এক বছর ধরে অবসরের কথা ভাবছিলেন আমির
চারদিন আগে মাত্র ২৭ বছর বয়সেই টেস্টকে বিদায় বলার ঘোষণা দিয়েছেন মোহাম্মদ আমির। আমিরের এমন সিদ্ধান্ত অবাক করেছে অনেককেই। পাকিস্তান কোচ মিকি আর্থার অবশ্য আমিরের এই সিদ্ধান্তে একটুও অবাক হননি। ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আর্থার জানিয়েছেন, এক বছর ধরেই টেস্ট থেকে অবসরের কথা ভাবছিলেন আমির।
নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে ফেরার পর গত চার বছরে আমির খেলেছেন ২২টি টেস্ট। ২০১৮ সালে খেলেছেন চারটি ম্যাচ, এই বছর খেলেছেন মাত্র দুটি। আর্থার বলছেন, অনেকদিন ধরেই টেস্ট থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ভাবছিলেন আমির, ‘তার এমন সিদ্ধান্ত হুট করে আসেনি। অনেক সময় ধরেই টেস্ট ছাড়ার ব্যাপারে আমার সাথে কথা বলেছে সে। টেস্ট খেলায় তার শরীরের ওপর চাপ বাড়ছিল, সাথে অনিচ্ছাটাও। আমির দুর্দান্ত একজন বোলার। আমি তার সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাই। সে নিজের জন্য যেটা ভালো মনে করেছে সেটাই করেছে। আশা করি আমরা সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে তাঁকে অনেকদিনের জন্য পাবো।’
আর্থারের বিশ্বাস, আমিরকে টেস্ট ক্রিকেটে আরও বেশি কাজে লাগানো যেত, ‘সে গত বছর আরব আমিরাতে কোন টেস্ট খেলেনি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তাঁকে নেওয়া হয়েছিল। ক্লান্তি যেন ভর না করে, এজন্যই তাঁকে অনেক ম্যাচে খেলানো হয়নি। যদিও আমিরকে টেস্টে আরও ভালোভাবে ব্যবহার করার সুযোগ ছিল।’
স্পট ফিক্সিংয়ের জন্য ২০১০ সালে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন আমির। ওই পাঁচ বছরে নিজেকে আরও বেশি প্রস্তুত করা দরকার ছিল তার, মানছেন আর্থার, ‘মনে রাখতে হবে সে পাঁচ বছর ক্রিকেট খেলেনি। সে যখন ফিরে আসে, তার শরীর টেস্ট খেলার জন্য প্রস্তুত ছিল না। ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে আমরা একরকম বাধ্য হয়েই তাঁকে খেলিয়েছি কারণ সে দুর্দান্ত একজন বোলার, ওই কন্ডিশনে আমরা তাঁকে চাচ্ছিলাম। সে আগের মতো নেই, ওই পাঁচ বছরে অনেক কিছুই বদলে গেছে। নিষিদ্ধ থাকার পাঁচ বছরে তাঁকে আরও প্রস্তুতি নিতে হতো। তবে ওই সময়টা তার জন্য খুব কঠিন ছিল, সেটা আমি বুঝি। তার জন্য আমার মায়া হয়। সে টেস্ট খেলবে না, এটায় তো আমি একটু হতাশই। তবে ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টিতে যেন সে সেরাটা দিতে পারে এজন্যই এই সিদ্ধান্ত।’