• ক্রিকেট, অন্যান্য
  • " />

     

    তাইজুলের ৮ উইকেটে শক্ত অবস্থানে বিসিবি একাদশ

    তাইজুলের ৮ উইকেটে শক্ত অবস্থানে বিসিবি একাদশ    

    তৃতীয় দিন শেষে

    বিসিবি একাদশ ৫০০/৭ ডিক্লে ও ১৯ ওভারে ৪২/১

    বিদর্ভ অ্যাসোসিয়েশন ৯৪.৪ ওভারে ৩৫৩ অলআউট (দেশপান্ডে ৯১; তাইজুল ৮/৮৯)


     

    কর্ণাটকে প্রথম দুই দিন ছিল ব্যাটসম্যানদের, সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন মুমিনুল হক ও নাজমুল হোসেন শান্ত। আজ তৃতীয় দিনে ব্যাটসম্যানদেরও ম্লান করে নিজের করে নিলেন তাইজুল ইসলাম। বিদর্ভ অ্যাসোসিয়েশনের ১০টি উইকেটের আটটিই নিয়েছেন তাইজুল, তার জন্যই প্রথম ইনিংসে ১৪৭ রানের লিড পেয়েছে বিসিবি একাদশ। দিন শেষে সেটা বাড়িয়ে নিয়েছে ১৮৯ রানে, শেষ দিনে জয়ের আশা এখনো ভালোমতো আছে মুমিনুলদের।

    একটা উইকেট কালই নিয়েছিলেন তাইজুল, ১১৪ রানে বিচ্ছিন্ন করেন ওপেনিং জুটি। আজ সকালে প্রথম আঘাতটা হেনেছেন তাসকিন আহমেদ, ৬২ আন করা আকষায় কোলহারকে এলবিডব্লু করেছেন। এরপর অথর্ভ দেশপান্ডে ও টাইডে আরও বেশ কিছুক্ষণ হতাশ করেছেন বাংলাদেশকে।

    শেষ পর্যন্ত জুটিটা ভেঙেছেন তাইজুল, টাইডেকে সাইফ হাসানের ক্যাচ বানিয়ে। গনেশ সতীশকেও ফিরিয়ে দিয়েছেন ওই ওভারেই। দেশপান্ডে সেঞ্চুরির কাছাকাছি চলে গিয়েছিলেন,  কিন্তু ৯১ রানে এলবিডব্লু তাইজুলের বলে।

    ৫ উইকেটে ২৮১ রান হারানোর পর বিদর্ভের ছোট্ট ধসের শুরুও সেখানে। এক ওভার পর যশ রাঠোরকে ফিরিয়েছেন তাইজুল, মাত্র ১ রানের মধ্যে। হয়ে গেছে ৫ উইকেটও। এরপর টেল এন্ডারদের মধ্যে দর্শন নালকান্ডে ছাড়া বাকি সবাই ছিলেন আসা যাওয়ার মিছিলে।

    আকষায় ওয়াদকার ও আদিত্য সারভাতেকে তুলে নিয়েছেন তাইজুল, হয়ে গেছে সাত উইকেট। শুধু রাজম্নজিশ গুরবানিকে আউট করেছেন আরিফুল হক, এরপর সৌরভ দুবেকে আউট করে তাইজুল পেয়েছেন অষ্টম উইকেট। ৭২ রানের মধ্যে শেষ ৬ উইকেট হারিয়েছে বিদর্ভ, অলআউট হয়ে গেছে ৩৫৩ রানে।

    দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে জহুরুল ইসলাম ও সাইফ হাসান যোগ করেছিলেন ৪১ রান। এরপর সৌরভের বলে ২৫ রান করে বোল্ড হয়ে গেছেন জহুরুক। সাইফ ও অধিনায়ক মুমিনুল হক অপরাজিত ছিলেন দিনের শেষ পর্যন্ত, আর কোনো বিপদ হতে দেননি বিসিবি একাদশের। লিডটা বাড়িয়ে নিয়েছেন ১৮৯ রানে।