• অ্যাশেজ ২০১৯
  • " />

     

    ডেনলি-স্টোকসে ওভালে ইংল্যান্ডের দিন

    ডেনলি-স্টোকসে ওভালে ইংল্যান্ডের দিন    

    তৃতীয় দিন শেষে

    ইংল্যান্ড ২৯৪ ও ৩১৩/৮

    অস্ট্রেলিয়া ২২৫

    ইংল্যান্ড ৩৮২ রানে এগিয়ে


    মাত্র একদিন আগেই ডেনলি দম্পতির ঘর আলো করে এসেছে দ্বিতীয় সন্তান। নবজাতক ও স্ত্রীকে হাসপাতালে রেখে সরাসরি চলে আসতে হয়েছে মাঠে। জো ডেনলির কন্যাভাগ্যে আরেকটু হলেও পেয়ে যাচ্ছিলেন স্বপ্নের সেঞ্চুরি। একটুর জন্য সেটা হয়নি, তবে ওভাল টেস্টের তৃতীয় দিনটা নিজেদের করে নিয়েছে ইংল্যান্ড। এখনই এগিয়ে গেছে ৩৮২ রানে, এই টেস্টে জয় পেতে হলে স্মিথের কাছ থেকে আরেকটি অতিমানবীয় ইনিংসের দরকার হবে অস্ট্রেলিয়ার।

    দ্বিতীয় দিন শেষেই খানিকটা পিছিয়ে ছিল অস্ট্রেলিয়া। তৃতীয় দিনের সকাল থেকে হতাশ করে যাচ্ছিলেন দুই ইংলিশ ওপেনার ররি বার্নস ও ডেনলি। শেষ পর্যন্ত লায়নের বলে বার্নস কাট করতে গিয়ে ক্যাচ দিলেন পেইনকে, ২০ রানে ফিরলেন। জো রুট দ্রুতই ২১ রান করে ফেলেছিলেন। এবার আবারও লায়ন, এজড হয়ে ক্যাচ দিয়েছেন স্লিপে স্মিথকে। আজকের দিনে চতুর্থ ক্যাচের মধ্যে প্রথমটি হলো স্মিথের।

    এরপরেই অস্ট্রেলিয়াকে অনেকটা সময় হতাশ করে গেছেন ডেনলি আর চারে উঠে আসা বেন স্টোকস। এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়ানরা ক্যাচ মিসের মাশুল দিয়েছে কয়েলবার। মিচেল মার্শের বলে ৫৪ রানের সময় ডেনলির রিভিউ নেননি পেইন, নিলে ফিরে যেতে পারতেন। পিটার সিডল ছিলেন ধারহীন, মিচেল স্টার্ককে বাদ দেওয়ার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে তখন। স্টোকস আর ডেনলি মিলে যোগ করে ফেলেছেন ১২৭ রান। এরপরেই লায়ন আবার দৃশ্যপটে, টার্ন আর বাউন্সে দুর্দান্ত ডেলিভারিটা বুঝতে পারেননি স্টোকস, ফিরেছেন ৬৭ রানে।

     

     

     ডেনলি অবশ্য সেঞ্চুরি পেয়ে যাবেন বলেই মনে হচ্ছিল। তখনই সিডল ফিরে পেলেন নিজেকে। দারুণ এক ডেলিভারিতে স্লিপে ক্যাচ দিয়েছেন স্মিথকে, ৬ রানের জন্য পাওয়া হয়নি সেঞ্চুরি। ২২২ রানে চতুর্থ উইকেট হারিয়েছে ইংল্যান্ড।

    বেইরস্টো আর বাটলার নেমে ঝটপট রান তুলতে শুরু করলেন। এর পরেই স্মিথের আরেকটি অবিশ্বাস্য ক্যাচ, দ্বিতীয় স্লিপে মার্শের বলে স্রেফ উড়ে গিয়ে ধরেছেন বেইরস্টোর ক্যাচ। স্যাম কারান এলেন , ১৭ রানও তুলে ফেললেন। এরপর তাকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানিয়ে কামিন্স পেলেন ইনিংসের প্রথম উইকেট। ক্রিস ওকসও টিকলেন আনা বেশিক্ষণ, ৬ রানে আউট হলেন মার্শের বলে। বাটলার এক প্রান্ত থেকে সতীর্থদের আসা যাওয়া দেখছিলেন। শেষ পর্যন্ত সিডলকে পুল করতে গিয়ে ক্যাচ দিলেন ৪৭ রানে। আর্চার আর লিচ এর পর আর কোনো বিপদ হতে দেননি।