখকে ৫-১ ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়ে শীর্ষে থাকা ডর্টমুন্ডকে ছুঁল বায়ার্ন।

     

     

    প্রথম মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছিল বায়ার্নের সামনে। থমাস মুলারের থ্রু বলে লেভানডফস্কির শট ঠেকিয়ে দেন মগ্লাডবাখ গোলরক্ষক ইয়ান সোমের। পরের মিনিটেই এগিয়ে যায় বায়ার্ন। কর্নার থেকে পাওয়া বলে হেড করে বল জালে জড়ান জাভি মারটিনেজ। ১১ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মুলার। প্রথমে তার শট বাঁচিয়ে দিয়েছিলেন মগ্লাডবাখ কিপার, এরপর সেই বল আসে মুলারের পায়েই। সেখান থেকে আর গোল করতে ভুল করেননি মুলার, এই মৌসুমে এটি তার ষষ্ঠ গোল।

    ২২ মিনিটে আবার লেভানডফস্কিকে হতাশ করেন সোমের। ৩০ ও ৩৩ মিনিটে দুইবার গোলের সুযোগ নষ্ট করেছেন সার্জি গ্যাব্রি। স্রোতের বিপরীতে ৩৭ মিনিটে এক গোল শোধ করে মগ্লাডবাখ। থোরগান হ্যাজার্ডের থ্রু বলে বা পায়ের দারুণ এক শটে ম্যানুয়েল নয়্যারকে বোকা বানান লারস স্টিন্ডল। ৪২ মিনিটে ম্যাচে সমতা আনতে পারত মগ্লাডবাখ, অ্যালেসান প্লিয়ার শট ঠেকিয়ে দেন নয়্যার।

    দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই দুই গোলের লিড ফিরে পায় বায়ার্ন। প্রথমার্ধে দুইবার ব্যর্থ হলেও এবার গোল করেন লেভানডফস্কি। ৫৩ মিনিটে হামেস রদ্রিগেজের শট ঠেকিয়ে দেন সোমের।

    ৭৫ মিনিটে ম্যাচে বায়ার্নের হয়ে চতুর্থ গোল করেন গ্যাব্রি। প্রথমে লেভানডফস্কির শট ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন সোমের, সেই বল আসে গ্যাব্রির পায়ে। ছয় গজ দূর থেকে গোল করতে ভুল করেননি তিনি।

    ৯১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোল পান লেভানডফস্কি। শেষ পর্যন্ত ৫-১ ব্যবধানের বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে বায়ার্ন। এই জয়ে ২৪ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৫৪। সমান পয়েন্ট নিয়ে ডর্টমুন্ড শীর্ষে আছে গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই। শেষভাগে এসে তাই জমেই গেলো বুন্দেসলিগা!