• অ্যাশেজ ২০১৯
  • " />

     

    বিশ্বকাপ জিতেও মানসিক অবসাদে ভুগছেন প্লাংকেট!

    বিশ্বকাপ জিতেও মানসিক অবসাদে ভুগছেন প্লাংকেট!    

    মানসিক অবসাদে ভোগা ইংলিশ ক্রিকেটারদের মাঝে নতুন কিছু নয়। মার্কাস ট্রেসকোথিক, জোনাথন ট্রটের মতো অনেকের ক্যারিয়ারের সমাপ্তি ঘটেছে এই অবসাদের কারণেই। এই অবসাদ ঘিরে ধরেছে বিশ্বকাপজয়ী ইংল্যান্ড পেসার লিয়াম প্লাংকেটকেও! ডালউইচ ক্রিকেট ক্লাবে শিশুদের জন্য আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে এসে প্লাংকেট বলেছেন, বিশ্বকাপের শিরোপা জেতার পর থেকেই হতাশা জেঁকে ধরেছে তাঁকে। 

    প্রায় দেড় মাস ধরে চলা বিশ্বকাপের পর হুট করেই সবকিছু ফাঁকা ফাঁকা লাগছে প্লাংকেটের, ‘বিশ্বকাপ জেতার দেড়দিন পরেই হঠাৎ করে আমি নিজের সোফাতে বসে নেটফ্লিক্স দেখছি! এটা আসলে কঠিন ব্যাপার ছিল, কিছুটা হতাশও লাগছি। বিশ্বকাপ নিয়ে এত উন্মাদনা। আমার ক্যারিয়ারের সেরা মুহূর্ত ছিল এটি। এরকম কিছু আবার আসবে কিনা আমি জানি না।’ 

    ক্যারিয়ারে সবসময়ই মানসিক অবসাদে ভুগেছেন, স্বীকার করলেন প্লাংকেট, ‘আমি সবসময়ই এই অবসাদ নিয়ে চিন্তায় থাকি। অনেকদিন আগে একবার বড় একটা অবসাদে ভুগেছিলাম। বিমানে ওঠা নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় থাকতাম। এটা এখনো আমার পিছু ছাড়েনি।’ 

    বিশ্বকাপজুড়ে সতীর্থদের সাথে একসাথে থেকেছেন। নিজের বাড়িতে গিয়ে তাই হতাশাটা আরও বাড়ছে প্লাংকেটের, ‘চোখের পলকেই সব শেষ হয়ে গেলো! তখন খুব হতাশ লাগছিল। আপনি এরকম সতীর্থদের পাশে থাকতে চাইবেন। বিশ্বকাপের মতো ট্রফি জিতেছে দল, এরকম কিছু হয়তো আর কখনোই দেখা যাবে না। টুর্নামেন্ট শেষে বাড়ি ফিরে তাই খারাপই লাগছে।’ 

    প্লাংকেটের বিশ্বাস, তাঁর মতো হতাশা জেঁকে ধরেছে ইংল্যান্ডের অনেক ক্রিকেটারকেই, ‘আমি খেলা না থাকলেও সবার সাথে কথা বলি। তবে এরকম হতাশা আসাটা স্বাভাবিক ব্যাপার। দলের অনেকেই আমার মতো হতাশা অনুভব করছে। তবে এসব পেছনে ফেলে সামনের সিরিজের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। আমি তিন থেকে চার বছর মেডিটেশন করেছি। সবসময়ই যোগব্যায়াম করার চেষ্টা করতাম। ম্যাচের সময়ও বড় বড় নিঃশ্বাস নিয়ে চাপ কমাতে চেয়েছি।’