• বুন্দেসলিগা
  • " />

     

    নয় গোলের থ্রিলারে সেমিতে বায়ার্ন

    নয় গোলের থ্রিলারে সেমিতে বায়ার্ন    

    প্রতিপক্ষ দ্বিতীয় বিভাগের দল হেইডেনহেইম। বায়ার্ন মিউনিখের জন্য ম্যাচটা ‘ডালভাতই’ হওয়ার কথা। তবে ঘরের মাঠে কোয়ার্টার ফাইনালে বায়ার্নের ঘাম ছুটিয়ে দিয়েছে হেইডেনহেইম। পিছিয়ে পড়েও নয় গোলের থ্রিলারে শেষ পর্যন্ত ৫-৪ ব্যবধানে জিতেই জার্মান কাপের সেমিতে উঠল নিকো কোভাচের দল।

    ১২ মিনিটে লিড নেয় বায়ার্ন। কিমিচের দারুণ এক কর্নারে বল পেয়ে বক্সের ভেতর থেকে হেডে গোল করেন লিও গোরেটজকা। পরের মিনিটেই ধাক্কা খায় বায়ার্ন, লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় নিকলাস সুলেকে। প্রথমে হলুদ কার্ড দেখলেও ভিএআরের সাহায্য নিয়ে তাঁকে লাল কার্ড দেখান রেফারি। বায়ার্নের দশজনের দলে পরিণত হওয়ার ফায়দাটা দ্রুতই নিয়েছে হেইডেনহেইম। ২৬ মিনিটে হেডে গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান পল গ্লাজেল।

    ৩৯ মিনিটে দারুণ এক পাল্টা আক্রমণে আলিয়াঞ্জ অ্যারেনাকে স্তব্ধ করে মার্ক স্ন্যাটারের গোলে এগিয়ে যায় হেইডেনহেইম। অবস্থা বেগতিক দেখে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই রবার্ট লেভানডফস্কি ও কিংসলে কোমানকে নামান কোভাচ, ফলও পান তাড়াতাড়ি। ৫৩ মিনিটে লেভানডফস্কির বাড়ানো বলেই ম্যাচে সমতা আনেন টমাস মুলার। তিন মিনিট পর মুলারের পাসেই বায়ার্নকে এগিয়ে দেন লেভানডফস্কি।

    ৬৫ মিনিটে সার্জি গ্যাব্রি যখন চতুর্থ গোল করেন, তখন সহজ জয়ের দিকেই এগোচ্ছিল বায়ার্ন। তবে ৭৪ ও ৭৭ মিনিটে দুই গোল করে আবার হেইডেনহেইমকে ম্যাচে ফেরান গ্লাজেল। ৭৭ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন তিনি।

     

     

    অতিরিক্ত সময়ে খেলা গড়াতে তখন বাকি আর ছয় মিনিট। ওই মুহূর্তে পেনাল্টি পায় বায়ার্ন। ৮৪ মিনিটে পাওয়া পেনাল্টি থেকে গোল করতে ভুল করেননি লেভানডফস্কি।

     

    শেষ পর্যন্ত ৫-৪ গোলের জয়েই সেমিতে উঠল বায়ার্ন। এই নিয়ে টানা দশমবারের মতো এই টুর্নামেন্টের সেমিতে পৌঁছে গেল তাঁরা।