• আইপিএল ২০১৯
  • " />

     

    দুর্দান্ত শুরুর পরও শেষটা মনে রাখতে পারলেন না জাহানারা

    দুর্দান্ত শুরুর পরও শেষটা মনে রাখতে পারলেন না জাহানারা    

    প্রথম ম্যাচে তেমন কিছু করতে পারেননি। ফাইনালে সুযোগ পেলেন, এবং সেটি দুই হাত ভরেই কাজে লাগালেন। তারপরও শেষটা ঠিক মনমতো হলো না জাহানারা আলমের। মেয়েদের টি-টোয়েন্টি চ্যালেঞ্জে জাহানারার দল ভেলোসিটি যে শেষ বলে গিয়ে হেরে গেছে সুপারনোভার কাছে, একটুর জন্য তাই জেতা হয়নি শিরোপা।

    লক্ষ্যটা ছিল ১২২, মেয়েদের হিসেবে খুব খারাপ নয়। ষষ্ঠ ওভারে প্রথম বল হাতে পেলেন জাহানারা, তার আগে সুপারনোভা ১ উইকেট হারিয়ে তুলে ফেলেছে ৩২ রান। প্রথম চার বলে কোনো রান দিলেন না, পঞ্চম  বলে দিলেন ১ রান। সেই ওভারটা শেষ করলেন আর কোনো রান না দিয়েই।

    ১২তম ওভারে আবার বল হাতে পেলেন জাহানারা, সুপারনোভা তখন ৩ উইকেটে ৫৫ রান তুলে কিছুটা ব্যাকফুটে। প্রথম পাঁচ বলে দিলেন ৪ রান, ষষ্ঠ বলে ভেঙে দিলেন নাটালি শিভারের অফ স্টাম্প। মেয়েদের আইপিএলে নিজের প্রথম উইকেতও পেলেন।

    তবে চমকের বাকি ছিল আরও। ১৪তম ওভারে আবারও জাহানারার আঘাত, এবার সোফি ডিভাইনের অফ স্টাম্প ভেঙে দিলেন দারুণ এক স্লোয়ারে। সেই ওভারে দিলেন ৩ রান, তিন ওভার শেষে জাহানারা ৮ রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন ২ উইকেট। তাঁর দল ভেলোসিটিও তখন দেখতে পাচ্ছে শিরোপা।

    কিন্তু হারমানপ্রিত কাউরের মনে ছিল অন্য কিছু। জাহানারার শেষ ওভারের প্রথম বলে মারলেন চার, পঞ্চম বলে মারলেন আরেকটি চার। সেই ওভার থেকে এলো ১৩ রান, সুপারনোভার জয়ের জন্য ২৪ বলে দরকার ৩২ রান। দায়িত্বটা নিজের কাঁধেই তুলে নিলেন হারমানপ্রিত, ১৮তম ওভারে দেবিকা বৈদ্যকে মারলেন দুই ছয়। ৩৭ বলে ৫১ রান করে শেষ ওভারে গিয়ে আউট হলেন, তখনও ম্যাচে ছিল ভেলোসিটি। চার বলে সুপারনোভার দরকার ৭ রান, শেষ বলে দরকার হলো ১ রান। কিন্তু রাধা যাদব চার মেরেই জেতালেন সুপারনোভাকে, মেয়েদের আইপিএলে প্রথম শিরোপাটা পাওয়া হলো না জাহানারার।

     

     

    অথচ এই ফাইনালটা শুরুতে ইঙ্গিত দিচ্ছিল একপেশে এক লড়াইয়ের। ৮ম ওভারে ৩৭ রানেই ৫ উইকেট হারিয়েছিল ভেলোসিটি, হেইলি ম্যাথিউস ও ড্যানি ওয়েট ফিরেছিলেন শূন্য করে। শেফালি ভার্মা ১১ ও মিথালি ১২ রান করে ফিরেছেন, এরপর ভেদা কৃষ্ণামূর্তি করেছিলেন ৮ রান। দুইটি উইকেট নিয়েছিলেন লি তাহুহু, একটি করে নিয়েছিলেন আনুজুয়া পাতিল, সিভার ও ডিভাইন। 

    সুশমা ভার্মা ও কেরে ভর করে ভেলোসিটি এরপর ঘুরে দাঁড়িয়েছে, দুজন মিলে ৬ষ্ঠ উইকেটে যোগ করেছেন ৭১ রান। ভার্মা অপরাজিত ছিলেন ৩২ বলে ৪০ রানে, কের করেছেন ৩৮ বলে ৩৬। ভেলোসিটি গিয়েছিল ১২১ পর্যন্ত। 

    তবে ভার্মার সেই ইনিংস, কেরের অলরাউন্ড পারফরম্যান্স বা জাহানারার দারুণ বোলিং- সবই ম্লান হয়ে গেলে কৌরের ওই ইনিংসে।