• বুন্দেসলিগা
  • " />

     

    রদ্রিগেজের হ্যাটট্রিকে শীর্ষে ফিরল বায়ার্ন

    রদ্রিগেজের হ্যাটট্রিকে শীর্ষে ফিরল বায়ার্ন    

    দুদিন আগে পিছিয়ে পড়েও হার্থা বার্লিনকে ৩-২ গোলে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে ফিরেছিল বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। খুব বেশি সময় অবশ্য শীর্ষে থাকতে পারল না তাঁরা, ৪৮ ঘণ্টা না পেরোতেই ডর্টমুন্ডকে দ্বিতীয় স্থানে নামিয়ে দিল বায়ার্ন মিউনিখ। হামেস রদ্রিগেজের দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিকে মেইঞ্জকে ৬-০ গোলে বিধ্বস্ত করে বুন্দেসলিগার শীর্ষে ফিরল বায়ার্ন।

    গত সপ্তাহেই লিভারপুলের কাছে হেরে চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বাদ পড়েছে বায়ার্ন। বুন্দেসলিগার শীর্ষে ফিরতে তাই বেশ মরিয়া ছিল তাঁরা। ম্যাচের শুরু থেকেই মেইঞ্জ রক্ষণভাগকে এক মুহূর্তের জন্যও স্বস্তিতে রাখেননি লেভানডফস্কি-রদ্রিগেজরা। তিন মিনিটের মাথায়ই বায়ার্নকে এগিয়ে দেন রবার্ট লেভানডফস্কি। ডেভিড আলাবার ক্রসে বল পেয়ে জালে জড়ান তিনি। দুই মিনিট পর দ্বিতীয় গোল পেতে পারতেন লেভানডফস্কি, তার শট ঠেকিয়ে দেন মেইঞ্জ কিপার মুলার। পরের মিনিটে টমাস মুলারকেও হতাশ করেন তিনি।

    ১২ মিনিটে কিংসলে কোমানের শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। তিন মিনিট পর রদ্রিগেজের শট ফিরিয়ে দেন মুলার। ৩৩ মিনিটে আর রদ্রিগেজকে আটকাতে পারেননি তিনি। রদ্রিগেজের বাঁ পায়ের জোরালো শট সহজেই পরাস্ত করে মুলারকে। ছয় মিনিট পর দারুণ এক পাল্টা আক্রমণে যায় বায়ার্ন। সেখান থেকে বল পেয়ে গোল করতে ভুল করেননি কোমান। তিন গোলের লিড নিয়েই প্রথমার্ধ শেষ করে বাভারিয়ানরা।

    দ্বিতীয়ার্ধেও ছিল বায়ার্নের আধিপত্য। ৫১ মিনিটে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন রদ্রিগেজ। জেরোম বোয়াটেংয়ের নেওয়া কর্নার থেকে বক্সের বাইরে বল পান রদ্রিগেজ, সেখান থেকে বাঁ পায়ের দারুণ এক শটে বল জালে জড়ান। হ্যাটট্রিক পূরণ করতে খুব বেশি সময় নেননি রদ্রিগেজ, চার মিনিট পরেই ম্যাচে নিজের তৃতীয় ও বায়ার্নের পঞ্চম গোল করেন তিনি। মুলারের পাসে বক্সের ভেতর বল পেয়েছিলেন, ছয় গজ দূর থেকে নেওয়া শট সহজেই জাল খুঁজে নিয়েছে। এই ম্যাচের আগে পুরো মৌসুমে রদ্রিগেজের গোল ছিল মাত্র চারটি।

    ৭০ মিনিটে গোলের সুযোগ নষ্ট করেছেন লেভানডফস্কি। পরের মিনিটেই মেইঞ্জের জালে ষষ্ঠবারের মতো বল জড়ায় বায়ার্ন, এবার গোল পেয়েছেন ১৮ বছর বয়সী আলফোনসো ডেভিস। ১৯৯৯ সালে রকি সান্টা ক্রুজের পর তিনিই বায়ার্নের হয়ে সবচেয়ে কম বয়সে গোল করলেন। ৯০ মিনিটে নিকলাস শুলের শট মুলার ঠেকিয়ে না দিলে ব্যবধান আরও বাড়ত।

     

     

    শেষ পর্যন্ত ৬-০ গোলে জিতেই শীর্ষে ফিরল বায়ার্ন। ২৬ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৬০, সমান ম্যাচে ডর্টমুন্ডেরও পয়েন্ট ৬০। তবে গোল ব্যবধানে ৭ গোলে এগিয়ে থেকে শীর্ষে আছে বায়ার্ন।