দুই লালকার্ডে আহত ডর্টমুন্ডের স্বপ্ন
বুন্দেসলিগায় মৌসুমের বেশিরভাগটা সময় শীর্ষেই ছিল বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। এরপর চলতি মাসে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে বড় ব্যবধানে হারের পর এক পয়েন্ট পিছিয়ে সমানে লড়াই করে যাচ্ছিল তারা। লিগের ৩ ম্যাচ বাকি থাকতে এবার বোধ হয় শিরোপা স্বপ্নটা বিসর্জনই দিয়ে বসলো ডর্টমুন্ড। সিগন্যাল ইদুনা পার্কে শালকের কাছে ৪-২ গোলে হেরেছে তারা। ডর্টমুন্ড ম্যাচ শেষ করেছে ৯ জন নিয়ে। অধিনায়ক মার্কো রয়েস ও মারিয়স ওলফ ৫ মিনিটের ব্যবধানে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছেড়েছেন।
শালকে শক্ত প্রতিপক্ষ। আর রেভিয়ের ডার্বি মানেই আলাদা উত্তেজনা। তবে এই মৌসুমে শালকে লড়ছে রেলিগেশন বাঁচাতে। তাই শুরুতে এগিয়ে যাওয়ার পর আরও একবার ঠিকপথেই এগুচ্ছিল ডর্টমুন্ড। ১৪ মিনিটে জেডান সানচোর লব ডিবক্সের ভেতর থেকে হেড করে গোল দিয়ে দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন মারিও গোটশে। কিন্তু এর কিছুক্ষণ পরই সমতায় ফেরে শালকে। ভিএআরের সাহায্যে ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে পেনাল্টি দেন রেফারি। ১৮ মিনিটে স্পটকিক থেকে গোল করেন শালকের ড্যানিয়েল ক্যালিগুরি।
এরপর আবার খেলার নিয়ন্ত্রণ ডর্টমুন্ডের কাছ থাকলেও ২৮ মিনিটে কর্নার কাল হয়ে আসে তাদের জন্য। কর্নার থেকে লাফিয়ে উঠে হেডে গোল করেন সালিফ সানে। ২-১ গোলে পিছিয়েই তাই বিরতিতে যেতে হয় ডর্টমুন্ডকে। কিন্তু তাদের ফিরে আসার লড়াই ফিকে হয়ে অধিনায়কের এক ভুলে।
গোল থেকে ৩০ গজ দূরে সের্দারকে পেছন থেকে স্লাইড মারেন রয়েস। এরপর সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। কিন্তু ওই ফাউলের জন্য আরও বড় শাস্তি অপেক্ষা করছিল। সেখান থেকে পাওয়া ফ্রি কিকেই আরও একবার গোল করে ক্যালিগুরি শালকেকে এগিয়ে নেন ৩-১ গোলে।
রয়েসের ভুল থেকে শিক্ষা নেয়নি ডর্টমুন্ড। ৫ মিনিট পর সেই সের্দারকেই আরও একবার স্লাইড ট্যাকেল করে মারিউস ওলফও বরণ করেন একই পরিণতি। ৯ জনের দল নিয়ে দুই গোলে পিছিয়ে থাকা ম্যাচেও অবশ্য ক্ষণিকের জন্য উত্তেজনা ফিরিয়ে এনেছিলেন অ্যাক্সেল ভিটসেল। ৮৫ মিনিটে ব্যবধান ৩-২ করেন তিনি। তবে সেই উত্তেজনায় পানি ঢালেন ব্রিল এমবোলো। পরের মিনিটেই আরেকবার গোল করে ডর্টমুন্ডের হার নিশ্চিত করেন তিনি।
আগামীকাল নুরেনবার্গকে হারিয়ে দিলে তাই বায়ার্ন মিউনিখের শীর্ষস্থান হবে আরও মজবুত। ৪ পয়েন্টের লিড নেবে বাভারিয়নরা। প্রতিপক্ষ নুরেনবার্গ রেলিগেটেড হয়ে গেছে এরই মধ্যে। তাই আরও একবার এখন থেকেই শিরোপার সুবাস পাচ্ছে বায়ার্ন।